ঢাকা, শুক্রবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৫, ১১ বৈশাখ ১৪৩২

যেভাবে পেতে পারেন গুগলে চাকরি, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়াও

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৪ ১৬:৪৫:৫৭
যেভাবে পেতে পারেন গুগলে চাকরি, জেনে নিন নিয়োগ প্রক্রিয়াও

ডুয়া ডেস্ক: গুগল পৃথিবীর শীর্ষস্থানীয় সার্চ ইঞ্জিন এবং বহু মানুষের কর্মজীবনের স্বপ্নপূরণের স্থান। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম উচ্চ বেতন প্রদানকারী এই প্রতিষ্ঠানে যোগদানের জন্য কিছু নির্দিষ্ট যোগ্যতা ও প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হয়।

গুগলে নিয়োগ প্রক্রিয়া, আবেদনের নিয়মাবলী, প্রয়োজনীয় শিক্ষাগত যোগ্যতা, বয়সসীমা এবং দক্ষতা ইত্যাদি সম্পর্কে অনেকেরই স্পষ্ট ধারণা নেই। এই বিষয়গুলো সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে নিন:

আবেদনের উত্তম নিয়মাবলি:

গুগলে চাকরি করতে আগ্রহী প্রার্থীদের আবেদন করার উত্তম নিয়মাবলি এবং কীভাবে গুগল কর্মী হায়ার করে, এক ভিডিওতে জানিয়েছেন গুগলের কারিগরি কর্মকর্তা (নিয়োগকর্তা) ওকুস ও প্রোগ্রাম ম্যানেজার (ইন্টার্নশিপ) জুলিস।

তারা জানান, আপনি গুগলের কোথায় ভালোভাবে কাজ করতে চান। এটা একবার বুঝতে পারলে এখনই সময় আবেদন করার। প্রথমে Careers Serch Tool-এ গিয়ে জানতে হবে, আপনি কে এবং কী করেন, কোথায় করতে পছন্দ করেন। এরপর আপনি পছন্দসই চাকরি খুঁজতে শুরু করুন, যা আপনার যোগ্যতার সঙ্গে মেলে।

৩০ দিনে ৩ আবেদন:

এরপর Creat your career Profile-এ ক্লিক করুন। যেটা আপনাকে কাস্টমাইজড করে কাজের সুপারিশ করবে। এবং পাশে থাকা Alert বাটনে ক্লিক করুন, যেটা নতুন কোনো চাকরির বার্তা আসবে আপনার যোগ্যতা ও আগ্রহের ওপর ভিত্তি করে। যখন আপনি সার্চ করছেন, মনে রাখতে হবে, প্রতি ৩০ দিনে ৩টি চাকরির আবেদন করতে পারবেন। তবে তালিকা থাকা সর্বনিম্ন যোগ্যতা পূরণ করতে ভুলবেন না। আবেদনের আগে এসব পালন করা খুবই জরুরি।

যদি আপনি গুগলের যেখানে কাজ করতে চান, সেটা যদি পেয়ে যান, তবে আবেদনের প্রস্তুতি নিন এবং তৈরি করে ফেলুন রেজুমে অথবা সিভি। এ জন্য আপনার সিভি তৈরি করে রাখা উচিত, যেটা আপনাকে এই প্রক্রিয়ায় আবেদন করতে উৎসাহিত করবে। তবে আমরা পরামর্শ দেব আপনি একটি নির্দিষ্ট কাজের জন্য জীবনবৃত্তান্ত তৈরি করুন।

খুঁজে নিন মেট্রিকস সূত্র:

আপনার অবশ্যই উচিত হবে জীববৃত্তান্তে যোগ্যতা ও দক্ষতাগুলো সারিবদ্ধভাবে লিখুন। এ ছাড়া লিখুন আপনি যে কোম্পানিতে কাজ করেছেন এবং কোন বিষয়ের ওপর কাজ করেছেন। যিদি কোনো সন্দেহ হয়, তাহলে গুগল সূত্র X-Y-Z (accomplished (X), as messured by (Y), by doing (Z)) দেখুন। দিনশেষে এই মেট্রিকস আপনাকে কাজ খুঁজে পেতে সাহায্য করবে। এই সংখ্যা যুক্ত করলে গুগল টিম আপনার যোগ্যতার মাপকাঠি ভালোভাবে বুঝতে পারবে।

আপনার জীবনবৃত্তান্ত সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত এবং পয়েন্ট ভিত্তিক। এক পৃষ্ঠার জীববৃত্তান্ত সবচেয়ে উত্তম। তবে বেশি অভিজ্ঞতা থাকলে দুই পৃষ্ঠায় লিখলেও চলবে। আর গুগলে চাকরির জন্য কখনোই কাভার লেটারের প্রয়োজন হয় না। যদি তা দরকার হয়, তবে তা কাজের বিবরণে উল্লেখ থাকবে।

আপনার কোনো কাজ পছন্দ হয় এবং আবেদন করেন, পরবর্তী ধাপে যতে হবে।

বাতিল হতে পারে আবেদন:

যদি নিয়োগকর্তা আপনার সিভি দেখে মনে করেন আপনি নির্দিষ্ট কাজের জন্য উপযুক্ত এবং আপনি সব প্রক্রিয়া সঠিকভাবে পূরণ করেছেন তখন প্রার্থীকে মূল্যায়ন করার জন্য নানা উপায় অবলম্বন করবে নিয়োগ বোর্ড। এ ছাড়া আবেদনের আট সপ্তাহ পর যদি কোনো সাড়া না পান তবে কর্তৃপক্ষ ওই পদের জন্য অন্য প্রার্থীকে বাছাই করে নেবে। যাহোক গুগল সব সময় নিয়োগপ্রক্রিয়ার মাধ্যমে আপনার ভিন্নতা খুঁজবে, যেখানে আগ্রহ, কাজের দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা দেখেই কর্মী বিবেচনা করে থাকে।

বেশির ভাগ ক্ষেত্রে গুগল মূল্যায়ন করেই নিয়োগ দেয়। যা গুগলকে কর্মী বাছাই করতে সহায়তা করে এবং গুগলের সফলতা নির্ভর করে।

সিভি ছাড়াও আরও চাইতে পারে যা:

ইন্টারভিউ ছাড়াও নিয়োগকর্তা বা নিয়োগকারী ম্যানেজার আপনার কাছে সাধারণ জ্ঞান ও উপস্থিত বুদ্ধি, কোডিং কুইজ, শর্ট চ্যাটসহ আপনার প্রকল্পকাজের নমুনা চাইতে পারে। গুগল কখনো নিয়োগপ্রক্রিয়ায় ব্রেইন টিজার ব্যাবহার করে না। সুতরাং প্রশ্নগুলোর মূল্যায়নের ভিত্তিতে নেওয়া উচিত।

একজন গুগল কর্মী হওয়ার জন্য আপনার মধ্যে সব গুণাবলি রয়েছে। তবে গুগলে চাকরির জন্য মহড়া ইন্টারভিউয়ে বসার মাধ্যমে নিয়োগপ্রক্রিয়ায় উত্তীর্ণ হওয়ার জন্য নিজেকে তৈরি করতে থাকুন।

বিস্তারিত ভিডিওতে দেখতে এখানেক্লিক করুন। গুগল ক্যারিয়ার অপশনেক্লিক করুন। এরপর আপনার প্রোফাইল আপডেট করতে এখানেক্লিক করুন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

চাকরি এর সর্বশেষ খবর

চাকরি - এর সব খবর



রে