ঢাকা, রবিবার, ১৩ এপ্রিল ২০২৫, ২৯ চৈত্র ১৪৩১

ফি’লিস্তিনের পক্ষে যু’দ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি: অধ্যাপক মোর্শেদ

২০২৫ এপ্রিল ১০ ১৩:০১:২৪
ফি’লিস্তিনের পক্ষে যু’দ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছি: অধ্যাপক মোর্শেদ

ঢাবি প্রতিনিধি : ফিলিস্তিনের মুক্তির জন্য প্রয়োজনে দখলদার ইসরাইলের বিরুদ্ধে যুদ্ধে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত আছেন বলে অভিব্যক্তি প্রকাশ করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিএনপি-জামায়াতপন্থী শিক্ষকদের সংগঠন সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোর্শেদ হাসান খান।

বৃহস্পতিবার (১০ এপ্রিল) সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে আয়োজিত এক মানববন্ধনে এই মন্তব্য করেন তিনি। ফিলিস্তিনে গণহত্যার প্রতিবাদে সাদা দল এই মানববন্ধনের আয়োজন করে।

ইসরায়েলের গণহত্যা আন্তর্জাতিক শক্তির নীরব সমর্থন ও মুনাফার রাজনীতি হিসেবে উল্লেখ করেন অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান। তিনি বলেন, ইসরায়েলকে সশস্ত্র জবাব দিতে হবে। সারা বিশ্বের সবগুলো দেশকে ঐক্যবদ্ধ থেকে ইসরাইলকে মোকাবিলা করতে হবে। যদি প্রয়োজন হয় তাহলে যুদ্ধে নাম লেখাতে আমরা প্রস্তুত আছি। অবিলম্বে গাজায় গণহত্যা বন্ধ করতে হবে।

ঢাবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এম জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অংশ হিসেবে নয় শিক্ষক হিসেবে এখানে এসেছি। আমাদের যদি মনুষ্যত্ববোধ থেকে থাকে তাহলে সকলেরই এ বিষয়ে সামনে আসা উচিত। আমাদের যদিও করার কিছু নেই কিন্তু আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ইসরাইল যা খুশি করুক না কেন তারা ফিলিস্তিনি জাতির কিছুই করতে পারবে না তারা জেগে থাকবে, টিকে থাকবে। ইসরায়েলের সাথে যেসব প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা আছে তার সাথে আমাদের সম্পর্কচ্ছেদ করতে হবে।

সাদা দলের যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. আব্দুস সালাম বলেন, আজকে গাজায় যত মানবাধিকার আছে সব লঙ্ঘন করা হচ্ছে, এর প্রতিবাদ আমাদের করতে হবে। স্টপ জেনোসাইড। যুদ্ধ ও গনহত্যা বন্ধ হোক। তবে প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাংলাদেশে যেসব ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করা হয়েছে তা ঠিক হচ্ছে না। আমরা এসবেরও প্রতিবাদ জানাই।

আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ইকরামুল হক বলেন, পৃথিবীতে আইন থেকে থাকলে ইজরাইল গণহত্যা চালাতে পারতো না। জেনেভা কনভেনশনের যে যুদ্ধের আইন ও নীতিমালা আছে তা ইসরাইল লঙ্ঘন করছে। জাতিসংঘ প্রমাণ করুক যে 'ল এক্সিস্টস'। কারণ আইন বলতে কিছু থেকে থাকলে ইসরায়েলের পক্ষে এই গনহত্যা চালানো সম্ভব না৷

ঢাবির সাবেক উপাচার্য আ ফ ম ইউসুফ হায়দার বলেন, অক্টোবর ২০২৩ এ তাদের ধারণা ছিলো তারা ফিলিস্তিনকে ধ্বংস করে ফেলবে। কিন্তু হামাস এবং হিজবুল্লাহর প্রতিরোধের মুখে আল্লাহর রহমতে এখনো তারা এই লক্ষ্য অর্জন করতে পারেনি। যে যেই ভাষা বোঝে তাকে সে ভাষায় জবাব দিতে হবে। ইসরাইল একটা জাতিগত নিধন করতে চায়। তাদের দর্শন হলো এখন যদি শিশুদের হত্যা করা না হয় তাহলে তারা বড় হয়ে যুদ্ধ করবে৷ সুতরাং ইসরায়েলকে তাদের ভাষায় জবাব দিতে হবে৷

কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছিদ্দিকুর রহমান খান বলেন, আমরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকগণ বিবেকের তাড়নায় আজ এখানে দাঁড়িয়েছি। ২০২৩ সালের অক্টোবর মাস থেকে ইজরাইল বর্বর গনহত্যা চালিয়ে আসছে যার ১৮ মাস পেরিয়ে গেছে। গাজা আজকে একটি মৃত্যুপুরীতে পরিণত হয়েছে। প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ নিহত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন নিয়ে মধ্যপ্রাচ্যের বিষ ফোঁড়া ইসরাইল যে নৃশংস গণহত্যা চালিয়েছে তার তীব্র নিন্দা আমরা জানাচ্ছি।

তিনি বলেন, যেসব দেশ ইসরাইলকে সহযোগিতা করছে তাদেরকে সহযোগিতা করা বন্ধ করতে হবে। জাতিসংঘ ও ওআইসিকে এগিয়ে আসতে হবে। বিগত ফ্যাসিবাদী আমলে আমরা দেখেছি ফোনে আড়ি পাতার যন্ত্র আমদানি করা হয়েছিল এই ইজরাইল থেকে, আমাদের পাসপোর্ট থেকে "এক্সেপ্ট ইজরাইল" বাতিল করেছে। আমরা চাই না বাংলাদেশের সাথে ইজরাইলের কোনো লিখিত কিংবা অলিখিত সম্পর্ক থাকুক।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাদা যুগ্ম আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. আবুল কালাম সরকার, আইবিএর অধ্যাপক ড. মো. মহিউদ্দিন, সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক ড. মো. রবিউল ইসলাম প্রমুখ।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে