ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

বছরের প্রথম দিনে বই পাচ্ছেন না অনেক শিক্ষার্থী

২০২৫ জানুয়ারি ০১ ১১:২৩:৪০
বছরের প্রথম দিনে বই পাচ্ছেন না অনেক শিক্ষার্থী

ডুয়া নিউজ: আজ ০১ জানুয়ারি (বুধবার) সারাদেশের নতুন শিক্ষাবর্ষের (২০২৫ খ্রি.) বিনামূল্যের পাঠ্যবই বিতরণ শুরু হবে। এজন্য গত কয়েক দিন ধরেই স্কুলগুলোতে বই পাঠানো হয়েছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা শিক্ষার্থীদের হাতে বই তুলে দেবেন। তবে আজ প্রথম দিনেই নতুন বই পাচ্ছেন না অনেকেই।

সুনামগঞ্জ জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলায় নতুন শিক্ষাবর্ষে মাধ্যমিক স্তরে বই দরকার সাড়ে ৩৩ লাখের বেশি। কিন্তু গত সোমবার পর্যন্ত এই জেলায় কোনো বই পৌঁছায়নি। প্রাথমিকে প্রথম থেকে তৃতীয় শ্রেণি পর্যন্ত বেশ কিছু বই গেলেও চতুর্থ ও পঞ্চম শ্রেণির একটি বইও যায়নি।

এদিকে নেত্রকোনার চিত্রও প্রায় একই। জেলার সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, এই জেলায় বই দরকার ৩০ লাখের বেশি। অথচ মাধ্যমিকের বই গেছে প্রায় ১৫ হাজার। অন্যদিকে, প্রাথমিকে বইয়ের চাহিদা ১৫ লাখের বেশি; কিন্তু পাওয়া গেছে প্রায় ৭ লাখ।

এবার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের বিনামূল্যে পাঠ্যবই নিয়ে সারাদেশেই কমবেশি একই রকমের চিত্র। ফলে বছরের প্রথম দিনে সব শিক্ষার্থী সব বই পাবে না। এমনকি অনেক শিক্ষার্থী প্রথম দিনে একটি বইও পাবে না।

এনসিটিবির তথ্যানুসারে, এবার প্রাক-প্রাথমিক থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ৪ কোটি ৩৪ লাখ শিক্ষার্থীর জন্য ছাপা হচ্ছে ৪০ কোটির বেশি বই।

প্রাক্-প্রাথমিক থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত পাঠ্যবইয়ের সংখ্যা ৯ কোটি ৬৪ লাখের মতো। এর মধ্যে সোমবার পর্যন্ত উপজেলা পর্যায়ে পাঠানোর জন্য ছাড়পত্র হয়েছে ৩ কোটি ৯৪ লাখ বইয়ের; আর মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লাখের মতো। এর মধ্যে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ছাড়পত্র হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ২৪ হাজারের মতো। অর্থাৎ বিপুলসংখ্যক বই এখনো উপজেলায় পাঠানো যায়নি।

মুদ্রণকারী বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানসূত্রে জানা গেছে, আজ বছরের প্রথম দিনে অনেক শিক্ষার্থী একটি করেও বই পাবে না। আর শতভাগ বই পেতে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতে পারে।

মাধ্যমিকে (মাদ্রাসার ইবতেদায়িসহ) বইয়ের সংখ্যা ৩০ কোটি ৯৬ লাখের মতো। এর মধ্যে গতকাল বিকেল পর্যন্ত ছাড়পত্র হয়েছে ২ কোটি ৮ লাখ ২৪ হাজারের মতো।

মূলত, গত আগস্টে রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর এনসিটিবিকে অনেক কাজ নতুন করে শুরু করতে হয়েছে। নতুন শিক্ষাক্রমের পরিবর্তে পুরাতন শিক্ষাক্রমে ফিরে গেছে সরকার। এর ফলে পুরোনো শিক্ষাক্রমে ৪৪১টি পাঠ্যবই পরিমার্জন করা হয়েছে, এতে কিছু সময় লেগেছে। আবার পাঠ্যবই ছাপার কাজ শুরু করতেও দেরি করেছে এনসিটিবি। আগের দরপত্র বাতিল করে নতুন দরপত্র দেওয়া, দেরি করে পরিদর্শন প্রতিষ্ঠান চূড়ান্ত করা, মন্ত্রণালয় পর্যায়ে আনুষঙ্গিক কাজের অনুমোদন পেতে দেরি হওয়ার ফলে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। এখনো কিছুসংখ্যক বই ছাপানোর জন্য মুদ্রণকারীদের সঙ্গে চুক্তিপত্র সইয়ের কাজ করছে এনসিটিবি। যদিও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই তা সম্পন্ন হয়েছে। চুক্তির কাজ দেরি হওয়ায় ছাপার কাজেও দেরি হচ্ছে। কারণ, নিয়মানুযায়ী চুক্তির পর ৪০ দিনের মধ্যে বই ছাপিয়ে দেওয়ার নিয়ম। এর ফলে এবার নতুন বছরের প্রথম দিনে সারা দেশের সব শিক্ষার্থী নতুন বই পাবে না।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

স্কুল-কলেজ এর সর্বশেষ খবর

স্কুল-কলেজ - এর সব খবর



রে