ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৩ মার্চ ২০২৫, ২৯ ফাল্গুন ১৪৩১

২ কোটি ২৬ লাখ শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে শনিবার

২০২৫ মার্চ ১৩ ১৫:২১:৩১
২ কোটি ২৬ লাখ শিশু ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল পাবে শনিবার

ডুয়া ডেস্ক: আগামী শনিবার (১৫ মার্চ) সারা দেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২২ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে। এ উদ্দেশ্যে মোট ১ লাখ ২০ হাজার স্থায়ী ইপিআই কেন্দ্রে এই ক্যাপসুল বিতরণ করা হবে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মোহাম্মদ শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় জনগণের স্বাস্থ্যসেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে বাংলাদেশে অপুষ্টির হার কমেছে এবং শিশু ও মাতৃমৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে হ্রাস পেয়েছে। শুধু বাংলাদেশেই নয়, বিশ্ব পুষ্টি ফোরাম 'স্ক্যালিং আপ নিউট্রিশন' (এসইউএন) এর গুরুত্বপূর্ণ সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করছে। স্বাধীনতার পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে অপুষ্টিজনিত কারণে শিশুদের মাঝে রাতকানা রোগের হার ছিল ৪.১০ শতাংশ।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, ১৯৭৪ সাল থেকে রাতকানা রোগ প্রতিরোধে শিশুদের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো শুরু হয়। নিয়মিত ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে বর্তমানে ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় চলে এসেছে। ভিটামিন ‘এ’ শুধু অন্ধত্ব প্রতিরোধ করে না, তা ৫ বছরের নিচে শিশুদের মৃত্যুর হারও কমায়, যা সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা-৪ (শিশু মৃত্যুর হার কমানো) অর্জনে সহায়ক ছিল।

তবে বাংলাদেশের অনেক শিশু সঠিকভাবে মায়ের দুধ কিংবা ভিটামিন ‘এ’ সমৃদ্ধ খাবার গ্রহণ করতে পারেন না, যার কারণে অনেক শিশু ভিটামিন ‘এ’ এর অভাবে বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, স্বল্প খরচে এবং স্বল্প সময়ে এই ঘাটতি পূরণ করতে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে বছরে দুইবার শতকরা ৯৮ শতাংশ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ খাওয়ানোর ফলস্বরূপ, ভিটামিন ‘এ’ অভাবজনিত অন্ধত্বের হার ১ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে এবং শিশু মৃত্যুর হারও কমেছে। এই সাফল্য ধরে রাখতে, ৬-৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখতে হবে।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় আরও জানিয়েছে, “শিশুরাই আমাদের ভবিষ্যৎ। কিন্তু তাদের একটি অংশ অপুষ্টিতে ভুগছে। অন্ধত্ব একটি পরিবারের জন্য অভিশাপ আর এটি দেশের জন্যও একটি বড় বোঝা। বছরে দুটি ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল গ্রহণের মাধ্যমে শিশুদের অন্ধত্বের অভিশাপ থেকে মুক্ত করা সম্ভব এবং তাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায় যা শিশুমৃত্যুর ঝুঁকি কমায়।”

এ বছর ১৫ মার্চ সারাদেশে ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী প্রায় ২ কোটি ২৬ লাখ শিশুকে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে