ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২৫ ২১:১৪:৪৬
বাসে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির ঘটনায় গ্রেপ্তার আরও ২

ডুয়া নিউজ : ঢাকা থেকে রাজশাহীগামী আমরি ট্র্যাভেলসের ইউনিক রোড রয়েলস বাসে ডাকাতি ও যৌন নিপীড়নের ঘটনার পরিকল্পনাকারীসহ দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।

গ্রেপ্তারকৃরা হলেন- মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার আমতলী গ্রামের খোরশেদ শেখের ছেলে আলমগীর হোসেন (৩৪) ও তার ছোট ভাই রাজিব হোসেন (২১)।

এর আগে গত শনিবার সকালে ঘটনার সঙ্গে জড়িত আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন- মো. শহিদুল ইসলাম মুহিত (২৯), মো. সবুজ (৩০) ও মো. শরিফুজ্জামান শরীফ।

আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার সম্মেলন কক্ষে সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এই তথ্য গণমাধ্যমকর্মীদের জানিয়েছেন।

নেত্রকোনার পূর্বধলার সাধুপাড়া গ্রাম থেকে আলমগীর হোসেনকে ও আশুলিয়া থানার পলাশবাড়ি থেকে রাজীব হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ সময় পুলিশ রাজীবের হেফাজতে থাকা ১০টি মোবাইল সেট, নারীযাত্রীদের ৫ জোড়া চুরি, তিনটি ব্যাগ, তিনটি জাতীয় পরিচয়পত্র, একটি এটিএম কার্ড, বাসের টিকেট এবং ডাকাতির ঘটনায় ব্যবহৃত দুইটি ছুরি উদ্ধার করেছে।

পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান জানান, “গ্রেপ্তারকৃতদের দেওয়া তথ্য এবং গুপ্তচরদের তথ্যের ভিত্তিতে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এদের মধ্যে বাস ডাকাতির পরিকল্পনাকারী হলো আলমগীর হোসেন এবং সেকেন্ড ইন্ড কমান হলো শহিদুল ইসলাম মুহিত।”

এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি দিবাগত রাতে ইউনিক রোড রয়েলস নামক বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের ওপর যৌন নিপীড়নের ঘটনা ঘটে। বাসটি ঢাকা থেকে রাজশাহী যাচ্ছিল।

বাসের যাত্রীদের ভাষ্যমতে, সোমবার রাত ১১টায় ঢাকার গাবতলী থেকে বাসটি ছাড়ে। রাত সাড়ে ১২টার দিকে বাসটিতে ডাকাতরা অস্ত্রের মুখে যাত্রীদের জিম্মি করে। প্রায় সাড়ে ৩ ঘণ্টা ধরে বাসটিকে বিভিন্ন স্থানে ঘুরিয়ে ডাকাতি ও দুই নারীকে যৌন নিপীড়ন করে ডাকাতদল।

এ ঘটনায় দেশব্যাপী সাড়া পড়ে যায়। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ধর্ষকদের গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।

৮ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার সকাল ১১টার পর যাত্রীরা বাসটি নাটোরের বড়াইগ্রাম থানায় নিয়ে থানা কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেন। এ সময় ডাকাতির সঙ্গে জড়িত সন্দেহে বাসের চালক বাবলু আলী (৩০), সুপারভাইজার সুমন ইসলাম (৩৩) ও হেলপার মাহবুব আলম (২৮) আটক করা হয় এবং ৫৪ ধারায় নাটোর আদালতে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তারা আদালত থেকে জামিনে মুক্তি পান। ঘটনার তিন দিন পর ২১ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার সকালে মির্জাপুর থানায় এক যাত্রী ওমর আলী মামলা দায়ের করেন।

মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত শুরু করে এবং মামলা হওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মো. শহিদুল ইসলাম মুহিত, মো. সবুজ এবং মো. শরীফুজ্জামান শরীফকে গ্রেপ্তার করে। এ বিষয়ে টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান তার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন।

পুলিশ সুপার বলেন, “বিষয়টি নিয়ে আরও তদন্ত ও অভিযান চলমান রয়েছে। পুরো বিষয়টি আমাদের নখদর্পণে চলে এসেছে। এ ঘটনায় মির্জাপুর থানার এএসআই আতিকুজ্জামানকে দায়িত্বে অবহেলা করার কারণে সাময়িক বরখাস্ত করে টাঙ্গাইল পুলিশ লাইনসে পাঠানো হয়েছে।”

এর আগে নাটোরের বড়াইগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলামকে বরখাস্ত করা হয়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে