ঢাকা, শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

‘শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতা প্রয়োজন’

২০২৪ ডিসেম্বর ২৬ ২১:১৬:৪৪
‘শিক্ষার মান উন্নয়নে অভিভাবক ও শিক্ষকদের সহযোগিতা প্রয়োজন’

ডুয়া ডেস্ক: শিশুরা পরিবেশ থেকে সবকিছু গ্রহণ করে। সুন্দর স্থাপনা মনকে প্রভাবিত করে এ উদ্দেশ্যে দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের কাজ চলমান। এখন ঢাকায় দৃষ্টিনন্দন প্রকল্পের কাজ হচ্ছে। দৃষ্টিনন্দন স্কুল করার পাশাপাশি শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষক, ট্রেইনার ও অভিভাবকদের সহযোগিতা খুবই প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।

বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) ঢাকায় মিরপুরস্থ লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের নতুন ভবন উদ্বোধন করার সময় তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, ঢাকার বাহিরে সিটি কর্পোরেশন ও মিউনিসিপ্যাল এলাকায়ও পরবর্তীতে দৃষ্টিনন্দন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণ করা হবে। শিশুরা শুধু বই পড়ে শেখে, তা নয়। তারা স্কুলে অন্য শিশুদের সঙ্গে মিশে। স্কুলের সামগ্রিক কার্যক্রম দেখে শেখে। সবচেয়ে বেশি শেখে অভিভাবকদের থেকে। কারণ শিশুরা অভিভাবকদের সঙ্গে বেশি সময় থাকে।

এ উপদেষ্টা আরও বলেন, এখন অবকাঠামো অনেক ভালো হচ্ছে। শিশুদের শিক্ষার মান ভালো হবে। আগের চেয়ে অনেক স্কুলের অবকাঠামোর পরিবর্তন হয়েছে। শিশু শিক্ষার মান যে পর্যায়ে চাই, সে পর্যায়ে এখনো পৌঁছতে পারিনি। প্রাথমিক শিক্ষায় সমস্যা হলে শিশুরা হাইস্কুলে ভালো করতে পারে না। সবাইকে নিয়ে ভালো করতে হবে। না হলে জনসম্পদে পরিণত করা যাবে না আমরা প্রাথমিক শিক্ষার ওপর জোর দিচ্ছি। একজন শিশু ভালো মত লিখতে, পড়তে, বলতে পারবেন যোগ বিয়োগ গুন ভাগ করতে পারবে এসব বিষয়ের ওপর গুরুত্ব দিচ্ছি।

প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক আবু নূর মো. শামসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য দেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব ফরিদ আহাম্মদ, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. আব্দুর রশিদ ও প্রকল্প পরিচালক মো. সাইফুর রহমান।

দৃষ্টিনন্দনভাবে নির্মিত পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন হল- মিরপুর এক নম্বর সেকশনের মাজার রোড সংলগ্ন 'লালকুঠি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, মিরপুর সাত নম্বর সেকশনের আনন্দ নিকেতন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, বাড্ডার আলাতুনন্নেসা হাইস্কুল সংলগ্ন ভোলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন, ডেমরার কোনাপাড়া রোডের পাড়াডগার মান্নান সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন এবং গুলশানের মাস্টারবাড়ি বাজার-আটিপাড়া রোডের মুন্ডা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভবন।

এ পাঁচটি ভবন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে ২৭ কোটি ১২ লাখ ৩৮ হাজার টাকা। পাঁচটি ভবনের মধ্যে চারটি ছয় তলা এবং একটি ছয় তলা ভিতবিশিষ্ট চারতলা ভবন। এগুলোতে

শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষক কক্ষ মিলে ১১৬টি কক্ষ রয়েছে। ওয়াস ব্লক রয়েছে ১২২টি। বিদ্যালয়গুলোর নতুন ভবনে ছাত্র-ছাত্রীর মোট ধারণ ক্ষমতা ৪ হাজার।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে