ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

প্রায় ২৮ ঘণ্টা অনশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী

২০২৫ এপ্রিল ২২ ২২:৪৬:৪৪
প্রায় ২৮ ঘণ্টা অনশনে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ৯ শিক্ষার্থী

ডুয়া নিউজ: মূল ক্যাম্পাসে ফেরার দাবিতে প্রায় ২৮ ঘণ্টা ধরে অনশন করছেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) চারুকলা ইনস্টিটিউটের ৯ জন শিক্ষার্থী। এর মধ্যে দু’জন শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ায় তাদের স্যালাইন দেওয়া হয়েছে। তাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এই কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন তারা।

মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে কাঁথা-বালিশ বিছিয়ে অনশন করছেন। অসুস্থ হওয়া একজন পুরুষ ও একজন মহিলা শিক্ষার্থীকে স্যালাইন দেওয়া হয়েছে।

গতকাল বেলা ৩টা থেকে অনশন শুরু হয়েছে, ২৮ ঘণ্টা পার হতে চললেও অনশন ভাঙেননি শিক্ষার্থীরা। ৯ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে পাঁচজন ছেলে ও চারজন মেয়ে।

অনশনরতা হলেন- চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের ২০২১-২২ সেশনের শিক্ষার্থী মো. শাহরিয়ার হাসান সোহেল, ২০১৭-১৮ সেশনের শিক্ষার্থী খন্দকার মাসরুল আল ফাহিম, ২০১৯-২০ সেশনের শিক্ষার্থী নূর ইকবাল সানি, ২০২২-২৩ সেশনের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইয়ামিন, একই সেশনের শিক্ষার্থী মালিহা চৌধুরী, ইসরাত জাহান, নুসরাত জাহান ইপা, ২০২৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম মাহী ও একই সেশনের শিক্ষার্থী মাহমুদুল ইসলাম মিনহাজ। শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যান্য বিভাগের শিক্ষার্থী এবং কয়েকটি রাজনৈতিক সংগঠনের নেতাকর্মীরাও সংহতি প্রকাশ করেছেন।

শিক্ষার্থীরা বলছেন, “প্রশাসনের পক্ষ থেকে গত বছরের ডিসেম্বরে জানানো হয়েছিল যে এ বছরের ৩১ মার্চের মধ্যেই এই স্থানান্তর সম্পন্ন করা হবে। সে সময়সীমা পেরিয়ে গেলেও এখনো তেমন কোনো দৃশ্যমান উদ্যোগ লক্ষ্য করা যায়নি। প্রশাসনের দেওয়া সময় পেরিয়ে গেছে অনেক আগেই। আমরা বারবার আশ্বাস পাচ্ছি, কিন্তু কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি নেই।”

জানতে চাইলে অনশনরত এক শিক্ষার্থী বলেন, “আমরা ২৬ ঘণ্টা ধরে অনশনে আছি। প্রশাসনের অনেকেই আমাদেরকে বুঝানোর চেষ্টা করছেন। আমাদের দাবি হলো একটা যৌক্তিক সমাধানের মাধ্যমে চারুকলা ইন্সটিটিউটকে যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে ফিরিয়ে আনা হয়। এখনও কেন এই কাজে বিলম্ব হচ্ছে এটা আমাদের প্রশ্ন। এর আগে আমরা দীর্ঘদিন ক্যাম্পাসে ফেরার আন্দোলন করেছি।”

তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন আমাদের আশ্বাস দিলেও চারুকলা ক্যাম্পাসের আলোর মুখ দেখছে না। এখানে আমাদের চারুকলার যেসব শিক্ষক রয়েছেন, তারাই মূলত বাঁধা প্রদান করছেন। তারা সহযোগিতা না করায় আমরা ক্যাম্পাসে ফিরতে পারছি না।”

দ্রুত সময়ের মধ্যে চারুকলাকে ক্যাম্পাসে দেখতে চাই। আমরা মরে গেলেও দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি চলবে বলেও জানান তিনি।

উল্লেখ্য, আবাসন সংকট, জীবনযাত্রার অত্যধিক খরচ, চারুকলার ভবনগুলোর বেহাল দশা এবং অন্যান্য সুবিধার অভাবে দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে ফিরতে আন্দোলন করে আসছেন শিক্ষার্থীরা। সর্বশেষ গত বছরের ডিসেম্বরে আন্দোলনের পর প্রশাসন ১ এপ্রিল থেকে ক্যাম্পাসে ক্লাস করার আশ্বাস দিলেও তা কার্যকর না হওয়ায় শিক্ষার্থীরা অনশন শুরু করেছেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে