ঢাকা, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫, ১৯ চৈত্র ১৪৩১

ঢাকায় আসছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল

২০২৫ এপ্রিল ০১ ১৪:৪৪:০৫
ঢাকায় আসছে আইএমএফের প্রতিনিধি দল

ডুয়া নিউজ: বাংলাদেশ চলমান ৪৭০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণ কর্মসূচির আওতায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ২৩৯ কোটি ডলার কিস্তি হিসেবে পাবে। তবে অর্থ ছাড়ের আগে আইএমএফের প্রতিনিধি দল চলতি এপ্রিল মাসে ঢাকায় এসে শর্তগুলো পর্যালোচনা করবে।

ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ৮ আগস্ট দায়িত্ব গ্রহণের পর এটি আইএমএফের বড় দলের ঢাকায় দ্বিতীয় সফর হবে।

অর্থ মন্ত্রণালয়ের অর্থ বিভাগ থেকে জানা গেছে, ঋণের চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ ছাড়ের আগে শর্তগুলো পর্যালোচনার জন্য আইএমএফের একটি প্রতিনিধি দল ৫ এপ্রিল ঢাকায় আসবে। দলটি ৬ এপ্রিল থেকে দুই সপ্তাহ ধরে সরকারের বিভিন্ন দপ্তরের সঙ্গে বৈঠক করবে। বৈঠকগুলোতে অর্থ বিভাগ, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর), বিদ্যুৎ বিভাগ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি) এবং জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ অংশগ্রহণ করবে। সফর শেষে ১৭ এপ্রিল আইএমএফের দলটি একটি প্রেস ব্রিফিং করবে। প্রথম দিন ৬ এপ্রিল এবং শেষ দিন ১৭ এপ্রিল অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে।

২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারি আইএমএফের সঙ্গে ঋণ কর্মসূচি শুরু হওয়ার পর বাংলাদেশ তিনটি কিস্তির অর্থ পেয়ে এসেছে। প্রথম কিস্তি ৪৭ কোটি ৬৩ লাখ ডলার ২০২৩ সালের ২ ফেব্রুয়ারি, দ্বিতীয় কিস্তি ৬৮ কোটি ১০ লাখ ডলার ডিসেম্বরে এবং তৃতীয় কিস্তি ১১৫ কোটি ডলার ২০২৪ সালের জুনে পেয়েছে। মোট ২৩১ কোটি ডলার পেয়েছে বাংলাদেশ। তবে এখনো বাকি ২৩৯ কোটি ডলার। সরকার আশা করছে, জুন মাসে চতুর্থ ও পঞ্চম কিস্তির অর্থ একসঙ্গে পাওয়া যাবে।

এদিকে, সম্প্রতি অর্থনীতিবিষয়ক সাংবাদিকদের সংগঠন ইআরএফের সঙ্গে এক প্রাক-বাজেট আলোচনায় অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ জানিয়েছেন, 'বাজেট সহায়তার জন্যই আইএমএফের ঋণ প্রয়োজন। এজন্য বাংলাদেশ সরকার ও আইএমএফ যৌথভাবে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের দুটি কিস্তি একসঙ্গে ছাড়তে সম্মত হয়েছে।'

আইএমএফের ঋণের দুই কিস্তি একসঙ্গে পাওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশে তিনটি প্রধান বাধা রয়েছে, মুদ্রা বিনিময় হার বাজারভিত্তিক করা, জিডিপির ০.৫ শতাংশ হারে বাড়তি রাজস্ব আদায় এবং এনবিআরের রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করা। যদিও বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এসব শর্ত বাস্তবায়ন করা হবে। তবে রাজস্ব নীতি থেকে রাজস্ব প্রশাসনকে আলাদা করার পদক্ষেপ ছাড়া বাকি দুটির বিষয়ে এখনও তেমন অগ্রগতি নেই।

এদিকে, ক্রলিং পেগ পদ্ধতিতে মুদ্রা বিনিময় হার নির্ধারণ করা হচ্ছে। যার ফলে ডলারের দাম হঠাৎ খুব বেশি বাড়ার সুযোগ নেই। বর্তমানে ডলারের মূল্য ১২২ টাকায় স্থিতিশীল রয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে