ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

গ্রিসে কর্মী সংকটে বাংলাদেশি গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বেকায়দায়

২০২৫ জানুয়ারি ০১ ১৭:১৫:৪৮
গ্রিসে কর্মী সংকটে বাংলাদেশি গার্মেন্টস ব্যবসায়ীরা বেকায়দায়

প্রবাস ডেস্ক: দক্ষিণ-পূর্ব ইউরোপের বলকান উপদ্বীপের দক্ষিণ প্রান্তে অবস্থিত গ্রিস ব্যাপক কর্মী সংকটের মুখে পড়েছে, যেখানে শ্রম বাজারের চাহিদা মেটাতে তিন লাখেরও বেশি বিদেশি শ্রমিক প্রয়োজন।

দেশটির অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, আমলাতান্ত্রিক জটিলতার কারণে নিয়োগকর্তারা বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে হিমশিম খাচ্ছেন। এই সমস্যা কেবল গ্রিক মালিকদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং বাংলাদেশি মালিকানাধীন গার্মেন্টস কারখানার মালিকরাও কর্মী সংকটে পড়েছেন। বাংলাদেশ থেকে কর্মী নিয়োগের জন্য ঢাকা ও এথেন্সের মধ্যে চুক্তি হলেও এর কোনো অগ্রগতি হয়নি।

বর্তমানে গ্রিসের পোশাক শিল্পে বাংলাদেশিরা একটি শক্তিশালী অবস্থান তৈরি করেছে। গার্মেন্টস খাতে বাংলাদেশের সুনাম অব্যাহত রয়েছে, যার ফলে অনেক উদ্যোক্তা গার্মেন্টস ব্যবসায় ঝুঁকছেন। একসময় এখাতে স্থানীয় এবং আরব মালিকদের আধি ছিল, যেখানে বাংলাদেশি ও অন্যান্য এশীয়রা কর্মচারী হিসেবে কাজ করত। তবে পরিস্থিতি বদলাতে শুরু করেছে এবং বাংলাদেশিরা নিজেদের গার্মেন্টস কারখানা প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। বর্তমানে এথেন্সে বাংলাদেশিদের ৪০০টিরও বেশি গার্মেন্টস কারখানা রয়েছে, যেখানে ১০ হাজারেরও বেশি বাংলাদেশি কর্মরত আছেন।

কারখানাগুলোতে কর্মরত বাংলাদেশি শ্রমিকরা স্বদেশী মালিকদের সঙ্গে কাজ করে খুশি। তবে, বর্তমানে গ্রিসের বাংলাদেশের পোশাক কারখানাগুলোতে ১০ থেকে ১২ হাজার কর্মীর ঘাটতি রয়েছে। গার্মেন্টস ব্যবসায়ী ও কমিউনিটি নেতাদের আশা, বাংলাদেশ থেকে নতুন কর্মী আসার সুযোগ মিললে গ্রিসে ব্যবসার প্রবৃদ্ধি আরও বাড়বে।

এদিকে কৃষি খাতও কর্মীর অভাবে ভুগছে, যেখানে খামার শ্রমিকদের সংকট দীর্ঘদিনের। গ্রিসের বিদেশি কর্মীদের নিয়োগে আগ্রহী দুই হাজারেরও বেশি কোম্পানি রয়েছে।

ওয়ার্কগ্রিস ডটআইওর সিইও বেঙালিস কানেলোপৌলস জানিয়েছেন, ১১টি দেশের ৩৫ হাজারের বেশি সম্ভাব্য অভিবাসী কর্মী গ্রিসে কাজের জন্য নিবন্ধন করেছেন। বাংলাদেশ এবং গ্রিসের মধ্যে ২০২২ সালে একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে, যার আওতায় বছরে চার হাজার কর্মী পাঠানোর কথা। তবে, ভিসা জটিলতার কারণে উন্নতি হয়নি।

অভিবাসন সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন, বাংলাদেশে গ্রিসের দূতাবাস না থাকা এই সংকটের একটি প্রধান কারণ। যদি সেখানে দূতাবাস চালু হয়, তবে চুক্তি অনুযায়ী কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে এবং দেশটির শ্রম বাজার বাংলাদেশিদের হাতে চলে আসবে।

গ্রিসে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত নাহিদা রহমান সুমনা জানিয়েছেন, অনেক বাংলাদেশির ভিসার আবেদন দিল্লিতে গ্রিক দূতাবাসে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং গ্রিক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সমস্যার সমাধানে আশ্বাস পাওয়া গেছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে