ঢাকা, মঙ্গলবার, ২২ এপ্রিল ২০২৫, ৮ বৈশাখ ১৪৩২

একুশে পদক পাচ্ছেন অভ্র কিবোর্ডের আবিষ্কারক

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৬ ১৮:৪৯:৪৫
একুশে পদক পাচ্ছেন অভ্র কিবোর্ডের আবিষ্কারক

ডুয়া নিউজ : চলতি বছর একুশে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি শাখায় একুশে পদক পাচ্ছেন বাংলা ভাষার ডিজিটাল বিপ্লবের অন্যতম কারিগর মেহেদী হাসান খান। তিনি জনপ্রিয় অভ্র কিবোর্ডের আবিষ্কারক। বাংলা ভাষায় লেখাকে সহজতর করার জন্য তার অবদান অবিস্মরণীয়।

ঢাকা শহরে জন্ম নেওয়া মেহেদী হাসান খান রাজধানীর আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে মাধ্যমিক এবং নটর ডেম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রি লাভ করেন।

ছোটবেলা থেকেই তার সফটওয়্যার ডেভেলপমেন্টের প্রতি ঝোঁক ছিল। ২০০৩ সালে তিনি ইউনিকোড ও এএনএসআই সমর্থিত বাংলা লেখার জন্য ফ্রি ও ওপেন সোর্স সফটওয়্যার অভ্র কিবোর্ড তৈরি করে আলোড়ন সৃষ্টি করেন।

জানা গেছে, ২০০৩ সালের বইমেলায় বায়োস নামক একটি সংগঠনের প্রদর্শনী দেখে অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন মেহেদী হাসান। তখনই তার মনে উদ্ভব হয় একটি সহজতর বাংলা লেখার সফটওয়্যার তৈরির চিন্তা। সেই চিন্তাই পরবর্তীতে বাস্তবে রূপ নেয় অভ্র কিবোর্ডের মাধ্যমে।

প্রথমে তিনি মাইক্রোসফট ডট নেট ফ্রেমওয়ার্ক ব্যবহার করে একটি প্রোটোটাইপ তৈরি করেন, কিন্তু তা বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হয়। পরবর্তীতে, ক্ল্যাসিক ভিজ্যুয়াল বেসিকের ওপর ভিত্তি করে নতুন সংস্করণ তৈরি করেন, যা বাংলা লেখার জন্য আদর্শ হয়ে ওঠে।

২০০৩ সালের ২৬ মার্চ প্রথমবারের মতো অভ্র কিবোর্ড উন্মুক্ত হয়। পরে ১৫ সেপ্টেম্বর এটি ওমিক্রনল্যাব থেকে মুক্তি দেওয়া হয়। অভ্র কিবোর্ডের সফলতা, তার ওপেন সোর্স প্রকৃতি এবং কাস্টম লেআউট সুবিধার জন্যই এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা লাভ করে। এর ব্যবহার সরকারি প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে, এমনকি বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনও এটি জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরিতে ব্যবহার করেছে।

অভ্র টিমের সদস্যদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন- রিফাত উন নবী, সিয়াম রুপালী ফন্টের জনক সিয়াম, সারিম, ভারতের নিপন এবং মেহেদীর সহধর্মিণী সুমাইয়া নাজমুন। তাদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় অভ্র আজকের অবস্থানে পৌঁছেছে।

মেহেদী হাসান খান ২০১১ সালে তথ্যপ্রযুক্তি খাতে বিশেষ অবদানের জন্য বেসিস পুরস্কার লাভ করেন। সর্বশেষ চলতি বছর একুশে পদক পাওয়ার মাধ্যমে তার দীর্ঘ পরিশ্রমের স্বীকৃতি মিলেছে।

অভ্র বনাম বিজয় : অভ্র কিবোর্ড বিজয়ের তুলনায় অধিক ব্যবহারকারী-বান্ধব এবং ওপেন সোর্স হওয়ায় বেশি জনপ্রিয়তা পায়। এটি ফ্রি হওয়ায় ব্যবহারকারীরা সহজেই ব্যবহার করতে পারেন। অপরদিকে বিজয় কিবোর্ড নির্দিষ্ট লাইসেন্সের আওতায় থাকে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে