ঢাকা, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫, ৫ বৈশাখ ১৪৩২

আওয়ামী লীগের নতুন পরিকল্পনা ফাঁস

২০২৫ এপ্রিল ১৬ ০৯:৫০:১৪
আওয়ামী লীগের নতুন পরিকল্পনা ফাঁস

ডুয়া ডেস্ক: সরকার পরিবর্তনের পর দেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি স্পষ্টভাবে লক্ষ্য করা যাচ্ছে। পুলিশের মনোবল ভেঙে পড়ার সুযোগে নানা অপরাধ ও সহিংসতার ঘটনা বাড়ছে। গোয়েন্দা সংস্থার সূত্র জানায়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা গোপনে দলবদ্ধ হয়ে ঢাকায় জড়ো হচ্ছেন এবং তাদের মূল টার্গেট এখন পুলিশ। দেশের নিরাপত্তাবাহিনীর মনোবল দুর্বল করে দিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জনসাধারণের আস্থা নষ্ট করাই তাদের লক্ষ্য।

গোয়েন্দা রিপোর্টে বলা হয়, সাবেক শাসকগোষ্ঠীর এই দোসররা পুলিশের ওপর ধারাবাহিকভাবে হামলা চালাচ্ছে। গত সাত মাসে পুলিশের ওপর পাঁচ শতাধিক হামলার ঘটনা ঘটেছে, যার মধ্যে মার্চ মাসে সবচেয়ে বেশি হামলার ঘটনা ঘটে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও চলছে প্রোপাগান্ডা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে পুলিশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করার অপচেষ্টা।

একাধিক মামলার আসামি আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম মোস্তফাকে ১২ মার্চ মোহাম্মদপুর থেকে গ্রেফতার করলেও তার সহযোগীরা পুলিশকে মারধর করে তাকে ছাড়িয়ে নেয়। এরপর থেকেই তিনি পলাতক। এছাড়া ২৩ মার্চ হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় পুলিশের হাতে আটক আশিক মিয়াকে হাতকড়াসহ ছিনিয়ে নেওয়া হয় তখন পুলিশের দুই সদস্য আহত হন। তবে এসব হামলার অধিকাংশ ঘটনায় জড়িতদের এখনো গ্রেফতার করা যায়নি।

পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্যমতে, গত সাত মাসে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সারাদেশে ৩২২টি মামলা হয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি হামলা হয়েছে ঢাকা মহানগর এলাকায় (ডিএমপি)। মার্চ মাসেই ডিএমপিতে ২৩টি হামলার ঘটনা ঘটে।

গোয়েন্দারা আশঙ্কা করছেন, আত্মগোপনে থাকা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন কৌশলে দেশব্যাপী অস্থিরতা তৈরির চেষ্টা করছে। এর ফলে অন্তর্বর্তী সরকারের কর্মকাণ্ড বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।

মাঠ পর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের মধ্যে এখন ‘মব’ আতঙ্ক বিরাজ করছে। আসামি গ্রেফতারের পর থানায় হামলার ঘটনাও ঘটছে। বিশেষ করে রাজধানীর বিভিন্ন থানা সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে।

পুলিশের সাবেক কর্মকর্তারা মনে করছেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে পুলিশকে আরও কঠোর হতে হবে। সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, "পুলিশের কাজই এমন যে এতে চ্যালেঞ্জ আসবেই কিন্তু এগুলো প্রতিরোধ করতে হবে।" আরেক সাবেক আইজিপি নূর মোহাম্মদ বলেন, "বর্তমানে পুলিশ একটি অস্বাভাবিক সময় পার করছে। অনেক সদস্য এখনো ট্রমার মধ্যে রয়েছেন।"

পুলিশ সদর দপ্তরের এআইজি ইনামুল হক সাগর জানান, হামলাকারীদের ধরতে তৎপরতা চলছে এবং কোনোভাবেই ছাড় দেওয়া হবে না।

অপরাধ বিশ্লেষকরা বলছেন, অপরাধীদের পার পেয়ে যাওয়াই পুলিশের মনোবলে প্রভাব ফেলছে। এ কারণে অভিযান চালাতে গিয়ে পুলিশ সদস্যদের অতিরিক্ত সতর্ক থাকতে হচ্ছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে