ঢাকা, সোমবার, ২১ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

আইন উপদেষ্টা

‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে’

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৮ ২০:৩১:০৭
‘ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া হবে’

ডুয়া নিউজ : চলতি ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ের মধ্যে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গ্রহণের মাধ্যমে সংস্কার কমিশনের সুপারিশগুলো পর্যালোচনা করা হবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

আজ শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

ড. আসিফ নজরুল বলেছেন, তারা ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা শুরু করতে আগ্রহী। যদি দলগুলো রাজি থাকে, তবে রোজার সময়েও আলোচনা চলতে পারে। তিনি আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো দ্রুত নির্বাচন চাচ্ছে। এটা তাদের অধিকার। তবে "দ্রুত নির্বাচন" বলতে তারা স্পষ্টভাবে কিছু বলেননি। নির্বাচনের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার পক্ষ থেকে বারবার স্পষ্ট করা হয়েছে যে, নির্বাচন ডিসেম্বর অথবা জুনে হতে পারে। জুনে যদি নির্বাচন হয়, তবে বর্ষা মৌসুমের কারণে সেটা দুই-তিন মাস পিছিয়ে এপ্রিল বা মার্চেও হতে পারে।

আইন উপদেষ্টা আরও বলেন, বিএনপি তাদের জোট সঙ্গীদের মতামতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি করেছে। যদি সেটি ফাইনালাইজ হয়, তবে ছাত্র প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।

আসিফ নজরুল জানান, পাঁচটি কমিশন তাদের কাছে কিছু জরুরি করণীয় সুপারিশ করেছে, তবে সংবিধান সংস্কার কমিশন কোন আশু করণীয় বলেনি। তাদের প্রস্তাবগুলি রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে গ্রহণ করা হবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ঐকমত্য প্রয়োজন না হলেও, আইন প্রণয়নের জন্য রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত গুরুত্ব পাবে। তিনি উদাহরণ হিসেবে বলেন, উচ্চ আদালত আইন প্রণয়ন করা হয়েছে। তবে এতে কোনো রাজনৈতিক দল বিরোধিতা করেনি। কিন্তু এই আইন প্রণয়ন করার আগে রাজনৈতিক দলের আইনজীবীদের সঙ্গে আলোচনা করা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, প্রতিবেদনটির তিনটি ধাপ আছে— আশু করণীয়, মধ্যমেয়াদি এবং দীর্ঘমেয়াদি। দীর্ঘমেয়াদি সংস্কার নির্বাচিত সরকার করবে। আশু করণীয়, এই বিষয়ে আমরা আশা করছি রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঐকমত্যের ভিত্তিতে নির্বাচন আগেই করা হবে। মধ্যমেয়াদি সংস্কার ডিপেন্ড করে রাজনৈতিক দলগুলো কতটুক সংস্কার চায় তার ওপর।

আসিফ নজরুল বলেন, ‘সংস্কারগুলো করা হচ্ছে আমাদের দীর্ঘ সময় ক্ষমতা থাকার জন্য না। এই সরকারের অযথা ক্ষমতায় থাকার বিন্দুমাত্র ইচ্ছা নাই। আমরা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য, রাষ্ট্র মেরামতের ফান্ডামেন্টাল শর্ত পূরণ করার জন্য, রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে যে সংস্কারগুলো অতি জরুরি সেগুলো করার সঙ্গে সঙ্গে নির্বাচন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা চলে যেতে চাই। এতে দ্বিধা দ্বন্দ্বের কোনোরকম অবকাশ নাই।’

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে