ঢাকা, বুধবার, ১৯ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১

ডিভিডেন্ড ঘোষণার প্রতিবন্ধকায় শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংক

২০২৫ মার্চ ১৮ ১২:২৬:০৫
ডিভিডেন্ড ঘোষণার প্রতিবন্ধকায় শেয়ারবাজারের ১৩ ব্যাংক

ডুয়া নিউজ: ব্যাংক খাতের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ ব্যাংক সম্প্রতি ব্যাংকের ডিভিডেন্ড প্রদান নিয়ে একটি নীতিমালা জারি করেছে। নীতিমালা অনুযায়ি, কোনো ব্যাংকের খেলাপি ঋণের হার ১০ শতাংশের বেশি হলে ঐ ব্যাংক ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। ২০২৫ সালের ব্যবসায় ডিভিডেন্ড দেওয়ার ক্ষেত্রে নীতিমালাটি কার্যকর হবে।

করোনার সময় ২০২০ সাল থেকে ডিভিডেন্ড বিতরণের ওপর নানা বিধিনিষেধ আরোপ করে আসছে। তবে এতদিন কেবল প্রভিশন সংরক্ষণে ডেফারেল সুবিধা নেওয়া ব্যাংকের ডিভিডেন্ড বিতরণের ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ ছিল। এবার নতুন করে নতুন করে আরও শর্ত যুক্ত করা হয়েছে।

নতুন নীতিমালায় বলা হয়েছে, একটি ব্যাংক কেবল বিবেচ্য পঞ্জিকাবর্ষের মুনাফা থেকে ক্যাশ ডিভিডেন্ড দিতে পারবে। কোনোভাবেই পুঞ্জীভূত মুনাফা থেকে ক্যাশ ডিভিডেন্ড বিতরণ করা যাবে না।

নতুন নীতিমালা অনুযায়ি ব্যাংকগুলোকে আরও কিছু শর্ত মানতে হবে। কোনো ব্যাংকের শ্রেণিকৃত ঋণের হার সর্বোচ্চ ১০ শতাংশের বেশি হলে ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। ঋণ, বিনিয়োগ ও অন্যান্য সম্পদের বিপরীতে কোনো ধরনের সংস্থান ঘাটতি থাকা যাবে না।

আবার সিআরআর ও এসএলআর ঘাটতির কারণে আরোপিত দণ্ড সুদ ও জরিমানা অনাদায়ি থাকলে ডিভিডেন্ড প্রদান করতে পারবে না। প্রভিশন সংরক্ষণসহ অন্যান্য ব্যয় মেটানোর জন্য বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ডেফারেল সুবিধা বহাল থাকা অবস্থায় ডিভিডেন্ড দেওয়া যাবে না।

এছাড়া, যদি কোনও ব্যাংকের জমার হার বা লিকুইডিটি ঘাটতি থাকে, কিংবা যদি তারা বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে কোনও ঋণ সুবিধা নেয়, তবে ডিভিডেন্ড দিতে পারবে না। বাংলাদেশ ব্যাংক ডিভিডেন্ডের পরিমাণও নির্দিষ্ট করে দিয়েছে। ঘোষিত ডিভিডেন্ড মূলধনের ৩০ শতাংশের বেশি হতে পারবে না। তবে, যেসব ব্যাংক তাদের মূলধন যথেষ্ট পরিমাণে সংরক্ষণ করতে পারবে, তারা শর্ত অনুযায়ী ডিভিডেন্ড ঘোষণা করতে পারবে।

১০ শতাংশের বেশি ঋণ খেলাপি ব্যাংকগুলো হলো- ন্যাশনাল ব্যাংক, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংক, ইউনিয়ন ব্যাংক, আইএফআইসি ব্যাংক, সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংক, রূপালি ব্যাংক, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংক, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংক, এবি ব্যাংক, ইসলামী ব্যাংক, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক, ওয়ান ব্যাংক ও ব্যাংক এশিয়া।

কেন্দ্রীয় সর্বশেষ তথ্যমতে, আইসিবি ইসলামিক ব্যাংকের খেলাপি ঋণ রয়েছে ৯০.৭২ শতাংশ, ইউনিয়ন ব্যাংকের ৮৭.৯৮ শতাংশ, ন্যাশনাল ব্যাংকের ৬০.৫০ শতাংশ, আইএফআইসি ব্যাংকের ৩৮.৫৯ শতাংশ , সোশ্যাল ইসলামী ব্যাংকের ৩৪.৭৯ শতাংশ, রূপালি ব্যাংকের ৩১,৭৩ শতাংশ, গ্লোবাল ইসলামী ব্যাংকের ৩০.৮৬ শতাংশ, ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের ২৯.৩৩ শতাংশ, এবি ব্যাংকের ২৫.৯৯ শতাংশ, ইসলামী ব্যাংকের ২১.০৮ শতাংশ, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের ১২.১১ শতাংশ, ওয়ান ব্যাংকের ১০.৫৮ শতাংশ ও ব্যাংক এশিয়ার ১০ শতাংশ।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

শেয়ারবাজার এর সর্বশেষ খবর

শেয়ারবাজার - এর সব খবর



রে