ঢাকা, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

ভারত ছেড়ে অন্য দেশে হাসিনার আশ্রয় নেওয়ার গুঞ্জন

২০২৫ মার্চ ২১ ১৪:৫৬:৫১
ভারত ছেড়ে অন্য দেশে হাসিনার আশ্রয় নেওয়ার গুঞ্জন

ডুয়া নিউজ: জুলাই-আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পালানো এবং ভারতের আশ্রয় নেওয়ার ঘটনা রাজনৈতিক ইতিহাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়। আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের শাসনের পর এমন পরিস্থিতি সবার জন্য অপ্রত্যাশিত। সরকারের অবস্থা বেগতিক দেখে হাসিনা গণভবন ছেড়ে পালান, যা তার শাসনের বিরুদ্ধে মানুষের ক্ষোভের চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ।

ভারতের প্রতি হাসিনার আশ্রয়ের আবেদন এবং ভারত সরকারের প্রতিক্রিয়া রাজনৈতিক কূটনীতির একটি জটিল ক্ষেত্র তৈরি করেছে। ভারত তার রাজনৈতিক অবস্থান সম্পর্কে খুবই সতর্ক এবং হাসিনার কর্মকাণ্ড সংক্রান্ত বিভিন্ন আইনগত ও মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করছে। ভারত সরকার যে হাসিনাকে একটি নিরাপদ স্থানে নিয়ে গেছে, তা তার সান্ত্বনার সাধারণ পরিস্থিতিকে ধোঁয়াশা তৈরি করছে।

ভারতে আশ্রয় গ্রহণের পর শেখ হাসিনার সম্ভাব্য নতুন গন্তব্য নিয়ে বিভিন্ন মিডিয়ায় নানা খবর বেরিয়েছে। বিশেষ করে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশের বিষয়টি আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। তবে যুক্তরাজ্যের অস্বীকৃতি এবং ভারত সরকারের রাজনৈতিক আশ্রয় দিতে অনিচ্ছা বিষয়টি আরও জটিল করে তুলেছে।

এদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ উত্থাপিত হয়েছে। এসব অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সরকার ভারতকে সহযোগিতা করার জন্য চিঠি পাঠিয়েছে, যা দুই দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককেও অস্থির করে তুলতে পারে।

হাসিনার ভবিষ্যৎ গন্তব্য এবং তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত অভিযোগগুলোর প্রেক্ষাপটে আন্তর্জাতিক মহলে অনিশ্চয়তা ক্রমাগত বৃদ্ধি পেতে দেখা যাচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক অবস্থান এবং তার কার্যক্রমের ফলে পরিস্থিতি কেমন দিকে যাবে, তা নিয়ে অনেকেই অপেক্ষা করছেন। রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা এই বিষয়টি গভীর চিন্তা-ভাবনার সঙ্গে পর্যবেক্ষণ করছেন, কারণ এটি কেবল বাংলাদেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে নয়, দক্ষিণ এশিয়ার রাজনৈতিক অঙ্গনেও প্রভাব ফেলতে পারে।

এই প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনা যদি ভারতে আশ্রয় ত্যাগ করে অন্য কোনো দেশে যান, সেই সম্ভাবনা নতুন করে আলোচনায় উঠে আসছে। বিশেষ করে, রাজনৈতিক আশ্রয় এবং তার স্থিতিশীলতার বিষয়ে এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত বলে গণ্য হচ্ছে। যা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়বস্তু নিয়ে আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন করে প্রশ্ন উত্থাপিহ হচ্ছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে