ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি ও ৭ বাড়ি-ফ্ল্যাট জব্দ

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৯ ২১:৫৫:২২
সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের ১০০ বিঘা জমি ও ৭ বাড়ি-ফ্ল্যাট জব্দ

ডুয়া নিউজ : সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশিদের ১০০ বিঘা জমি, ৫টি বাড়ি ও ২টি ফ্ল্যাট জব্দ করার আদেশ দিয়েছে আদালত। পাশাপাশি তার নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা ১০টি হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। সেখানে মোট ১ কোটি ২৬ লাখ ৯০ হাজার ৪৬৮ টাকা জমা রয়েছে।

আজ বুধবার (১৯ ফেব্রুয়ারি) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

হারুনের পাশাপাশি তার ভাই শাহরিয়ারের ৩০ বিঘা জমি জব্দ, ১১টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ ও ৩টি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

দুদকের সহকারী পরিচালক আমিনুল ইসলাম বলেন, দুদকের উপপরিচালক মুহাম্মদ জয়নাল আবেদীন হারুন ও তার ভাইয়ের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও অস্থাবর সম্পদ অবরুদ্ধের জন্য পৃথক দুটি আবেদন করেন। আদালত শুনানি শেষে আবেদন মঞ্জুর করে এ আদেশ দেন।

জব্দকৃত সম্পদের মধ্যে রয়েছে— হারুনের নামে ঢাকার উত্তরায় ৭.৪৫ কাঠা জমিতে ৩ কোটি টাকার মূল্যের একটি ভবন, গুলশানে ১০.৩৬ শতক জমিতে ৩ কোটি ৯৭ লাখ টাকার একটি ভবন, কুড়িল ও খিলক্ষেতে হারুনের নামে সেমিপাকা টিনশেড বাড়ি এবং খিলক্ষেতে ১ তলা দালানও রয়েছে। এছাড়া উত্তরায় ৭ তলা ভবনের ২য় তলায় একটি ফ্ল্যাট এবং জোয়ার সাহারায় ৬ তলা ভবনের ৬ তলায় আরেকটি ফ্ল্যাটসহ আশিয়ান সিটিতে হারুনের নামে ৫ কাঠার একটি প্লটও জব্দ করার আদেশ দেওয়া হয়েছে।

অন্যদিকে, সাবেক ডিবিপ্রধান হারুনের নামে কিশোরগঞ্জ, কক্সবাজার ও নারায়ণগঞ্জে ৯৯.১৮ বিঘা জমি জব্দ করা হয়েছে। এর মধ্যে কিশোরগঞ্জে ৯১.৩২ বিঘা জমি রয়েছে।

এছাড়া, তার ভাই শাহরিয়ারের বিভিন্ন জায়গায় ৩০ বিঘা জমি জব্দ করা হয়েছে। এছাড়া ১১টি ব্যাংক হিসাব এবং তিনটি কোম্পানির শেয়ার অবরুদ্ধ করা হয়েছে।

ডিবি হারুনের আবেদন বলা হয়েছে, আসামি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ ১৭ কোটি ৫১ লাখ ১৭ হাজার টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ ভোগদখলে রেখেছেন। তদন্তে বিশ্বস্ত সূত্র থেকে জানা গেছে যে, আসামি তার মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। যদি তা সফল হয়, তবে আদালত ওই মামলার বিচারের পর সাজার অংশ হিসেবে অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ সব উদ্দেশ্য ব্যর্থ হয়ে যাবে। সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার স্থাবর সম্পত্তিগুলো জব্দ এবং অস্থাবর সম্পত্তিগুলো অবরুদ্ধ করা অপরিহার্য।

তার ভাই শাহরিয়ারের আবেদন বলা হয়েছে, আসামি এবিএম শাহারিয়ার ১২ কোটি ৯৬ লাখ ৮৭ হাজার ৬০৪ টাকা মূল্যের জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে তা ভোগদখলে রেখেছেন। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি মোহাম্মদ হারুন অর রশিদকে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের ডিবিপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে ক্ষমতার অপব্যবহার করে অপরাধে প্রত্যক্ষ সহায়তা করায় মামলা হয়েছে। তদন্তকালে বিশ্বস্ত সূত্রে জানা গেছে, আসামি শাহারিয়ার তার মালিকানাধীন স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তরের চেষ্টা করছেন। এতে মামলার পর আদালতের সাজার পর অপরাধলব্ধ আয় থেকে অর্জিত সম্পত্তি সরকারের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করাসহ অন্যান্য উদ্দেশ্য ব্যর্থ হতে পারে। তাই সুষ্ঠু তদন্ত এবং ন্যায়বিচারের স্বার্থে তার স্থাবর সম্পত্তিগুলো জব্দ ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলো অবরুদ্ধ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এর আগে, ১৭ ডিসেম্বর দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে