ঢাকা, বুধবার, ২৩ এপ্রিল ২০২৫, ১০ বৈশাখ ১৪৩২

চাপের মুখে ভিসিকে অপসারণ করালে মানবে না শিক্ষক সমিতি

২০২৫ এপ্রিল ২৩ ১৬:৩৩:০৮
চাপের মুখে ভিসিকে অপসারণ করালে মানবে না শিক্ষক সমিতি

ডুয়া নিউজ: খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) উপাচার্য ড. মোহাম্মদ মাছুদকে কোনো প্রকার চাপের মুখে অপসারণ করা হলে তা মেনে নেওয়া হবে না বলে জানিয়েছে কুয়েট শিক্ষক সমিতি। পাশাপাশি, বিষয়টি নিয়ে সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন সমিতির নেতারা।

আজ বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে কুয়েটের প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন শিক্ষক সমিতির নেতারা।

সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. সাহিদুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. ফারুক হোসেনসহ আরও কয়েকজন শিক্ষক বক্তব্য দেন।

সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়া বলেন, “শিক্ষা উপদেষ্টা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বললেও শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলেননি। এতে আমরা ব্যথিত হয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “অল্প কয়েকজন মিছিল করলে সাংবাদিকরা নিউজ করেছে যে কুয়েট উত্তাল, অথচ কুয়েটে শিক্ষার্থী ৫ হাজারেরও বেশি।”

শিক্ষার্থীরা শিক্ষকদের যে রাজনৈতিক ট্যাগ দিচ্ছে, তা দুঃখজনক বলে জানিয়েছেন আশরাফুল গণি ভূঁইয়া। তিনি বলেন, কিছু সংখ্যক শিক্ষার্থী উপাচার্যকে মারধর করেছে, গায়ে থুতু দিয়েছে। কয়েকজন শিক্ষক লাঞ্ছিত হয়েছেন, তাদের নিয়ে কটূক্তি করা হয়েছে। এসবের বিচার দাবি করছি।

এর আগে, ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে, যাতে অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন। এ ঘটনার পর ২৫ ফেব্রুয়ারি সিন্ডিকেট সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কার্যক্রম ও আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

পরবর্তীতে ১৩ এপ্রিল শিক্ষার্থীরা কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে বন্ধ থাকা কুয়েট ক্যাম্পাসে প্রবেশ করেন। এরপর ১৪ এপ্রিল রাতে অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের ১০১তম জরুরি সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারির সহিংসতার ঘটনায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। একইসঙ্গে ঘোষণা দেওয়া হয়, বন্ধ থাকা একাডেমিক কার্যক্রম আগামী ৪ মে এবং আবাসিক হলগুলো ২ মে থেকে খুলে দেওয়া হবে।

এই সিদ্ধান্ত প্রত্যাখ্যান করে সেদিন রাতেই শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। ১৫ এপ্রিল দুপুরে তারা নিজেরাই একের পর এক হলের তালা ভেঙে প্রবেশ করেন।

এরপর শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের পদত্যাগ না হলে আমরণ অনশনের ঘোষণা দেন এবং তারই ধারাবাহিকতায় ২১ এপ্রিল বিকেল থেকে কুয়েটের ছাত্র কল্যাণ পরিষদ চত্বরে তারা অনশন শুরু করেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে