ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে সংস্কার কমিশনের একগুচ্ছ সুপারিশ

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৯ ১০:০১:০৯
বিসিএস পরীক্ষা নিয়ে সংস্কার কমিশনের একগুচ্ছ সুপারিশ

ডুয়া ডেস্ক : জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিস (বিসিএস) পরীক্ষার সংস্কারে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ করেছে। এতে বিসিএস পরীক্ষা থেকে পদায়ন পর্যন্ত একটি সুস্পষ্ট রোডম্যাপ তৈরি, মৌলিক বিষয়ের নম্বর পুনর্বণ্টন এবং তিনটি পৃথক পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।

শনিবার (০৮ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ছয় সংস্কার কমিশনের বিস্তারিত প্রতিবেদনে এসব সুপারিশের উল্লেখ পাওয়া যায়। এতে দেখা যায়, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন তিনটি পাবলিক সার্ভিস কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়।

প্রস্তাবিত পাবলিক সার্ভিস কমিশনের প্রতিটিতে চেয়ারম্যানসহ ৮ জন সদস্য রাখার সুপারিশ করা হয়েছে। পাবলিক সার্ভিস কমিশন (সাধারণ), এতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিস ব্যতীত অন্য সব সার্ভিসে নিয়োগ ও পদোন্নতি পরীক্ষা আয়োজন করবে। এছাড়া পাবলিক সার্ভিস কমিশন (শিক্ষা) ও পাবলিক সার্ভিস কমিশন (স্বাস্থ্য)। এই কমিশন দুটো শুধুমাত্র শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সার্ভিসের জনবল নিয়ে কাজ করবে।

এতে বলা হয়েছে, জনপ্রশাসনে মেধাভিত্তিক নিয়োগ ও পদোন্নতি নীতিমালা/আইন প্রণয়ন করা যেতে পারে যাতে সহজেই সেটি পরিবর্তন করা না যায়। সরকারি চাকরিতে নিয়োগ কার্যক্রম সম্পন্ন করার জন্য একটি নির্দিষ্ট সময়রেখা প্রতিষ্ঠা করা উচিত।

প্রতিবেদনে একটি পরীক্ষা ও পদায়নের রোডম্যাপ দেওয়া হয়েছে। এতে পিএসসির পরীক্ষার বিজ্ঞপ্তি জানুয়ারি মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহ, প্রিলিমিনারি পরীক্ষা এপ্রিল মাসের প্রথম সপ্তাহ। এর ফল প্রকাশ হবে মে মাসের প্রথম সপ্তাহে, লিখিত পরীক্ষা জুন মাসের দ্বিতীয়ার্ধে, পরীক্ষার ফল প্রকাশ হবে ডিসেম্বর মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে।

মৌখিক ও মনস্তাত্ত্বিক পরীক্ষা হবে পরবর্তী বছরের জানুয়ারি মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে ফেব্রুয়ারির দ্বিতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত। ফল প্রকাশ হবে এপ্রিল মাসের তৃতীয় সপ্তাহে। এরপর স্বাস্থ্য পরীক্ষা ও পুলিশ ছাড়পত্র মে মাসের তৃতীয় সপ্তাহে হবে। নিয়োগের আদেশ গেজেটে প্রকাশ হবে জুন মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহে। জুলাইয়ের এক তারিখে তারা যোগদান করবেন।

পরীক্ষার জন্য ৬টি আবশ্যক বিষয় অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। সেগুলো হলো- বাংলা রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি রচনা ১০০ নম্বর, ইংরেজি কম্পোজিশন এবং প্রেসি ১০০ নম্বর, বাংলাদেশের সংবিধান, ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি ১০০ নম্বর, আন্তর্জাতিক ও চলতি বিষয়াবলি ১০০ নম্বর, সাধারণ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি, সমাজ ও পরিবেশ এবং ভূগোল ১০০ নম্বর। তবে মৌলিক বিষয়ের মধ্যে সুপারিশে রাখা হয়নি গণিত।

এ ছাড়াও বিসিএস-এর মূল লিখিত পরীক্ষায় আবশ্যক বিষয় ছাড়াও সিলেবাসে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে পঠিত কলা, সামাজিক বিজ্ঞান, ভৌত বিজ্ঞান, বাণিজ্য এবং আইন ইত্যাদি গুচ্ছ থেকে ৬টি ঐচ্ছিক বিষয় (প্রতিটি ১০০ নম্বরের) অন্তর্ভুক্ত করা যেতে পারে। তবে কোনো গুচ্ছ হতে দু’টির বেশি বিষয় বা পেপার নির্বাচন করা যাবে না।

লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণের ন্যূনতম নম্বর ৬০ শতাংশ নির্ধারণের সুপারিশ করা হয়েছে। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য বিসিএস’র চূড়ান্ত ফলাফল ব্রেকডাউনসহ প্রকাশ করা উচিত বলে মনে করে কমিশন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে