ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৯ বৈশাখ ১৪৩২

জ্বালানি উপদেষ্টা

রমজানে এসি ২৫ ডিগ্রি রাখার নির্দেশনা

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৭ ১৭:৫৬:১৭
রমজানে এসি ২৫ ডিগ্রি রাখার নির্দেশনা

ডুয়া নিউজ : শীত শেষ হয়ে গ্রীষ্ম উঁকি দিচ্ছে জানালায়। এছাড়াও আগামী মার্চে শুরু হবে পবিত্র রমজান। এ সময় বাড়বে বিদ্যুতের চাহিদা। আর আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ সংকট মোকাবিলায় সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিস, মসজিদ ও বাসাবাড়িতে এসির ব্যবহার ২৫ ডিগ্রি রাখার অনুরোধ জানিয়েছেন বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজসম্পদ উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান।

আজ সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) ওসমানী মিলনায়তনে জেলা প্রশাসক সম্মেলন উপলক্ষ্যে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।

ফাওজুল কবির খান বলেন, “বিষয়টি পর্যবেক্ষণে বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দিষ্ট টিম কাজ করবে। কোথাও নির্দেশনার ব্যত্যয় ঘটলে সে এলাকায় লোডশেডিং করা হবে।”

জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় এসে একটি ভঙ্গুর অর্থনৈতিক অবস্থা পেয়েছে। বিপুল পরিমাণ অর্থ পাচার হয়ে যাওয়ার বিদ্যুৎ ও জ্বালানির মূল্য পরিশোধে আমাদের বেগ পেতে হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতেও আমরা আসন্ন রমজানে বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখার সবরকম আয়োজন নিয়েছি।”

তিনি আরও বলেন, “শীতকালে আমাদের বিদ্যুতের চাহিদা থাকে ৯ হাজার মেগাওয়াট। গ্রীষ্মে সেই বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে দাঁড়ায় ১৭-১৮ হাজার মেগাওয়াট। এই যে চাহিদাটা বেড়ে যাওয়া তার অন্যতম দুটো কারণ হচ্ছে সেচ ও এসির ব্যবহার বা কুলিং লোড। সেচ যেহেতু খাদ্য উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট, তাই তাকে আমরা সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেব। কিন্তু এসির যে ব্যবহার, এটা যদি পরিমিত আকারে ব্যবহার করা যায়, তাহলে কয়েক হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সাশ্রয় হয়।”

খনিজসম্পদ উপদেষ্টা বলেন, “কুলিং লোড কমাতে আমরা ইতোমধ্যে উদ্যোগ নিয়েছি। ধর্ম উপদেষ্টাকে অনুরোধ করেছি, তিনি যেন প্রত্যেকটা মসজিদে তারাবির সময় এসি ২৫ ডিগ্রিতে ব্যবহারের নির্দেশনা দেন। সচিবালয়সহ সরকারি-বেসরকারি অফিসেও এ নির্দেশনা বাস্তবায়নে কাজ করা হবে। এসি ব্যবহারের এ নির্দেশনা যথাযথভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে কি না, তা পর্যবেক্ষণ করতে বিদ্যুৎ বিভাগের একটি টিম কাজ করবে। কোথাও তার ব্যত্যয় ঘটলে সেখানে লোডশেডিং করা হবে, এমনকি ক্ষেত্রবিশেষে বিদ্যুৎ বিচ্ছেদও করা হতে পারে। সেখানে শহর বা গ্রাম বিবেচনা করা হবে না। ঘোষণা দিয়েই লোডশেডিং করা হবে।”

গ্যাস সংকটের বিষয়ে জ্বালানি উপদেষ্টা বলেন, “গ্যাসের উৎপাদন বাড়াতে কূপ খনন করা হচ্ছে। যেখান থেকে অল্প অল্প করে উৎপাদন বাড়ছে। এ ছাড়া গ্যাসের অবৈধ যেসব সংযোগ রয়েছে, সেগুলো বিচ্ছিন্ন করা হচ্ছে। এতেও কিন্তু ২০০ এমএমসিএফডি গ্যাস সাশ্রয় হচ্ছে। তা ছাড়া এলএনজি আমদানির ক্ষেত্রে যথেষ্ট বৈদেশিক মুদ্রার সহায়তা যেন পাই, সে বিষয়ে অর্থ উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকও করা হয়েছে। আমাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনে কিন্তু সক্ষমতার অভাব নেই, অভাব হলো জ্বালানির।”

ফাওজুল কবির আরও বলেন, “বর্তমানে উচ্চমূল্যে বিদ্যুৎ কেনা হয়। সেক্ষেত্রে কয়লা, গ্যাস ও তেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রগুলো থেকে কি পরিমাণে, কত দামে বিদ্যুৎ কেনা হবে, সে বিষয়ে একটি মানদণ্ড ঠিক করা হবে। সবমিলিয়ে আমরা বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতকে একটি সাসটেইনেবল পর্যায়ে নিয়ে আসতে চাই।”

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে