ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

ফিলি'স্তিনের প্রেসিডেন্টকে পশ্চিম তীর পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি ই'সরায়েল

২০২৫ এপ্রিল ২০ ১১:৩৯:১১
ফিলি'স্তিনের প্রেসিডেন্টকে পশ্চিম তীর পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি ই'সরায়েল

ডুয়া ডেস্ক: ফিলিস্তিনের অধিকৃত গাজার পাশাপাশি পশ্চিম তীরেও হামলা চালিয়ে আসছে দখলদার ইসরায়েল। এদিকে ফিলিস্তিনি প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফাকে অধিকৃত পশ্চিম তীরের শহর ও গ্রাম পরিদর্শনের অনুমতি দেয়নি ইসরাইলি কর্তৃপক্ষ। এসব ফিলিস্তিনি শহর ও গ্রাম বরাবরাই অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়ে আসছে।

আজ রবিবার (২০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে তুরস্কের বার্তা সংস্থা আনাদোলু।

বসতি ও দেয়াল প্রতিরোধ কমিশনের প্রধান মুআয়্যাদ শাবান বলেন, "ইসরাইল রামাল্লাহর পূর্বে অবস্থিত বুরকা ও দেইর দিবওয়ান এবং নাবলুসের দক্ষিণে দোমা ও কুসরা গ্রামগুলোতে প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফার সফরের জন্য প্রয়োজনীয় সমন্বয় করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে।"

এই এলাকাগুলোর সাধারণ মানুষ গত কয়েক মাস ধরে অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের সহিংস আক্রমণ ও ইসরাইলি সেনাবাহিনীর উপস্থিতির মুখোমুখি হচ্ছেন।

শাবান জানান, "ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ ও ইসরাইলের মধ্যে যে চুক্তি রয়েছে, তার আওতায় ফিলিস্তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যেকোনও চলাচলের জন্য ইসরাইলের সঙ্গে সমন্বয় করা বাধ্যতামূলক, কারণ তাদের সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীও থাকে। কিন্তু এবার সেই সমন্বয় প্রত্যাখ্যান করেছে ইসরাইল।"

শাবান এটিকে ‘বিপজ্জনক নজির’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

ইসরায়েলি সরকারের সাম্প্রতিক সিদ্ধান্তের পেছনে মূলত অবৈধ বসতি স্থাপনকারীদের চাপই কাজ করেছে। জানা গেছে, তারা ফিলিস্তিনের প্রধানমন্ত্রী মোহাম্মদ মুস্তাফার সফরের বিরুদ্ধে উসকানিমূলক প্রচারণা চালায় এবং সফর বাতিলের দাবি তোলে। শেষ পর্যন্ত, তাদের দাবির প্রতি সাড়া দিয়েই ইসরায়েলি কর্তৃপক্ষ প্রধানমন্ত্রী মুস্তাফার সফরের অনুমতি দেয়নি।

তুর্কি বার্তা সংস্থা আনাদোলুর তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪ সালের শেষ নাগাদ পশ্চিম তীরে প্রায় ৭ লাখ ৭০ হাজার ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারী বসবাস করছেন। তারা ১৮০টি সরকারি অনুমোদনপ্রাপ্ত বসতি এবং ২৫৬টি অননুমোদিত আউটপোস্টে বসবাস করেন। এর মধ্যে ১৩৮টি বসতি কৃষিকাজ ও পশুপালন নির্ভর।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে