ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৫ এপ্রিল ২০২৫, ২ বৈশাখ ১৪৩২

নিউইয়র্কে বাঙালির বৈশাখী সুর

২০২৫ এপ্রিল ১৪ ১৪:৩৯:৪৩
নিউইয়র্কে বাঙালির বৈশাখী সুর

ডুয়া ডেস্ক : বৃষ্টিভেজা নিউইয়র্কের টাইমস স্কয়ারও যেন মেতেছিল বাংলা নববর্ষের উৎসবের রঙে। সুর, নৃত্য আর উচ্ছ্বাসে ভরে উঠেছিল ঐতিহাসিক এই স্থান। সহস্র বাঙালির স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে এবং বিদেশি অতিথিদের উপস্থিতিতে বাংলা বর্ষবরণ পেয়েছে আন্তর্জাতিক মাত্রা।

এ বছরের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয় সদ্যপ্রয়াত সংস্কৃতিসাধক ও ছায়ানটের সভাপতি প্রফেসর ড. সনজীদা খাতুনকে। বর্ষবরণ উপলক্ষে ১২ এপ্রিল টাইমস স্কয়ার এবং ১৩ এপ্রিল জ্যাকসন হাইটসে দুই দিনব্যাপী অনুষ্ঠান আয়োজন করে বিশ্ববাঙালি সংগঠন।

আয়োজনে অংশ নেয় থাইল্যান্ড, নেপাল, ভুটানসহ বিভিন্ন দেশের কনসাল জেনারেল এবং অতিথিরা। এতে গান, নৃত্য, মঙ্গল শোভাযাত্রা ও বৈশাখী মেলায় অংশ নেয় প্রবাসী বাঙালির পাশাপাশি অন্যান্য জাতিগোষ্ঠীর মানুষজনও। শিশুদের কণ্ঠে গান আর বড়দের সম্মিলিত পরিবেশনায় বর্ষবরণ উৎসব হয়ে ওঠে বহু কণ্ঠের সুরেলা আয়োজন।

কণ্ঠশিল্পী মহীতোষ তালুকদার তাপসের পরিচালনায় শতকণ্ঠের পরিবেশনা এবং রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যার ‘সুরের ধারা’ আয়োজনটিকে নিয়ে যায় এক নতুন উচ্চতায়। নারী-পুরুষের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে অংশগ্রহণ ও পরিবেশনা বাংলার জয়গান তোলে বিশ্বমঞ্চে।

১৪৩২ বঙ্গাব্দের বর্ষবরণের একটি বিশেষ দিক ছিল এই উৎসবের বহুমাত্রিকতা। এই বছরই নিউইয়র্ক রাজ্য সরকার ১৪ এপ্রিলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলা নববর্ষ হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আলবেনিতে গভর্নর অফিস থেকে জানানো হয়েছে, এ উৎসব এবার ২৮ এপ্রিল সরকারি উদ্যোগে উদযাপন করা হবে।

২০২৫ সালের ২২ জানুয়ারি নিউইয়র্ক সিনেটে সর্বসম্মতভাবে পাস হয় বাংলা নববর্ষ উদযাপন প্রস্তাব, যা প্রস্তাব করেছিলেন সিনেটর লুইস সেপুলভেদা মুক্তধারা ফাউন্ডেশনের অনুরোধে। এই রেজুলেশনের মাধ্যমে বলা হয়, সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য ও সম্প্রতির প্রতীক হিসেবে এই স্বীকৃতি প্রদান করা হয়েছে।

২০২৩ সালে টাইমস স্কয়ারে প্রথমবারের মতো বাংলা বর্ষবরণ উৎসব শুরু হয়েছিল। মাত্র দুই বছরের ব্যবধানে ২০২৫-এ এসে এই আয়োজনটি আন্তর্জাতিক পরিচিতি পেয়েছে, যা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে থাকা বাঙালিদের জন্য নিঃসন্দেহে গর্বের বিষয়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

প্রবাস এর সর্বশেষ খবর

প্রবাস - এর সব খবর



রে