ঢাকা, রবিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৫, ২৩ চৈত্র ১৪৩১

যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প-ইলন মাস্কবিরোধী বিক্ষোভ

২০২৫ এপ্রিল ০৬ ১১:৫৩:১৩
যুক্তরাষ্ট্রে ডোনাল্ড ট্রাম্প-ইলন মাস্কবিরোধী বিক্ষোভ

ডুয়া নিউজ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইলন মাস্কের বিরুদ্ধে দেশব্যাপী গণবিক্ষোভের ঢেউ উঠেছে। শনিবার দেশটির ৫০টি অঙ্গরাজ্যে একযোগে প্রায় ১ হাজার ২০০টি সমাবেশে লক্ষাধিক মানুষ অংশগ্রহণ করেন, যা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদের সবচেয়ে বড় প্রতিবাদ কর্মসূচি হিসাবে গণ্য হচ্ছে।

বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা অভিযোগ করেছেন, ট্রাম্প প্রশাসন নির্বাহী ক্ষমতার অপব্যবহার করছে এবং ইলন মাস্কের নেতৃত্বে গঠিত নতুন সরকারি বিভাগ 'ডিওজিই' কেন্দ্রীয় সরকারের কর্মকাঠামোতে মারাত্মক হস্তক্ষেপ করছে। এই বিভাগের অধীনে ইতোমধ্যে দুই লাখেরও বেশি সরকারি চাকরি বাতিল করা হয়েছে।

ওয়াশিংটন শহরে সকালে বৃষ্টির মধ্যেও হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। কানেটিকাট অ্যাভিনিউ থেকে ন্যাশনাল মল পর্যন্ত বিক্ষোভকারীদের দীর্ঘ সারির দৃশ্য দেখা যায়।

‘যুক্তরাষ্ট্রে কোনো রাজা নেই’ এবং ‘মাস্ককে বিতাড়িত করো’—এমন স্লোগানসহ প্ল্যাকার্ড হাতে তারা গণতন্ত্র রক্ষার আহ্বান জানান। আয়োজকদের তথ্যানুযায়ী, শুধু ন্যাশনাল মল এলাকায় ২০ হাজারের বেশি মানুষ জড়ো হন।

‘হ্যান্ডস অফ’ নামে এই বিক্ষোভে প্রায় ১৫০টি সংগঠন অংশ নেয়। এর মধ্যে অন্যতম সংগঠন 'ইনডিভিজিবল'-এর সহপ্রতিষ্ঠাতা এজরা লেভিন বলেন, ‘আমরা আজ স্পষ্ট বার্তা দিতে চাই—গণতন্ত্রে হস্তক্ষেপ কোনো ভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।’

বাল্টিমোরেও সামাজিক নিরাপত্তা প্রশাসনের সদর দপ্তরের সামনে শত শত মানুষ জমায়েত হন, যেখানে সাম্প্রতিক ৭ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের ঘোষণায় অসন্তোষ প্রকাশ করেন। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল, ‘ডিওজিইকে চাকরিচ্যুত করো’ এবং ‘মাস্ককে মঙ্গল গ্রহে পাঠাও।’

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া এক নাগরিক লিন্ডা ফ্যালকাও বলেন, ‘আমি আতঙ্কিত এবং ক্ষুব্ধ। দেশের ভবিষ্যৎ নিয়ে গভীর শঙ্কায় আছি।’

গণবিক্ষোভের এই ঢেউ ইউরোপের বিভিন্ন শহরেও ছড়িয়ে পড়েছে। বার্লিন, ফ্রাঙ্কফুর্ট, প্যারিস এবং লন্ডনে ট্রাম্পবিরোধী বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা ‘আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করো’, ‘অত্যাচারী শাসককে রুখো’, এবং ‘গণতন্ত্র বাঁচাও’—মর্মী স্লোগান দিয়েছে।

উল্লেখ্য, দ্বিতীয় মেয়াদের শুরু থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ চালু করে একাধিক বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন, যার মধ্যে অবৈধ অভিবাসন দমন, বিদেশি সহায়তা হ্রাস এবং ট্রান্সজেন্ডার অধিকার হরণ অন্তর্ভুক্ত। এসব আদেশ নিয়ে নাগরিকদের আদালতের দ্বারস্থ হতে হয়েছে, এবং অনেক আদেশ ইতোমধ্যেই আদালতের স্থগিতাদেশের মুখোমুখি হয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে