ঢাকা, শনিবার, ১২ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য জাপানে চাকরির নতুন দরজা খুলল

২০২৫ এপ্রিল ১১ ১৪:০৭:২৯
বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য জাপানে চাকরির নতুন দরজা খুলল

ডুয়া ডেস্ক :বিদেশে কর্মসংস্থানের দিক দিয়ে জাপান এখন অন্যতম আকর্ষণীয় গন্তব্য, যেখানে আয়ও তুলনামূলকভাবে বেশি। জাপানি ভাষা প্রশিক্ষণ গ্রহণের মাধ্যমে বিনা খরচে দেশটিতে যাওয়ার সুযোগ তৈরি হয়েছে বাংলাদেশি কর্মীদের জন্য।

২০১৭ সাল থেকে জাপানে কারিগরি শিক্ষানবিশ কর্মী পাঠানো শুরু হয়। সেই উদ্যোগকে আরও সম্প্রসারিত করতে এবার দেশটির একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে বাংলাদেশ সরকার।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়। এতে মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সই করেন জ্যেষ্ঠ সচিব নেয়ামত উল্যা ভূঁইয়া এবং জাপানের ওনোডেরা ইউজার রান ইনকরপোরেশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট তাকাশি সুগেনো।

এতে বলা হয়, বাংলাদেশি কর্মীরা বিনা মূল্যে জাপানি ভাষা ও কারিগরি বিষয়ে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন। প্রশিক্ষিত কর্মীরা বিনা অভিবাসন ব্যয়ে জাপানে কর্মসংস্থানের সুযোগ পাবেন। জাপানে বেশি হারে কর্মী পাঠানোর সুযোগ তৈরি হবে।

কেয়ারগিভার, ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্যাকেজিং, প্লাস্টিক মোল্ডিং, রড বাইন্ডিং, স্ক্যাফোল্ডিং, কার পেইন্টিং, ওয়েল্ডিং ও অটোমোবাইল মেকানিক খাতে প্রশিক্ষণের সুযোগ পাবেন কর্মীরা। চুক্তি শেষে জাপান থেকে ফিরে আসা কর্মীরা দেশীয় শিল্প খাতে তাঁদের জ্ঞান ও অভিজ্ঞতা প্রয়োগ করতে পারবেন।

এ উদ্যোগকে “একটি ঐতিহাসিক মাইলফলক” আখ্যা দিয়ে নেয়ামত উল্যা বলেন, উন্নত দেশের চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল গড়ে তুলতে এবং নিরাপদ অভিবাসন নিশ্চিত করতে সরকার নিরবচ্ছিন্নভাবে কাজ করছে।

প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান উপদেষ্টা অধ্যাপক আসিফ নজরুল বলেন, গত সাত বছরে বাংলাদেশ থেকে ৬৯৫ জন টেকনিক্যাল ইন্টার্ন জাপানে গেছেন। এবার আরও বড় পরিসরে কর্মী পাঠাতে জাপানের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে নতুন সমঝোতা স্মারক সই করেছে বাংলাদেশ সরকার। এতে জাপানে কর্মসংস্থানের সম্ভাবনায় নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে।

তিনি বলেন, “নতুন এই সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে জাপানে আরও বেশি কর্মী পাঠানো সম্ভব হবে। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা।”

এর আগে, ২০১৭ সালে ইন্টারন্যাশনাল ম্যানপাওয়ার ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (আইএম) জাপানের সঙ্গে সরকারের চুক্তির আওতায় সরকারিভাবে দক্ষ শ্রমিক পাঠানো শুরু হয়। দেশের বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণকেন্দ্রে জনশক্তি কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো (বিএমইটি) চার মাস মেয়াদি জাপানি ভাষার প্রশিক্ষণ দেয়। এরপর নির্বাচিত কর্মীরা আইএম জাপানের তত্ত্বাবধানে আরও চার মাসের প্রশিক্ষণ শেষে জাপানে পাড়ি জমান।

জাপানে একজন কর্মী গড়ে প্রতি মাসে বাংলাদেশি মুদ্রায় ১ লাখ ২৪ হাজার থেকে ১ লাখ ৫৭ হাজার টাকা পর্যন্ত আয় করেন।

বিশ্বে সবচেয়ে বেশি গড় আয়ু (প্রায় ৮৪ বছর) হওয়ার কারণে জাপানে বয়স্কদের সেবাদানসহ নার্সিং, নির্মাণ, কৃষি, হোটেল ম্যানেজমেন্ট ও প্রযুক্তিখাতে দক্ষ জনশক্তির চাহিদা বাড়ছে। তবে জাপান বরাবরই বিদেশি শ্রমিক নিয়োগে রক্ষণশীল। সেখানে কাজ করতে হলে জাপানি ভাষায় দক্ষতা আবশ্যক।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে