ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

শেখ পরিবার ও ১০ গ্রুপের ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ

২০২৫ এপ্রিল ১৫ ২৩:৩৬:৪০
শেখ পরিবার ও ১০ গ্রুপের ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার জব্দ

ডুয়া নিউজ: বিদেশে পাচার হওয়া সম্পদ দেশে ফিরিয়ে আনা এবং সেগুলোর সঠিক ব্যবস্থাপনার লক্ষ্যে সরকার আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স পুনর্গঠন করেছে।

টাস্কফোর্স জানিয়েছে, গত জুলাইয়ের অভ্যুত্থানের পর দেশ ত্যাগকারী সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ হিসেবে প্রায় ১৭ হাজার কোটি টাকার শেয়ার আদালতের নির্দেশে জব্দ করা হয়েছে।

এছাড়া, প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা বিভিন্ন ব্যাংক অ্যাকাউন্ট থেকে জব্দ করা হয়েছে এবং ৮৪ জনের বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (১৫ এপ্রিল) বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ে গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সভাপতিত্বে টাস্কফোর্সের সপ্তম সভা অনুষ্ঠিত হয়।

সভায় দ্রুত মামলা দায়ের ও নিষ্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয় এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের পরামর্শ দেওয়া হয়।

বৈঠকে উপস্থিত এক কর্মকর্তা জানান, অর্থপাচার সংক্রান্ত বিভিন্ন সরকারি সংস্থার কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয়েছে। গভর্নর আহসান এইচ মনসুর এসব মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির ওপর গুরুত্ব দেন এবং বিদেশে পাচার হওয়া অর্থ ফেরত আনার জন্য যৌথ প্রচেষ্টা চালানোর নির্দেশনা দেন।

শেখ হাসিনার পরিবারের বাইরেও ১০টি বড় শিল্পগোষ্ঠীর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, যার মধ্যে রয়েছে:

  • এস আলম গ্রুপ

  • বেক্সিমকো গ্রুপ

  • নাবিল গ্রুপ

  • সামিট গ্রুপ

  • ওরিয়ন গ্রুপ

  • জেমকন গ্রুপ

  • নাসা গ্রুপ

  • বসুন্ধরা গ্রুপ

  • সিকদার গ্রুপ

  • আরামিট গ্রুপ

এই শিল্পগোষ্ঠীর প্রধানদের ব্যক্তিগত আর্থিক লেনদেন ও বিদেশে সম্পদ সম্পর্কেও তদন্ত চলছে। অনেকেই ইতিমধ্যে বাংলাদেশি নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন।

গত সেপ্টেম্বরে, সরকার নতুন করে ৯ সদস্যবিশিষ্ট আন্তঃসংস্থা টাস্কফোর্স গঠন করে, যেখানে গভর্নর আহসান এইচ মনসুর সভাপতির দায়িত্বে আছেন। এর আগে, এই টাস্কফোর্সের নেতৃত্বে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল এবং সদস্য সংখ্যা ছিল ১৪।

অর্থপাচার বিষয়ক তদন্ত ও নজরদারি চালাচ্ছে সিআইডি, এনবিআর, দুর্নীতি দমন কমিশন ও অন্যান্য সংস্থার সমন্বয়ে গঠিত একটি যৌথ তদন্ত দল, যা পরিচালনা করছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সম্প্রতি গভর্নর লন্ডন সফরে গিয়ে আন্তর্জাতিক বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে বৈঠক করেন। বৈঠকে তিনি বলেন, যদি পর্যাপ্ত প্রমাণ উপস্থাপন করা যায়, তাহলে তিনটি আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান পাচার হওয়া অর্থ উদ্ধার প্রক্রিয়ায় ৫ কোটি ডলার পর্যন্ত বিনিয়োগে আগ্রহ দেখিয়েছে। এ লক্ষ্যে গভর্নর তাদের বাংলাদেশে এসে মামলা ও তদন্ত কার্যক্রম সরেজমিনে পর্যালোচনার আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে