ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ ২১:৪২:১৮
ভারতের ৪ প্রতিষ্ঠানের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা

ডুয়া ডেস্ক : এবার মার্কিন নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ল ভারতের চার প্রতিষ্ঠান। ইরানে পেট্রলজাত পণ্য বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে দেশরি চার প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মার্কিন সরকার এ তথ্য জানিয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের এক প্রতিবেদনে থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন সরকারের বিদেশি সম্পদবিষয়ক অফিস ও পররাষ্ট্র দপ্তরের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠান হলো ফ্লুক্স মেরিটাইম এলএলপি, বিএসএম মেরিন এলএলপি, অস্টিনশিপ ম্যানেজমেন্ট প্রাইভেট লিমিটেড এবং কসমস লাইনস ইনকরপোরেশন।

এই চারটির মধ্যে কসমস লাইনস ইনকরপোরেশনকে ইরানের পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনে সংশ্লিষ্ট থাকার কারণে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। অন্যান্য তিনটি প্রতিষ্ঠান বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে যে, তারা ইরানের জ্বালানি তেল ও পেট্রলজাত পণ্য পরিবহনকারী বিভিন্ন নৌযানের বাণিজ্যিক বা কারিগরি ব্যবস্থাপনার সঙ্গে যুক্ত।

মার্কিন অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট বলেন, “নিজেদের জ্বালানি তেলের বিক্রি বাড়ানো এবং অস্থিতিশীল কর্মকাণ্ড পরিচালনার জন্য তহবিল সংগ্রহ করতে নৌযান, পরিবহনকারী এবং মধ্যস্থতাকারীদের একটি গোপন নেটওয়ার্কের ওপর নির্ভর করে যাচ্ছে ইরান।”

তিনি আরও বলেন, “ইরানের জ্বালানি তেল সরবরাহব্যবস্থার সব ক্ষেত্রকে লক্ষ্যবস্তু করতে নিজেদের সব সরঞ্জাম কাজে লাগাবে যুক্তরাষ্ট্র। আর যারা ইরানের তেল নিয়ে কাজ করবে, তারাও নিষেধাজ্ঞার উল্লেখযোগ্য ঝুঁকির মুখে পড়বে। কারণ, তেহরানের ওপর বড় পরিসরে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। অনেক দেশ ও প্রতিষ্ঠান সরাসরি ইরানের তেল কেনে না।”

গতকাল যুক্তরাষ্ট্র সরকারের এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “এ নিষেধাজ্ঞার পরও ইরানের জ্বালানি তেল বাণিজ্য অব্যাহত রয়েছে। নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা ইরানের তেল পরিবহনকারী ট্যাংকারগুলো বন্দর এলাকার বাইরে নিষেধাজ্ঞামুক্ত নৌযানগুলোর মাধ্যমে তেল সরবরাহ করছে। পরে তা বিদেশি ক্রেতাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। আঞ্চলিক অস্থিতিশীলতা সৃষ্টিকারী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে জড়িত ইরানের সামরিক বাহিনী এবং তাদের সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর পেছনে এই তেল বিক্রির অর্থ ব্যবহার করছে তেহরান।”

যুক্তরাষ্ট্রের অর্থ মন্ত্রণালয় গতকাল এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, "ভারতের চারটি প্রতিষ্ঠান ছাড়াও ইরানের জ্বালানি তেল বিক্রি ও পরিবহনে যুক্ত থাকার অভিযোগে সংযুক্ত আরব আমিরাত, হংকং এবং চীনের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিষেধাজ্ঞার আওতায় আনা হয়েছে। এছাড়া ইরানের রাষ্ট্রায়ত্ত জ্বালানি প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল ইরানিয়ান অয়েল কোম্পানির প্রধান এবং ইরানিয়ান অয়েল টার্মিনালস কোম্পানিকেও নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রাখা হয়েছে।"

প্রসঙ্গত, যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় থাকা প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সাধারণত আমদানি বা রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা, তাদের সঙ্গে বাণিজ্য বন্ধ করা, তাদের সম্পদ জব্দ করা এবং এক বা একাধিক দেশের ব্যাংক ব্যবস্থা ও মুদ্রা ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।

বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার আওতায় সবচেয়ে বড় দেশ হলো রাশিয়া। তিন বছর আগে ইউক্রেনে হামলা শুরুর পর মস্কোর ওপর একাধিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে ওয়াশিংটন। এছাড়া ইরান, উত্তর কোরিয়া, চীনসহ বিভিন্ন দেশের ব্যক্তি এবং প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপরও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে