ঢাকা, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

জেলা আইনজীবী সমিতির ২১ পদেই ‌‘অটোপাস’ বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা

২০২৫ এপ্রিল ১২ ১০:৩২:১৬
জেলা আইনজীবী সমিতির ২১ পদেই ‌‘অটোপাস’ বিএনপি-জামায়াতের প্রার্থীরা

ডুয়া ডেস্ক: চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ২১টি পদেই বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ী হতে যাচ্ছেন বিএনপি ও জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা। শুক্রবার (১১ এপ্রিল) মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ দিনে প্রতিটি পদের বিপরীতে মাত্র একজন করে প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দেন। যাচাই-বাছাই শেষে সকল প্রার্থীর মনোনয়ন বৈধ ঘোষণা করা হয়। ফলে শনিবার (১২ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে। সমিতির ১৩২ বছরের ইতিহাসে এটি নজিরবিহীন ঘটনা বলে উল্লেখ করেছেন সংশ্লিষ্ট আইনজীবীরা।

নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগ ও এলডিপি সমর্থিত আইনজীবীরা মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করতে না পারার অভিযোগ তুলেছেন। তারা দাবি করেছেন, মনোনয়নপত্র সংগ্রহের সময় তাদের বাধা দেওয়া হয়েছে এবং এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেওয়া হলেও সংশ্লিষ্টরা কোনো ব্যবস্থা নেননি।

সূত্র জানায়, ২১টি পদের মধ্যে ১৪টিতে বিএনপি সমর্থিত এবং ৭টিতে জামায়াত সমর্থিত প্রার্থীরা নির্বাচিত হচ্ছেন। সভাপতি পদে আবদুস সাত্তার, সাধারণ সম্পাদক পদে হাসান আলী চৌধুরী, সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে কাজী মো. সিরু, সহ-সভাপতি পদে আলমগীর মোহাম্মদ ইউনুস, সহ-সম্পাদক পদে ফজলুল বারী, অর্থ সম্পাদক পদে আনোয়ার হোসেন, পাঠাগার সম্পাদক পদে তৌহিদুল ইসলাম, তথ্য ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে আবদুল জব্বার, সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে আশরাফী বিনতে মোতালেব এবং ক্রীড়া সম্পাদক পদে মঞ্জুর হোসেন বিজয়ী হচ্ছেন। এছাড়া সদস্য পদে আহসান উল্লাহ, আসমা খানম, বিবি ফাতেমা, মেজবাহ উল আলম, রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী, রাহিলা গুলশান শাহেদ হোসেন, হেলাল উদ্দিন, রোবায়তুল করিম, মোহাম্মদ মোরশেদ এবং সাজ্জাদ কামরুল হোসেন নির্বাচিত হচ্ছেন।

আওয়ামী লীগ সমর্থিত সভাপতি প্রার্থী অ্যাডভোকেট আবদুর রশিদ অভিযোগ করেন, ভোটের ওপর আস্থা না রেখে সমিতির ইতিহাস কলঙ্কিত করা হয়েছে। এলডিপি সমর্থিত প্রার্থী শাহাদাত হোসেন জানান, জননিরাপত্তা ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর হয়েও তিনি মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে পারেননি।

আইনজীবী সমিতির সাবেক সাধারণ সম্পাদক এ এইচ এম জিয়া উদ্দিন বলেন, অতীতে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থীরাও নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন ও বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু এবার তাদের পক্ষ থেকে চক্ষুলজ্জার কোনো বালাই রাখা হয়নি।

প্রসঙ্গত, গত ৮ এপ্রিল নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হয় এবং ১০ এপ্রিল ছিল মনোনয়নপত্র সংগ্রহের শেষ দিন। ৪ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন পরিচালনা কমিটির পদত্যাগ ও পরবর্তী উত্তেজনাকর পরিস্থিতির পর ১৬ ফেব্রুয়ারি অ্যাডহক কমিটি গঠন করা হয়। নির্ধারিত দিনে ভোট হওয়ার কথা থাকলেও একক প্রার্থিতা থাকায় আর ভোটগ্রহণ হচ্ছে না।

মুখ্য নির্বাচনী কর্মকর্তা তারিক আহমেদ জানান, সব পদে একক প্রার্থী থাকায় যাচাই-বাছাই শেষে সবাইকে বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং শনিবার আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের বিজয়ী ঘোষণা করা হবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে