ঢাকা, মঙ্গলবার, ১ এপ্রিল ২০২৫, ১৭ চৈত্র ১৪৩১

জবি’র সাবেক প্রক্টরসহ পাঁচজনের বেতন বন্ধ, তদন্ত কমিটি গঠন

২০২৫ মার্চ ৩১ ০০:১১:২৩
জবি’র সাবেক প্রক্টরসহ পাঁচজনের বেতন বন্ধ, তদন্ত কমিটি গঠন

ডুয়া ডেস্ক : গত ৫ আগস্ট দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে অনেক প্রভাবশালী শিক্ষক ও কর্মকর্তা আর ক্যাম্পাসে আসতে পারেননি। তাদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে এবং নানা অভিযোগের ভিত্তিতে কয়েকজনের বেতন বন্ধ করা হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক প্রক্টর ও ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক ড. মোস্তফা কামালসহ পাঁচজনের বেতন বন্ধ রয়েছে। তাদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক সহকারী প্রক্টর নিউটন হাওলাদার, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দার, জবি কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি ও ডেপুটি রেজিস্ট্রার মো. কাজী মনির এবং অর্থ দপ্তরের সহকারী পরিচালক সালাউদ্দিন মোল্লা কাদের।

বিশেষভাবে, সহকারী অধ্যাপক আবু সালেহ সেকেন্দারের বিরুদ্ধে নারী কেলেঙ্কারি, বিভাগীয় শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অসদাচরণ এবং সিনিয়র অধ্যাপক ও ডিনদের বিরুদ্ধে নৈতিক স্খলনের অভিযোগ রয়েছে। এ কারণে গত ১৭ নভেম্বর তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে এবং তার বেতনের অর্ধেক পরিমাণ বন্ধ রাখা হয়েছে। অন্যদের ক্ষেত্রে মূলত রাজনৈতিক কারণেই বেতন বন্ধ করা হয়েছে।

এছাড়া বিভিন্ন অভিযোগের ভিত্তিতে আরও পাঁচজন শিক্ষক-কর্মকর্তার বেতন আংশিক বা পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। আইন বিভাগের শিক্ষার্থী অবন্তিকার আত্মহত্যার ঘটনায় ব্যবস্থাপনা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক দ্বীন ইসলামকে গত বছরের মার্চে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, ফলে তার বেতন অর্ধেক বন্ধ রয়েছে। একইভাবে, ফিল্ম অ্যান্ড টেলিভিশন বিভাগের এক নারী শিক্ষার্থীকে হেনস্তার অভিযোগে প্রভাষক আবু শাহেদ ইমনকে ২৪ মার্চ সাময়িক বরখাস্ত করা হয়, যার ফলে তার বেতনও অর্ধেক বন্ধ রয়েছে।

এদিকে, বিনা অনুমতিতে বিদেশ ভ্রমণের কারণে দর্শন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সোচনা শোভার বেতন চার বছর ধরে বন্ধ রয়েছে। একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক শামীম আরা পিয়া শিক্ষা ছুটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও দেশে না ফেরায় গত নভেম্বর থেকে তার বেতন সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে তিনি ফের ছুটি চেয়ে আবেদন করেছেন, যা বর্তমানে অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে।

অন্যদিকে, দীর্ঘদিন ধরে ক্যাম্পাসে অনুপস্থিত থেকেও বেতন নেওয়ার অভিযোগে ডেপুটি রেজিস্ট্রার জিনাত জেরিন সুলতানার বেতন পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. শেখ রফিকুল ইসলাম বলেন, "এ পর্যন্ত তিনজন কর্মকর্তা ও দুজন শিক্ষকের বেতন বন্ধ রয়েছে। আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে, তদন্তের ভিত্তিতে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।"

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেন, "এ তালিকায় আরও নাম আসবে। বিষয়টি এখনো প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।"

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন
ট্যাগ: বেতন জবি

পাঠকের মতামত:

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে