ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনের পথ বন্ধে উদ্যোগ সরকারের

২০২৫ এপ্রিল ১৭ ১৩:৫৯:০৮
সরকারি চাকরিজীবীদের আন্দোলনের পথ বন্ধে উদ্যোগ সরকারের

ডুয়া ডেস্ক: সরকারি চাকরিজীবীরা দীর্ঘদিন ধরে নানা দাবিদাওয়া আদায়ে আন্দোলনে অংশ নিয়ে আসছিলেন। বিশেষ করে গত বছরের ৫ আগস্ট সরকারের পরিবর্তনের পর তাঁরা ধারাবাহিকভাবে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করেছেন। এই প্রেক্ষাপটে সরকারি চাকরিজীবীদের দলবদ্ধ আন্দোলনের পথ বন্ধ করতে উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ইতোমধ্যেই একটি অধ্যাদেশের খসড়া প্রস্তুত করেছে, যা উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদন পেলেই কার্যকর করা হবে। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, সরকারি নির্দেশনার পর তড়িঘড়ি করে খসড়াটি তৈরি করা হয়েছে।

এই সংশোধনীতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব রয়েছে—যার মাধ্যমে তিনজনের বেশি সরকারি কর্মচারী একসঙ্গে কোনো কর্মসূচিতে অংশ নিতে পারবেন না। এই অধ্যাদেশ কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীদের সংগঠিত আন্দোলনের আইনি সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যাবে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, “সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ শেষ হয়েছে। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত সরকারের।”

খসড়াটি ইতোমধ্যে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের একটি পর্যালোচনা কমিটিতে পাঠানো হয়েছে। আজকের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এটি উপস্থাপনের সম্ভাবনা রয়েছে।

এ বিষয়ে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব ড. মো. মোখলেস উর রহমান কোনো মন্তব্য না করলেও বলেন, “আইন সংশোধন হলে সবাই জানতে পারবেন, কিছুই গোপন করা হবে না।”

তবে সংশ্লিষ্ট অনেক কর্মকর্তা মনে করছেন, এই আইন কার্যকর হলে সরকারি চাকরিজীবীদের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে। তাঁদের অভিযোগ, অন্তর্বর্তী সরকার যেহেতু চুক্তিভিত্তিক কর্মকর্তাদের দিয়ে পরিচালিত হচ্ছে, তাই তাঁদের কোনো দীর্ঘমেয়াদি দায়বদ্ধতা নেই।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আন্দোলনের বিভিন্ন ঘটনা নিয়েও সমালোচনা আছে। ৫ আগস্টের পর ডিসি নিয়োগ, পুল কোটা, পদোন্নতি ইত্যাদি নিয়ে সচিবালয়ে আন্দোলন, হট্টগোল ও শোডাউনের মতো ঘটনা ঘটেছে, যা সরকারি চাকরির শৃঙ্খলা ও পেশাদারিত্বে বড় প্রশ্ন তুলেছে।

সাবেক সচিব এ কে এম আবদুল আউয়াল মজুমদার বলেন, “আমরা অনেক সময় যৌক্তিকতা বিবেচনা না করেই দাবি তুলে ধরি। প্রশাসন ক্যাডারের সাম্প্রতিক আচরণ ছিল নজিরবিহীন। তাই কিছু নিয়ম-নিষেধ থাকা দরকার, না হলে রাষ্ট্র চালানো কঠিন হবে।”

অস্থির পরিস্থিতির পটভূমিতে অন্তর্বর্তী সরকার এই পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। সংশ্লিষ্ট মহল মনে করছে, আন্দোলনের এই প্রবণতা নিয়ন্ত্রণে আনা জরুরি হয়ে পড়েছে।

তথ্য: আজকের পত্রিকা

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে