ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ১৩ ২১:৪৯:৪১
ভারতের মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি

ডুয়া ডেস্ক : প্রায় দুই বছর ধরে সহিংসতায় বিধ্বস্ত ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় মণিপুর। সম্প্রতি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং পদত্যাগ করেছেন। এর কয়েক দিন পরই রাজ্যটিতে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যার দিকে মণিপুর রাজ্যে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে দেশটির সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় দুই বছর ধরে সহিংসতা চলা মণিপুর রাজ্যে ক্ষমতাসীন রাজনৈতিক দল ভারতীয় জনতা পার্টিতে (বিজেপি) নেতৃত্ব নিয়ে মতবিরোধের জেরে গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছাড়েন এন বীরেন সিং। এরপর এই রাজ্যে সাংবিধানিক সংকট তৈরি হয়। রাজ্যের বিরোধীদল কংগ্রেসের সম্ভাব্য অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের কয়েক দিন পর বৃহস্পতিবার মণিপুরে রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে ১৯৫১ সালের পর থেকে ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় এই রাজ্যে ১১তম বারের মতো রাষ্ট্রপতি শাসন জারি করা হলো।

রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর কার্যালয় থেকে রাষ্ট্রপতির শাসনের আদেশ জারি করা হয়েছে। এতে বলা হয়, মণিপুরের গভর্নর অজয় ​​ভাল্লার কাছ থেকে একটি প্রতিবেদন প্রাপ্তি ও অন্যান্য তথ্য বিবেচনা করার পর আমি মনে করছি, সেখানে যে পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে তাতে ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের সরকার পরিচালিত হতে পারে না।

জানা গেছে, দলীয় কোন্দল থামাতে ও সংসদে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের সম্ভাব্য অনাস্থা ভোটে হেরে যাওয়ার আশঙ্কায় গত রবিবার মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করেন বীরেন সিং। ওই দিন সন্ধ্যায় রাজ্যের গভর্নরের কাছে নিজের পদত্যাগপত্র হস্তান্তর করেন তিনি।

মণিপুর সরকার থেকে কনরাড সাংমার জাতীয় পিপলস পার্টি সমর্থন প্রত্যাহার করে নেওয়া সত্ত্বেও বিজেপির সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছিল। তবে দলের নেতৃত্বে পরিবর্তন চাওয়া বিজেপির বিধায়করা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতি অনাস্থা প্রস্তাবে সায় দিতে পারেন বলে আশঙ্কা তৈরি হয়। এমন পরিস্থিতিতে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন বীরেন সিং।

২০২৩ সালের মে মাসে প্রথম মেইতেই এবং কুকি-জো সম্প্রদায়ের সহিংস আন্দোলন ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই রাজ্য। গত বছরের সেপ্টেম্বরে মেইতেই ও কুকি জনগোষ্ঠীর মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে মণিপুরের বিস্তীর্ণ এলাকাজুড়ে। মুখ্যমন্ত্রীর পাশাপাশি রাজ্যের বেশ কয়েক জন বিধায়কের বাড়িতেও হামলা চালায় উন্মত্ত জনতা।

পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাজ্যের পাঁচ জেলায় কারফিউ জারি করা হয়। বন্ধ করে দেওয়া হয় ইন্টারনেট পরিষেবাও। রাজ্যের দুই জাতিগত গোষ্ঠীর এই সংঘাতে দুই শতাধিক মানুষের প্রাণহানি ঘটে।

রাজ্যটিতে ঘটে যাওয়া নৃশংসতা বিশ্বব্যাপী শিরোনাম ও নিন্দিতও হয়েছিল।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে