ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

জলকেলিতে মাতোয়ারা মারমা তরুণ-তরুণীরা

২০২৫ এপ্রিল ১৬ ১৯:৫৯:৪৪
জলকেলিতে মাতোয়ারা মারমা তরুণ-তরুণীরা

ডুয়া ডেস্ক: “শান্তি ও সমৃদ্ধির চেতনায় উজ্জীবিত মাহা সাংগ্রাই” প্রতিপাদ্যে পার্বত্য জেলা বান্দরবানে আজ থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী মাহা সাংগ্রাই পোয়ে উৎসব। পুরাতন বছরকে বিদায় এবং নতুন বছরকে বরণ করে নিতে মারমা জনগোষ্ঠীর সবচেয়ে বড় এই উৎসবের সূচনা হয়েছে মৈত্রী পানিবর্ষণ বা জলকেলি অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে।

আজ বুধবার (১৬ এপ্রিল) বিকেলে রাজার মাঠে আনুষ্ঠানিকভাবে জলকেলি উৎসবের উদ্বোধন করেন উৎসব উদযাপন পরিষদ। ১১টি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর অংশগ্রহণে উদ্বোধনী সংগীত পরিবেশনার মাধ্যমে শুরু হয় উৎসবের মূল আয়োজন।

উৎসবে মারমা তরুণ-তরুণীরা নৌকার খালি অংশে পানি রেখে দুই পাশে দাঁড়িয়ে একে-অপরকে পানি ছিটিয়ে বন্ধনের প্রতীকী প্রকাশ ঘটান। এই জলকেলির পাশাপাশি চলে মনোমুগ্ধকর সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

এবারের সাংগ্রাই উৎসবে কয়েক হাজার মারমা নারী-পুরুষ, যুবক-যুবতী এবং পাহাড়ি নানা সম্প্রদায়ের মানুষ অংশ নিয়েছেন। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও বিপুল সংখ্যক পর্যটক এসেছেন এই রঙিন উৎসব উপভোগ করতে। জলকেলির পাশাপাশি বিভিন্ন আদিবাসী নৃত্য ও সংস্কৃতি দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে।

এ বিষয়ে সমাজকর্মী ডনাই প্রু নেলি বলেন, “পুরাতন বছরের দুঃখ ভুলে মৈত্রী পানিবর্ষণের মাধ্যমে সাংগ্রাই উদযাপন করা হয়। এ বছর উৎসবে হারিয়ে যাওয়া গ্রামবাংলার খেলাগুলোও ফিরেছে। ভবিষ্যতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে এসব খেলায় অংশ নিয়ে সমাজে সমতা ফিরবে।”

প্রতিবছর চৈত্র সংক্রান্তি ও বাংলা নববর্ষ উপলক্ষে ত্রিপুরা সম্প্রদায় ‘বৈসুক’, মারমারা ‘সাংগ্রাই’ এবং চাকমা ও তঞ্চঙ্গ্যা সম্প্রদায় ‘বিজু’ নামে এই উৎসব উদযাপন করে। তিনটির আদ্যক্ষর নিয়ে একত্রে এই উৎসবকে বলা হয় ‘বৈসাবি’।

উৎসব উদযাপন কমিটির সভাপতি চনুমং মারমা বলেন, “মৈত্রী পানি বর্ষণের মাধ্যমে তিন দিনের উৎসব শুরু হয়েছে। এবারে লোকজ সংস্কৃতিকে গুরুত্ব দিয়ে পুরো আয়োজন সাজানো হয়েছে।”

তিনি প্রশাসনের সার্বিক সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান।

এ দিন সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বাঙালি ও ১২টি জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধি এবং হাজারো দর্শনার্থী উপস্থিত ছিলেন উৎসব প্রাঙ্গণে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

লাইফস্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফস্টাইল - এর সব খবর



রে