ঢাকা, রবিবার, ২০ এপ্রিল ২০২৫, ৭ বৈশাখ ১৪৩২

বাংলাদেশি অভিবাসীদের দীর্ঘদিন আটক, সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্ন

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৫ ১১:৫৯:২৫
বাংলাদেশি অভিবাসীদের দীর্ঘদিন আটক, সুপ্রিম কোর্টের কড়া প্রশ্ন

ডুয়া ডেস্ক : ভারতে অবৈধ বাংলাদেশি অভিবাসীদের বছরের পর বছর বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টার ও সংশোধনাগারে আটকে রাখার বিষয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এছাড়া, পশ্চিমবঙ্গে আটক অভিবাসীদের বিষয়ে রাজ্য সরকারের করণীয়ও জানতে চাওয়া হয়েছে। আদালত উল্লেখ করেছে, অবৈধ অভিবাসীদের ৩০ দিনের মধ্যে নিজ দেশে ফেরত পাঠানোর নিয়ম রয়েছে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিচারপতি জে বি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি আর মহাদেবান আগামী ৬ ফেব্রুয়ারি কেন্দ্রীয় সরকার এবং পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে এ ব্যাপারে নির্দিষ্ট রিপোর্ট অথবা হলফনামা পেশ করতে নির্দেশ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ কেন্দ্রীয় সরকার এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসাম সরকারকে নির্দেশ দিয়েছে, আসামের ট্রানজিট শিবিরে আটকে থাকা ৬৩ জন বিদেশি নাগরিককে অবিলম্বে ফেরত পাঠাতে হবে। কোন দেশের নাগরিক জানলেই দুই সপ্তাহের মধ্যে সে দেশের রাজধানীতে পাঠানোর ব্যবস্থা করতে হবে বলে বিচারপতি এএস ওক এবং বিচারপতি উজ্জ্বল ভুঁইয়া নির্দেশ দেন।

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, বিচারপতি পারদিওয়ালা এবং বিচারপতি মহাদেবান যে মামলাটি শুনছিলেন, সেটি অনেক পুরোনো। আটকে থাকা বাংলাদেশিদের দুর্দশা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে একটি আবেদন জমা পড়েছিল ২০১১ সালে। হাইকোর্ট স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এ ব্যাপারে মামলা শুরু করে। ২০১৩ সালে মামলাটি সুপ্রিম কোর্টে যায়।

জানুয়ারির ৩০ তারিখের শুনানিতে বিচারপতিরা বলেন, গত ১২ বছরে এই মামলার কোনও অগ্রগতি হয়নি। মামলা শুরুর সময়ে আদালতে জানানো হয়েছিল, ৮৫০ জন বাংলাদেশি অনির্দিষ্টকাল ধরে আটকে রয়েছেন। সেই সংখ্যাটা এখন কত, কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে জানতে চেয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

শীর্ষ আদালত জানান, সরকার এ ক্ষেত্রে নিজেই নিজের আইন লঙ্ঘন করছে। আদালতের পর্যবেক্ষণ, বাংলাদেশ থেকে আগত কোনও অবৈধ অভিবাসী এ দেশে আটক হলে ৩০ দিনের মধ্যে তাকে ফেরত পাঠানোর কথা। আটক অভিবাসী যদি ফরেনার্স অ্যাক্ট ১৯৪৬-এর ধারায় দোষী সাব্যস্ত হন এবং কারাদণ্ডে দণ্ডিত হন, তা হলেও কারাবাসের মেয়াদ শেষ হওয়ার পরেই তাকে ফেরত পাঠানোর কথা।

বিচারপতিরা বলেন, “একটা জিনিসই বুঝতে পারছি না। অবৈধ অভিবাসনের জেরে দণ্ডিত ব্যক্তি যে ভারতের নাগরিক নয়, সেটা তো প্রমাণ হয়েই গেছে। তারপরও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে তার পরিচয় যাচাই করার কী আছে?”

ভারতের সুপ্রিম কোর্ট প্রশ্ন তুলেছে, ২০০৯ সালের নভেম্বরে জারি করা বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী অবৈধ অভিবাসীদের পরিচয় যাচাই ও প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়া ৩০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করার নিয়ম কেন পালন করা হয়নি। মামলাটি পশ্চিমবঙ্গ থেকে শুরু হওয়ায় রাজ্য সরকারের করণীয় বিষয়েও কেন্দ্রীয় সরকারকে জানাতে বলা হয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে