ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

সরকারি কাজের টাকায় জিলাপি দাবি: ওসি’র ফোনালাপ ভাইরাল

২০২৫ এপ্রিল ১৫ ১৪:২৩:১৯
সরকারি কাজের টাকায় জিলাপি দাবি: ওসি’র ফোনালাপ ভাইরাল

ডুয়া ডেস্ক : কিশোরগঞ্জের ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেনের একটি অডিও রেকর্ড সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে, যেখানে তিনি টেন্ডারের লাভের টাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক নেতার কাছে জিলাপি খেতে চেয়েছেন।

ভাইরাল হওয়া অডিওতে ওসি মনোয়ারকে বলতে শোনা যায়, “সেফটি সিকিউরিটি তো সারাজীবন দিলাম। তোমরা ১৮ লাখ টাকার কাজ করে ১০ লাখ টাকা লাভ করলে, আর ১০ টাকার জিলাপিও কিনে লোকজনকে খাওয়ালে না। খাইয়ে অন্তত আমাদের একটা দোয়া করাইতে। আমি তোমার জায়গায় থাকলে সুদের টাকাও এনে আগে জিলাপি খাওয়াতাম। দোয়া আগে দরকার, পরে তো বিল আসবেই। তাই না?” অডিওটি ছড়িয়ে পড়ার পর বিষয়টি নিয়ে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে।

ওসি আরও বলেন, ঠিক আছে তাহলে, জিলাপির অপেক্ষায় রইলাম নাকি? না না, জিলাপি হইলেই হইবো। এক প্যাঁচ আধা প্যাঁচ (এক পিস আধা পিস) জিলাপি দিলে হইবো। বিভিন্ন পারপাসে হইলে পাবলিক খাইলো আর কী, বোঝ না?

এ সময় ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা বলেন, বিল-টিল পাই, একটা অ্যামাউন্ট দেখবো নে।উত্তরে ওসি বলেন, ঠিক আছে।

ভুক্তভোগী ছাত্রনেতা (ইটনা উপজেলার সংগঠন) আফজাল হুসাইন শান্ত বলেন, আমি ইটনা উপজেলার বলদা হাওরে পানি উন্নয়ন বোর্ডের ১৪৮০ মিটার ফসল রক্ষা বাঁধের কাজ পাই টেন্ডারের মাধ্যমে। কাজ শেষ হওয়ার পরে থানায় গেলে তিনি (ওসি) জিলাপি খেতে টাকা চাইতেন। তখন রেকর্ড করতে পারিনি। পরে ওসির সঙ্গে ফোনে আমার কথা হলে তিনি আমার কাছে ফসল রক্ষা বাঁধ করে যে লাভ হয়েছে, সেখান থেকে জিলাপি খেতে চান।

ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, আমি সরকারি কাজ পেয়েছি টেন্ডারের মাধ্যমে। এখানে ওসি কীভাবে জিলাপি খেতে চাইতে পারেন? আমার কাছে যদি জিলাপি খাইতে চাইতে পারে, তাহলে সাধারণ মানুষ কতটা শান্তিতে আছে বুঝতে পারছেন?

এ বিষয়ে ইটনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনোয়ার হোসেন জানান, তিনি নিজেও অডিওটি শুনেছেন। মজার ছলে কথাটি বলেছেন বলে দাবি করেন তিনি। তবে টাকার পরিমাণ সম্পর্কে প্রশ্ন করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে গিয়ে বলেন, অডিওটি এডিটেড হতে পারে।

এদিকে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন বলেন, “ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানাই।”

এ প্রসঙ্গে কিশোরগঞ্জের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাসান চৌধুরী বলেন, “বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখছি। তদন্ত করে অভিযোগ প্রমাণিত হলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন
ট্যাগ: ভাইরাল ওসি

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে