ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

তারেক রহমান

‘দেশের স্থিতিশীলতা আনতে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে’

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৭ ২১:১২:৪১
‘দেশের স্থিতিশীলতা আনতে জনগণের হাতে ক্ষমতা ফিরিয়ে দিতে হবে’

ডুয়া নিউজ : জাতীয় নির্বাচন যত দেরি হবে, তত বেশি বিভিন্ন ষড়যন্ত্রের ডালপালা বাড়তে থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি বলেন, সমাজের মধ্যে এখনই বিভিন্ন রকম কথাবার্তা আস্তে আস্তে ছড়াচ্ছে যে, এ দেশ থেকে যারা পালিয়ে গিয়েছে তারা মানুষের বিপুল পরিমাণ সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। অবশ্যই তারা সেই সম্পদগুলো সেই ষড়যন্ত্রের পেছনে ব্যয় করবে। কাজেই দেশকে যদি একটি স্থিতিশীল অবস্থার ভেতরে আনতে হয় তবে তার দায়িত্ব অবশ্যই জনগণের হাতে ছেড়ে দিতে হবে। এ দেশের মূল মালিক জনগণ। এ দেশ নিয়ে কী হবে, না হবে সে সিদ্ধান্ত নেবার একমাত্র ক্ষমতা বাংলাদেশের মানুষের। আমরা জনগণের অধিকার যত দ্রুত তাদের কাছে ফিরিয়ে দিতে পারব, জনগণের অধিকার যত দ্রুত এ দেশে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব, তত দ্রুত দেশকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্ত থেকে ফিরিয়ে আনতে আবার সক্ষম হবো।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) বিকালে রাজধানীর ফার্মগেটের কৃষিবিদ ইন্সটিটিউশন মিলনায়তনে ‘আমার বিএনপি পরিবার’ এর উদ্যোগে এক মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব বলেন, “সমগ্র পৃথিবীতে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বলতে যা বোঝায় তা হচ্ছে নির্বাচন। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের মতামত ব্যক্ত করে থাকেন। সেটি ইউনিয়ন পরিষদ হোক, সেটি জাতীয় পর্যায়ের হোক। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ তাদের মতামত প্রকাশ করে থাকে। নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে তারা কী চায়। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার জবাব দিয়ে থাকে তারা দেশকে কী বলতে চায়। রাজনীতিবিদসহ সকলকে কী বলতে চায়, নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ এসব কাজ করে থাকে। কাজেই জনগণের অধিকার যদি জনগণকে ফিরিয়ে দিতে হয়, দেশ কিভাবে চলবে, কী হবে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত সম্পূর্ণ জনগণের।”

তারেক রহমান বলেন, “সংস্কারকে সফল করার জন্যই এমন মানুষের দরকার যারা সরাসরি জনগণের সঙ্গে সম্পৃক্ত। তা না হলে কোনো সংস্কার সফল করা সম্ভব হবে না। সংস্কারের প্রস্তাবনা আজ থেকে দু’বছর আগে এ দেশের রাজনীতিবিদরাই দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন। কাজেই এ দেশের প্রকৃত সংস্কারও যদি করতে হয় তাহলে অবশ্যই সেটি রাজনীতিবিদদের মাধ্যমেই করতে হবে।”

তিনি আরও বলেন, “অবশ্যই দেশের রাজনীতিবিদদের বাইরেও বহু মানুষ আছেন, বহু শ্রেণি-পেশার মানুষ আছেন, বুদ্ধিজীবী আছেন, সিভিল সোসাইটির মানুষ আছেন। আমরা অবশ্যই তাদের পরামর্শ নিব। তার ভিত্তিতে দেশকে সামনের দিকে নিয়ে যাবো। কিন্তু বিষয় হচ্ছে যতক্ষণ পর্যন্ত জনগণের সরাসরি অংশগ্রহণে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না পাবে, তাদের হাতে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব না আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত কোনোভাবেই কোনো সংস্কারের পূর্ণ বাস্তবায়ন করা সম্ভব নয়। কারণ যাদের সঙ্গে জনগণের সরাসরি সম্পৃক্ততা আছে তারাই তাদের কথা তুলে ধরতে পারবে। তারাই এক জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী সামগ্রিকভাবে দেশকে সেদিকে পরিচালনা করতে সক্ষম হবে।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে