ঢাকা, রবিবার, ৪ মে ২০২৫, ২১ বৈশাখ ১৪৩২

রাবিতে হিজাব পরে মৌনমিছিল; ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

২০২৫ ফেব্রুয়ারি ০৪ ১৭:৫২:৫১
রাবিতে হিজাব পরে মৌনমিছিল; ৫ দফা দাবিতে স্মারকলিপি

ডুয়া নিউজ: রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) হিজাব-নেকাব পরে মৌনমিছিল করেছেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষার্থীরা। এ সময় তারা উপাচার্য বরাবর পাঁচ দফা দাবিসংবলিত একটি স্মারকলিপি দেন।

আজ মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে তারা এই মিছিল কর্মসূচি পালন করেন।

এ সময় তাদের হাতে 'রেসপেক্ট মাই হিজাব, রেসপেক্ট মাই চয়েজ', 'পরিচয় সনাক্তের জন্য বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করুন, পোশাকের ওপর জোর নয়'সম্বলিত বিভিন্ন পোস্টার ও ব্যানার দেখা যায়।

শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো : ১। ভর্তি পরীক্ষায় মুখ দেখা না গেলে আবেদন বাতিলের সিদ্ধান্ত অবিলম্বে বাতিল করতে হবে এবং পরীক্ষার হলে নেকাব খুলতে বাধ্য করা যাবে না

২। হিজাব-নেকাব পরিহিত কোনো শিক্ষার্থীকে প্রেজেন্টেশন ও মৌখিক পরীক্ষায় (ভাইভা) নেকাব খুলতে বাধ্য করা যাবে না

৩। বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে পরিচয় শনাক্ত করা এবং এ পদ্ধতি চালু হওয়ার আগপর্যন্ত নারী শিক্ষক বা কর্মচারীর মাধ্যমে পর্দানশিন ছাত্রীদের পরিচয় শনাক্তের ব্যবস্থা করতে হবে

৪। প্রতিটি ভবনে মেয়েদের নামাজের ঘরের ব্যবস্থা করতে হবে এবং কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় মেয়েদের জন্য আলাদা কর্নারের ব্যবস্থা করতে হবে এবং

৫। দ্রুত সময়ের মধ্যে সব বিভাগে হিজাব-নেকাব পরা শিক্ষার্থীদের হেনস্তা বন্ধে নোটিশ দিতে হবে এবং হিজাব-নেকাব পরিধানে পূর্ণ স্বাধীনতা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিধিতে ধারা যুক্ত করতে হবে।

স্মারকলিপিতে শিক্ষার্থীরা বলেছেন, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপীঠ। এখানে ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক অত্যন্ত ভারসাম্যপূর্ণ। তবুও অনেক সময় শ্রেণিকক্ষে, পরীক্ষা, মৌখিক পরীক্ষা এবং প্রেজেন্টেশনের সময় পর্দানশিন শিক্ষার্থীদের নেকাব খুলতে বাধ্য করা হয়, যা তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ বলে মনে হয়। সম্প্রতি তারা জানতে পেরেছেন, আসন্ন ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করা শিক্ষার্থীদের কান দৃশ্যমান না হলে আবেদন বাতিল করা হবে। এতে সচেতন সব শিক্ষার্থী ভীষণ উদ্বিগ্ন ও চিন্তিত।

শিক্ষার্থীরা আরও জানান, নেকাব এবং কান খোলার বিষয়ে ইসলামপ্রিয় ছাত্রীরা বিভিন্ন সময়ে প্রতিবাদ জানিয়েছেন, কিন্তু এখন পর্যন্ত এর সমাধানে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। এটা অত্যন্ত দুঃখজনক। বিশ্ববিদ্যালয়ে নেকাব খুলতে বা কান খোলা রাখতে বাধ্য করা হয় মূলত পরিচয় শনাক্ত করতে এবং পরীক্ষায় স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য। তবে তারা মনে করেন, বর্তমান তথ্যপ্রযুক্তির যুগে পরিচয় শনাক্ত করার জন্য মুখ এবং কান খোলার বাইরে আরও আধুনিক ও বিশ্বস্ত পদ্ধতি রয়েছে, যা ব্যবহার করে এই সমস্যার সমাধান করা সম্ভব।

এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে শিক্ষার্থীরা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর