ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৩ চৈত্র ১৪৩১

করোনা টিকার ২২ হাজার কোটি টাকা সালমান সিন্ডিকেটের পকেটে, তদন্ত শুরু

২০২৫ মার্চ ১৭ ২৩:৩৪:০৪
করোনা টিকার ২২ হাজার কোটি টাকা সালমান সিন্ডিকেটের পকেটে, তদন্ত শুরু

ডুয়া নিউজ: করোনাভাইরাসের টিকা কেনার ক্ষেত্রে রাষ্ট্রের ২২ হাজার কোটি টাকা আত্মসাত করতে সালমান এফ রহমানের নেতৃত্বাধীন এক সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

তদন্ত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানাচ্ছে, এই সিন্ডিকেটের কারণে বাংলাদেশ আবিষ্কৃত করোনা ভ্যাকসিন "বঙ্গভ্যাক্স" অনুমোদন পায়নি। বেঙভ্যাক্সের অনুমতি না পেয়ে চক্রটি মূলত নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করছে।

দুদক জানায়, ভারত থেকে আমদানি করা অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা টিকার বিতরণ খরচ দেখানো হয়েছে ৪০ হাজার কোটি টাকা, যা প্রকৃতপক্ষে ১৮ হাজার কোটি টাকার কাছাকাছি। এই অর্থের ব্যবধানে বেক্সিমকো ফার্মার ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান এবং তার সিন্ডিকেট ২২ হাজার কোটি টাকা পকেটে তুলেছেন।

অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, সরকারের প্রতিষ্ঠিত ক্রয় প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বেক্সিমকো ফার্মাকে তৃতীয় পক্ষ হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যার ফলে বাংলাদেশকে সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে টিকা কিনতে বেশি টাকা গুণতে হয়।

অন্যদিকে, সালমান এফ রহমানের সিন্ডিকেটের মধ্যে সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক, তৎকালীন স্বাস্থ্য সচিব লোকমান হোসেন এবং বিএমআরসি চেয়ারম্যান মোদাচ্ছের আলীসহ বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তি অন্তর্ভুক্ত রয়েছেন।

গ্লোব বায়োটেকের বঙ্গভ্যাক্স অনুমোদনে নানা বাধা সৃষ্টি করে রেখেছিল এই সিন্ডিকেট। তাদের অভিযোগ ছিল যে, তারা অন্তত ছয়বার প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে চিঠি দিয়েও সহায়তা পাইনি। প্রতিষ্ঠানটির গবেষকদের উপর হুমকিও দেয়া হয়, যার ফলে তারা প্রায় ৪০০ কোটি টাকা লোকসান গুনতে বাধ্য হয়।

সালমান এফ রহমান জুলাই-আগস্ট বিপ্লবের পর নৌপথে পালানোর চেষ্টা কালে গ্রেপ্তার হন এবং বর্তমানে তিনি কারাগারে আছেন। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন বলেছেন, অনুসন্ধান শেষে বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করা হবে।

করোনা টিকার কেনা নিয়ে এত বড় অঙ্কের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জনগণের মধ্যে ক্ষোভ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং বিষয়টির প্রতি সকলের নজর গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে