ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ১৭ এপ্রিল ২০২৫, ৪ বৈশাখ ১৪৩২

যে ১০টি পেশায় বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ২০ ১৯:০০:২৮
যে ১০টি পেশায় বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি

ডুয়া ডেস্ক : ডিভোর্স ডটকমের ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বর মাসের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, কিছু পেশাজীবীর মধ্যে বিচ্ছেদের হার তুলনামূলকভাবে বেশি। এই প্রবণতার পেছনে বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে, যেমন কাজের চাপ, অনিশ্চিত কর্মঘণ্টা, মানসিক চাপ, বা পারস্পরিক সময়ের অভাব।

নিচে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ এমন ১০টি পেশা এবং সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হলো:

১. বারটেন্ডার: তালিকার শীর্ষে রয়েছেন বারটেন্ডাররা, যারা মূলত বারে পানীয় তৈরি ও পরিবেশন করেন। এই পেশায় কর্মরতদের মধ্যেই বিচ্ছেদের হার সবচেয়ে বেশি।

২. এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্ট: দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন এক্সোটিক ডান্সার ও অ্যাডাল্ট পারফরম্যান্স আর্টিস্টরা। পেশাগত কারণে তাঁদের দাম্পত্য জীবনে মানসিক চাপ, অনিরাপত্তাবোধ, ঈর্ষা ও প্রতারণার মতো সমস্যাগুলো তুলনামূলকভাবে বেশি দেখা যায়।

৩. উচ্চ পর্যায়ের সামরিক কর্মকর্তা: এটি এমন একটি পেশা, যেখানে মানসিক চাপ প্রায় সব সময়ই সঙ্গী থাকে। ফলে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে দূরত্ব তৈরি হয়। তাঁদের সঙ্গীরা একাকিত্ব ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকেন, যা দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। স্বাভাবিক সম্পর্কের অভাবে শেষ পর্যন্ত অনেকেই বিচ্ছেদের সিদ্ধান্ত নেন।

৪. চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী: এসব পেশাজীবীর কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার থাকে রোগী, জীবনসঙ্গী নয়। কর্মব্যস্ততার কারণে তাঁরা পরিবার ও সঙ্গীর জন্য যথেষ্ট সময় বের করতে পারেন না। ফলস্বরূপ, অনেক ক্ষেত্রেই সঙ্গীর মানসিক চাহিদা পূরণে ব্যর্থ হন, যা সম্পর্কের দূরত্ব ও বিচ্ছেদের অন্যতম কারণ হয়ে দাঁড়ায়।

৫. গেমিং সার্ভিসেস ওয়ার্কার: যাঁরা ক্যাসিনোতে কাজ করেন বা জুয়ার সঙ্গে যুক্ত, তাঁদের জীবনযাপনের ধরনের কারণে জীবনসঙ্গীর সঙ্গে বিচ্ছেদ ঘটে।

৬. ফ্লাইট অ্যাটেনডেন্টস: অনেকের কাছেই এটি একটি আকর্ষণীয় ও গ্ল্যামারাস পেশা। বিভিন্ন দেশে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ ও তুলনামূলক ভালো বেতন থাকলেও, এই পেশা মোটেও কম চাপের নয়। ক্রমাগত ভ্রমণের ফলে শারীরিক ও মানসিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তাঁরা। দীর্ঘসময় পরিবার থেকে দূরে থাকা ও ‘লং ডিস্টেন্স রিলেশনশিপ’ বজায় রাখা সহজ নয়, যা দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।

৭. কাস্টমার কেয়ার, টেলিমার্কেটের ও সুইচবোর্ড অপারেটর: এসব পেশাজীবী সব সময় চেয়ারে বসে থাকেন। পুরো সময় ফোনে কথা বলেন। ফোনের অপর পাশের ব্যক্তির ঝাড়ি খান, গালি খান। ঠান্ডা মাথায় মানুষের সমস্যার সমাধানও দিতে হয়। এ কারণে তাঁরা মানসিক স্বাস্থ্যঝুঁকিতে থাকেন। মানসিক চাপ থাকে ভীষণ। ফলে জীবন থেকে সুখ বিষয়টা দূরে চলে যায়। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সম্পর্কে। তাঁদের নিয়মিত কাউন্সেলিং প্রয়োজন।

আপনি এর পরেরবার যখন তাঁদের কারও সঙ্গে বিভিন্ন সেবা নিয়ে আপনার বাজে অভিজ্ঞতা ও সমস্যার কথা বলবেন, যথাসম্ভব নরম স্বরে কথা বলুন। মনে রাখবেন, আপনার ভোগান্তি বা অসুবিধার জন্য তাঁরা দায়ী নন। তাঁরা কেবল জীবন চালানোর জন্য চাকরি করছেন।

৮. ডান্সার ও কোরিওগ্রাফার: বিশেষ করে ব্যালে ডান্সারদের মধ্যে বিচ্ছেদের হার সর্বোচ্চ। পেশাজীবনে সর্বোচ্চ সফলতার দেখা পাওয়ার জন্য তাঁদের কঠোর পরিশ্রম করতে হয়। তাঁদের ফিটনেস বজায় রাখা খুবই জরুরি। শরীরে ব্যথা, ফ্র্যাকচার, লিগামেন্ট ছিঁড়ে যাওয়া, হাড় ভাঙা—এ রকম নানা শারীরিক সমস্যায় ভোগেন তাঁরা। নিজেদের শরীর নিয়ে হীনম্মন্যতা ও অসন্তুষ্টিতে ভোগার হারও তাঁদের মধ্যে সর্বোচ্চ। এই পেশাজীবীরাই সবচেয়ে বেশি ‘ইটিং ডিজঅর্ডার’–এ ভোগেন। তাঁদের একটা বড় অংশ অসুখী। তাই তাঁদের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে অপর ব্যক্তি যে সুখী হবেন না, এটাই তো স্বাভাবিক!

৯. ম্যাসাজ থেরাপিস্ট: জীবনসঙ্গীরা এই পেশাজীবীদের পেশা নিয়ে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতায় ভোগেন।

১০. টেক্সটাইল নিটিং ও ওয়েভিং মেশিন অপারেটর: তাঁরা চাকরিজীবন নিয়ে মোটেও সন্তুষ্ট নন। শারীরিক ও মানসিকভাবে ভীষণ ক্লান্তি নিয়ে ঘরে ফেরেন। এটা তাঁদের মানসিক চাপ বাড়ায়। এর প্রভাব পড়ে মেজাজ, মানসিক স্বাস্থ্য ও সম্পর্কে। তথ্যসূত্র: ডিভোর্স ডটকম

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

লাইফস্টাইল এর সর্বশেষ খবর

লাইফস্টাইল - এর সব খবর



রে