ঢাকা, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১

বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবার মান ও দাম নিয়ে গণশুনানির আহ্বান

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২২ ১৫:৩৩:১২
বাংলাদেশে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবার মান ও দাম নিয়ে গণশুনানির আহ্বান

ডুয়া নিউজ : সম্প্রতি বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের এবং স্টারলিংকের প্রতিষ্ঠাতা ইলন মাস্কের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় বাংলাদেশে স্টারলিংক স্যাটেলাইট সেবা চালুর প্রসঙ্গ উঠে আসে। এবার বাংলাদেশে স্টারলিংকের স্যাটেলাইট ইন্টারনেট সেবার মান ও মূল্য কত হবে এবং কীভাবে সেবা দেবে, সে বিষয়ে গণশুনানির আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন।

আজ শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশনের (বিটিআরসি) কাছে আহ্বান জানানো হয়।

অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, “বিশ্বের শীর্ষ ধনকুবের এবং সবচেয়ে বড় প্রযুক্তি সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠান স্টারলিংক স্যাটেলাইট বাংলাদেশে ব্যবসা করার জন্য বিটিআরসিতে আবেদন জমা দিয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকেও ইতিবাচক সাড়া মিলেছে। খুব সম্ভবত আগামী মাসেই স্যাটেলাইট ইন্টারনেট বাংলাদেশে যাত্রা শুরু করতে পারে। কিন্তু এই স্যাটেলাইট সেবার ধরন, মান, গ্রাহকের খরচের পরিমাণ, ব্যবহারের পরিমাণ (ডেটা লিমিট, স্পিড), সিগন্যাল ট্রান্সমিশন, ল্যাটেনসি, বিশেষ করে প্যাকেজ ও প্যাকেজের মূল্য এবং মেয়াদ কীভাবে নির্ধারিত হবে, তা এখনো জনগণের কাছে পরিষ্কার নয়।”

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, একটি জবাবদিহিমূলক সেবার মান ও মূল্য নির্ধারণের জন্য সেবাটি চালু হওয়ার আগেই গণশুনানি প্রয়োজন।

ভুটানের তথ্য অধিদপ্তর স্টারলিংকের নতুন মূল্য নির্ধারণ করেছে। 'রেসিডেনসিয়াল লাইট' প্যাকেজের মাসিক খরচ ৩ হাজার গুলট্রাম (বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ৪ হাজার ২০০ টাকা), যেখানে ইন্টারনেটের গতি ২৩ এমবিপিএস থেকে ১০০ এমবিপিএস পর্যন্ত হতে পারে। আর স্ট্যান্ডার্ড রেসিডেনসিয়াল প্যাকেজের জন্য খরচ ৪ হাজার ২০০ গুলট্রাম (প্রায় ৫ হাজার ৮০০ টাকা), যা ২৫ এমবিপিএস থেকে ১১০ এমবিপিএস পর্যন্ত গতিসম্পন্ন। তবে বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশন মনে করছে, ভুটানের নির্ধারিত এই মূল্য বাংলাদেশের জনগণের সামর্থ্যের তুলনায় বেশী।

বিবৃতিতে বলা হয়, বাংলাদেশে সাধারণত মূল্য নির্ধারণ করা হয় পার্শ্ববর্তী দেশের মূল্যের ভিত্তিতে। তবে বাংলাদেশের করহার অন্যান্য দেশের তুলনায় আলাদা এবং জনগণের সামর্থ্যও ভিন্ন। সুতরাং সামাজিক, অর্থনৈতিক এবং পারিপার্শ্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে বিচার-বিবেচনা করার জন্য জনগণের মতামত নেওয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ক্ষেত্রে গণশুনানি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারে।

বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, গণশুনানি আয়োজনের আবেদন দু-এক দিনের মধ্যে বিটিআরসিতে জমা দেওয়া হবে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

তথ্য প্রযুক্তি এর সর্বশেষ খবর

তথ্য প্রযুক্তি - এর সব খবর



রে