ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

তিস্তা বাঁচাতে ৫ জেলায় কর্মসূচি, পদযাত্রায় জনস্রোত

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৮ ১৪:৩৩:০৭
তিস্তা বাঁচাতে ৫ জেলায় কর্মসূচি, পদযাত্রায় জনস্রোত

ডুয়া ডেস্ক: তিস্তার পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে ১৭ ফেব্রুয়ারি থেকে ৪৮ ঘণ্টার কর্মসূচি শুরু হয়েছে। তিস্তা নদীবেষ্টিত পাঁচটি জেলার ১১টি স্থানে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

কর্মসূচিগুলো হলো: লালমনিরহাট সদর, হাতীবান্ধা, কালীগঞ্জের দুটি স্থান ও আদিতমারী; রংপুরের গঙ্গাচড়া ও কাউনিয়া; কুড়িগ্রামের রাজারহাট ও উলিপুর; নীলফামারীর ডিমলা এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায়।

"জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই" স্লোগানে ১৮ ফেব্রুয়ারি বেলা সাড়ে ১১টার পর তিস্তা রক্ষা আন্দোলন কমিটি পদযাত্রা শুরু করে। এই পদযাত্রায় তিস্তাপাড়ের সকল স্তরের মানুষ অংশ নেয়। গণপদযাত্রাটি লালমনিরহাট প্রান্তের তিস্তা ব্রিজ থেকে শুরু হয়ে রংপুরের কাউনিয়া বাজারে শেষ হয়।

সোমবার সকাল থেকে তিস্তাপাড়ে ৪৮ ঘণ্টা লাগাতার অবস্থান, জনতার সমাবেশ ও পদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হয়। রংপুর ও লালমনিরহাট জেলার তিস্তা রেলওয়ে সেতু-সংলগ্ন পয়েন্টে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কর্মসূচির উদ্বোধন করেন।

রংপুর, লালমনিরহাট, গাইবান্ধা, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলার ১১টি স্থানে অনুষ্ঠিত এই বৃহৎ কর্মসূচিতে যোগ দেন লাখো মানুষ। প্রথম দিনের মতো দ্বিতীয় দিনেও ১১টি পয়েন্টে সমাবেশ, পদযাত্রা, সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবাদস্বরূপ দেশীয় সংগীত, নৃত্য ও খেলাধুলাও ছিল।

দ্বিতীয় দিনের কর্মসূচিতেও তিস্তা নদীর তীরে মানুষের ঢল নামে। তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন এবং পানির ন্যায্য হিস্যা আদায়ের দাবিতে স্লোগানে মুখরিত ছিল সমাবেশস্থল। "জাগো বাহে তিস্তা বাঁচাই" স্লোগান সম্বলিত পতাকা, ব্যানার, পোস্টার, ফেস্টুন ও প্ল্যাকার্ড হাতে হাজারো মানুষ যোগ দেন। বিকেলে সমাপনী গণসমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ভার্চুয়ালি বক্তব্য দেওয়ার কথা ছিল।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আন্তর্জাতিক নদী হওয়া সত্ত্বেও ভারত তিস্তার পানি ইচ্ছামতো আটকে রাখে। তারা বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন করে কিন্তু বাংলাদেশের কৃষকরা পানির অভাবে ফসল ফলাতে পারে না। বর্ষায় পানি ছেড়ে দিলে বসতবাড়ি ও ফসলের ক্ষতি হয়। নদী ও নদীপারের বাসিন্দাদের রক্ষা করতে হবে। ভারতকে পানির ন্যায্য হিস্যা দিতে বলতে হবে।

তিস্তা নদী রক্ষা আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক ও বিএনপির রংপুর বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ আসাদুল হাবিব দুলু বলেন, তিস্তা নদী বেষ্টিত ৫ জেলার মানুষ দীর্ঘদিন ধরে পানি বৈষম্যের শিকার হচ্ছে। তিস্তা নদীর পানি চুক্তি ও মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়নের দাবিতে এই কর্মসূচি পালন করা হচ্ছে। এর মাধ্যমে তিস্তা পানি নিয়ে বৈষম্যের বিষয়টি বিশ্ববাসীকে জানানো হবে।

৩১৫ কিলোমিটার দীর্ঘ তিস্তা নদীর ১১৫ কিলোমিটার বাংলাদেশে অবস্থিত। ভারত একতরফাভাবে বাঁধ দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সেচের জন্য পানি প্রত্যাহার করে নেয়। ফলে বাংলাদেশের জন্য পানি আশীর্বাদ না হয়ে অভিশাপ বয়ে আনে। অসময়ে বন্যা দেখা দেয় এবং ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়ে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে