ঢাকা, শনিবার, ১৫ মার্চ ২০২৫, ১ চৈত্র ১৪৩১

আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি ৭ নির্দেশনা হাইকোর্টের, রায় প্রকাশ

২০২৫ মার্চ ১৫ ২০:০৬:৪০
আইন প্রয়োগকারী সংস্থার প্রতি ৭ নির্দেশনা হাইকোর্টের, রায় প্রকাশ

ডুয়া ডেস্ক: বাংলাদেশের হাইকোর্টে শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ এবং জনসভায় অংশগ্রহণের অধিকার নিশ্চিত করতে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলির জন্য সাত দফা নির্দেশনা প্রদান করেছেন হাইকোর্ট। গত বছরের জুলাইয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছয় ছাত্র সমন্বয়ককে আটক করে রাখার পর তাঁদের মুক্তির দাবিতে মিছিল, সমাবেশ ও জনসভায় তাজা গুলি ব্যবহার বন্ধের জন্য হাইকোর্টে একটি রিট আবেদন করা হয়।

এই রায়ে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এস এম মাসুদ হোসাইন দোলনের হাইকোর্ট বেঞ্চ সাতটি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা প্রদান করেছেন:

১. বাংলাদেশের সংবিধান অনুযায়ী, শান্তিপূর্ণ মিছিল, সমাবেশ ও জনসভায় অংশগ্রহণের অধিকার প্রত্যেক নাগরিকের থাকবে।

২. মানুষের জীবন ও মর্যাদা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার পাবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শুধুমাত্র কঠোর প্রয়োজন হলে বল প্রয়োগ করতে পারবে।

৩. পুলিশ ও অন্যান্য আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলিকে তাদের দায়িত্ব পালনের সময় জনগণের মর্যাদা রক্ষা এবং মানবাধিকার বজায় রাখতে হবে।

৪. সমাবেশের স্বাধীনতা সকল নাগরিকের জন্য সমান হতে হবে এবং কোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে বৈষম্য করা উচিত নয়।

৫. আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো তাদের আইনগত বাধ্যবাধকতা মেনে চলতে বাধ্য থাকবে এবং ব্যর্থ হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

৬. বেআইনি সমাবেশ বা দাঙ্গা সৃষ্টির ক্ষেত্রে পুলিশ আইনের সংশ্লিষ্ট ধারাগুলির ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিবে।

৭. আইন লঙ্ঘন না হলে তাজা গুলি ব্যবহার করা যাবে না; শুধুমাত্র রাবার বুলেট বা টিয়ারশেল ব্যবহার করা যেতে পারে।

এছাড়া হাইকোর্টে ছয় ছাত্র সমন্বয়কের অবৈধ হেফাজত এবং তাদের মুক্তির বিষয়েও আলোচনা করা হয়েছে এবং তাদের মুক্তি দেওয়ার পর এই অংশটি অকার্যকর হয়ে পড়েছে।

এ রায়টি বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ, আইনের শাসন এবং নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকারের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শনের গুরুত্বকে সামনে রেখেছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন
ট্যাগ:

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে