ঢাকা, রবিবার, ৩০ মার্চ ২০২৫, ১৬ চৈত্র ১৪৩১

অর্থাভাবে ঢাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন যবিপ্রবি উপাচার্য

২০২৫ মার্চ ২৮ ২২:০০:১৬
অর্থাভাবে ঢাবিতে ভর্তি অনিশ্চিত শিক্ষার্থীর পাশে দাঁড়ালেন যবিপ্রবি উপাচার্য

ডুয়া নিউজ : চলতি ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ভর্তি পরীক্ষায় কলা, আইন ও সামাজিক বিজ্ঞান ইউনিটে চান্স পেয়েছেন বাবা-মা হারানো এতিম শিক্ষার্থী দিয়া রানী। ঢাবিতে ভর্তি পরীক্ষায় ২৬৪তম স্থান অধিকার করেছেন দিয়া।

ভর্তি পরীক্ষায় এমন ফলাফল পাওয়ার পরেও আর্থিক সমস্যার কারণে তার ভর্তি ও পড়ালেখা প্রায় অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। তবে এ খবর শোনার পর দিয়ার লেখাপড়া এবং অভিভাবকের দায়িত্ব গ্রহণ করেন যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মাসি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুউপজেলার চিথলিয়াপাড়া গ্রামের তৃপ্তি রানী সাহা ও জয়দেব সাহার কোল আলোকিত করে জন্মগ্রহণ করেন দিয়া রানী। কিন্তু মাত্র সাড়ে তিন বছর বয়সে মাতৃহারা হয় দিয়া। এর অল্প কিছুদিন পরই নিরুদ্দেশ হয়ে যায় বাবা। সেই থেকে এতিম দিয়া নানীর কাছেই আশ্রিত হয়ে বেড়ে উঠেন। পিতা-মাতা হারানো দিয়া অদম্য মেধাবী দিয়ে ভর্তি পরীক্ষার সুযোগ পেলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে।

এর আগে দিয়া ঝিনাইদহে নিজ গ্রামের প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে প্রাথমিক শিক্ষা, উপজেলা সদরের স্বনামধন্য শিশুকলি মডেল মাধ্যমিক বিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঐতিহ্যবাহী সালেহা বেগম মহিলা ডিগ্রি কলেজ থেকে কৃতিত্বের সঙ্গে এইচএসসি পাস করেন।

যবিপ্রবি উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া ও অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়েছেন বলে জানান দিয়া রানী। মেধাবী এই শিক্ষার্থী বলেন, "এই সংবাদ শোনার পর দু’চোখ বয়ে ঝরতে থাকে আনন্দাশ্রু। এই জন্য তিনি স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতাও জানিয়েছেন।"

দিয়া প্রাতিষ্ঠানিক লেখাপড়া সম্পন্ন করে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদানের মাধ্যমে দেশ সেবায় কাজ করতে চান বলেও জানিয়েছেন। এজন্য তিনি সকলের নিকট দোয়া কামনা করেছেন।

স্থানীয়রা বলেন, "তাঁর ফলাফলে স্বজনদের পাশাপাশি আশপাশের মহল্লার সবাই খুশি। ছোটবেলা থেকে দিয়া পড়াশোনায় অনেক মনোযোগী। অভাবের মধ্যে বড় হলেও লেখাপড়ায় তিনি কখনো মনোবল হারাননি। স্যার যদি এভাবে তার দায়িত্ব না নিতেন, তাহলে তার লেখাপড়া চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হতো না।"

তার লেখাপড়া দায়িত্ব নেওয়া শিক্ষক অধ্যাপক ড. এমএ মজিদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

এ বিষয়ে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, "শিক্ষক হিসেবে আমাদের উচিত, সন্তানদের পাশে দাঁড়ানো। দিয়ার মতো মেধাবীদের লেখাপড়ার ক্ষেত্রে সঠিকভাবে যত্ন নিতে পারলে তারা রাষ্ট্রের সম্পদ হবে বলে আমি মনে করি।"

শিক্ষার্থীদের যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে থাকার চেষ্টা করি বলেও তিনি জানান।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে