ঢাকা, শুক্রবার, ২১ মার্চ ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩১

মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেখ মুজিবের নাম বাদ

২০২৫ মার্চ ২১ ১১:৫৮:৩৮
মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শেখ মুজিবের নাম বাদ

ডুয়া ডেস্ক : মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদসহ ১৯৭০ সালের নির্বাচনে বিজয়ী ৪০০ জন এমএনএ বা এমপিএ-কে আর বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি দেওয়া হবে না। তাদের পরিচয় পরিবর্তন করে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’ হিসেবে উল্লেখ করা হবে।

সম্প্রতি, জাতীয় মুক্তিযোদ্ধা কাউন্সিল (জামুকা) আইন সংশোধনের চূড়ান্ত খসড়ায় এ বিষয়ে একটি প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। জামুকার ৯৪তম সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, গত ১০ মার্চ এ-সংক্রান্ত কার্যপত্রে (খসড়া সহ অন্যান্য বিষয়) স্বাক্ষর করেছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম।

ফারুক-ই-আজম বলেছেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা স্বীকৃতি কেবল তাদেরই দেওয়া হবে, যারা রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। অন্যরা মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী হিসেবে গণ্য হবেন। তবে এতে কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন হবে না এবং সবার সুবিধা ও সুযোগ সমান থাকবে।’

প্রস্তাবিত সংশোধনীর খসড়া অনুযায়ী, শুধু মুক্তিযুদ্ধকালীন রাজনীতিবিদই নন আরও চার শ্রেণির স্বীকৃতিপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধার পরিচয় হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। এই চার শ্রেণির মুক্তিযোদ্ধারা হলেন–

১. যেসব বাংলাদেশি পেশাজীবী বিদেশে মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে বিশেষ অবদান রেখেছেন এবং বিশ্বজনমত গঠনে সক্রিয় ভূমিকা পালন করেছেন।

২. যারা মুক্তিযুদ্ধকালীন গঠিত বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর) অধীন কর্মকর্তা বা কর্মচারী বা দূতসহ অন্যান্য সহকারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

৩. স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের সব শিল্পী ও কলাকুশলী এবং দেশ ও দেশের বাইরে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষে দায়িত্ব পালনকারী সব বাংলাদেশি সাংবাদিক এবং ৪. স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল।

খসড়া প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক উপদেষ্টা বলেন, “রাজনীতিবিদরা মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে থাকবেন না। বীর মুক্তিযোদ্ধা কেবল তারাই থাকবেন, যারা রণাঙ্গনে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। অন্য সবার পরিচয় হবে ‘মুক্তিযুদ্ধের সহযোগী’। এখানে কারও মর্যাদা ক্ষুণ্ন করা হচ্ছে না। সবার সুযোগ-সুবিধা একই থাকবে।” তিনি আরও বলেন, বিষয়টি অনেকেই বুঝতে ভুল করছেন। মুক্তিযুদ্ধে যিনি যেভাবে দায়িত্ব পালন করেছেন, তিনি সেভাবেই স্বীকৃতি পাবেন।

উপদেষ্টা জানান, খসড়াটি আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

মুক্তিযুদ্ধের সহযোগীর সংজ্ঞায় প্রথমে বীরাঙ্গনা এবং সীমান্তবর্তী ভারতের মুক্তিযোদ্ধা ক্যাম্পের চিকিৎসক ও নার্সদের নাম অন্তর্ভুক্ত থাকলেও, চূড়ান্ত খসড়ায় তাদের নাম না থাকার বিষয়ে তিনি বলেন, ‘‘তাদের বীর মুক্তিযোদ্ধার স্বীকৃতি বহাল থাকবে।’’

উপদেষ্টা আরও বলেন, খসড়াটি চূড়ান্ত করে আইন মন্ত্রণালয়ে ভেটিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে এবং শিগগিরই উপদেষ্টা পরিষদের সভায় অধ্যাদেশটি অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে