ঢাকা, বুধবার, ২ এপ্রিল ২০২৫, ১৮ চৈত্র ১৪৩১

ইরানে বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের; জবাবে যা বললেন খামেনি

২০২৫ মার্চ ৩১ ১৯:৫৭:০১
ইরানে বোমা হামলার হুমকি ট্রাম্পের; জবাবে যা বললেন খামেনি

ডুয়া নিউজ : পরমাণু চুক্তি ইস্যুতে ইরানে বোমা হামলার হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর জবাবে দেশটির সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেছেন, 'যদি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বোমা হামলার হুমকি বাস্তবায়ন করেন, তাহলে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর প্রতিশোধমূলক জবাব পাবে।'

আজ সোমবার (৩১ মার্চ) তেহরানে পবিত্র রমজান মাসের সমাপ্তি ও ঈদুল ফিতরের নামাজের পর দেশবাসীর উদ্দেশ্যে দেওয়া বক্তব্যে এসব কথা বলেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স।

গতকাল (রবিবার) ট্রাম্প ইরানকে আবারও হুমকি দিয়ে বলেন, তেহরান যদি ওয়াশিংটনের সঙ্গে নতুন পরমাণু চুক্তিতে সম্মত না হয়, তাহলে ইরানে বোমা হামলা চালানো হবে। তিনি মার্চের শুরুর দিকে ইরানের নেতৃত্বের কাছে একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন, যেখানে দুই মাসের মধ্যে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়।

জবাবে খামেনি বলেন, ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের শত্রুতা সবসময় ছিল। তারা আমাদের আক্রমণের হুমকি দিচ্ছে, যা আমরা খুব সম্ভব বলে মনে করি না। তবে যদি তারা কোনও ধরণের দুষ্কর্ম করে, তাহলে অবশ্যই কঠোর প্রতিশোধমূলক জবাব পাবে।

ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আরও বলেন, যদি তারা অতীতের মতো আমাদের দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার চিন্তা করে, তাহলে ইরানের জনগণ নিজেরাই তাদের মোকাবিলা করবে।

ইরানি কর্তৃপক্ষ পশ্চিমা দেশগুলোর প্রতি অভিযোগ এনে বলছে, ২০২২-২৩ সালে মাহসা আমিনির হিজাব বিধি লঙ্ঘনের কারণে গ্রেপ্তার ও মৃত্যুর পর দেশে ছড়িয়ে পড়া বিক্ষোভ এবং ২০১৯ সালের জ্বালানি তেলের মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে দেশব্যাপী প্রতিবাদকে উসকে দেওয়া হয়েছে।

গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্রের পাঠানো চিঠির উত্তর হিসেবে ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসউদ পেজেশকিয়ান জানিয়েছেন, তেহরান সরাসরি ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনা করবে না। তবে সর্বোচ্চ নেতা খামেনির নির্দেশনা অনুসারে পরোক্ষ আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার জন্য তারা প্রস্তুত।

প্রসঙ্গত, ২০১৭-২১ মেয়াদে প্রথম প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালনকালীন ট্রাম্প ২০১৫ সালের পরমাণু চুক্তি থেকে যুক্তরাষ্ট্রকে প্রত্যাহার করে নেন। ওই চুক্তির আওতায় ইরানের পরমাণু কর্মসূচির ওপর কঠোর সীমাবদ্ধতা আরোপ করা হয়েছিল, যার বিনিময়ে তেহরান নিষেধাজ্ঞা থেকে মুক্তি পেত।

ট্রাম্প পুনরায় কঠোর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন, যার ফলে ইরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ কর্মসূচি দ্রুত গতিতে বাড়িয়ে তোলে। যা চুক্তির নির্ধারিত সীমা অনেকটাই অতিক্রম করেছে।

পশ্চিমা শক্তিগুলো ইরানকে গোপনে পরমাণু অস্ত্র কর্মসূচি পরিচালনার অভিযোগে অভিযুক্ত করেছে এবং দাবি করছে যে, তেহরান তার ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ এমন স্তরে বাড়িয়ে দিয়েছে যা বেসামরিক পারমাণবিক শক্তির জন্য প্রয়োজনীয় সীমার চেয়ে অনেক বেশি।

তবে তেহরান বরাবরই দাবি করে আসছে যে, তার পরমাণু কর্মসূচি সম্পূর্ণরূপে শান্তিপূর্ণ উদ্দেশ্যে। বেসামরিক শক্তি উৎপাদনের জন্য।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে