ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

গণহত্যার বিচার নিয়ে নজির স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ

২০২৪ ডিসেম্বর ১১ ০৭:৫৭:৪৬
গণহত্যার বিচার নিয়ে নজির স্থাপন করতে চায় বাংলাদেশ

ডুয়া নিউজ: তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা মোঃ নাহিদ ইসলাম বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে গণহত্যার বিচার একটি স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ প্রক্রিয়ায় পরিচালিত হবে এবং এটি আন্তর্জাতিক মানদণ্ডের সাথে সংগতিপূর্ণ হবে।

মঙ্গলবার ( ১০ নভেম্বর) সচিবালয়ে উপদেষ্টার দফতেরে আন্তর্জাতিক জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করতে এলে এসব কথা বলেন তিনি । সাক্ষাৎকারের শুরুতেই জুলাই গণঅভ্যুত্থান নিয়ে তৈরি করা ভিডিও "জুলাই অনির্বাণ" প্রতিনিধিদলকে দেখানো হয়।

নাহিদ ইসলাম বলেন, গণঅভ্যুত্থানের মাধ্যমে পাঁচ আগস্ট স্বৈরাচার হাসিনা দেশ ছেড়ে পালিয়েছে। তারপর তিনদিন সরকার না থাকায় অনেক ফ্যাসিস্ট সমর্থক দেশ ছেড়ে পালানোর সুযোগ পেয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা গণহত্যার বিচারের কাজ শুরু করেছি। প্রাথমিক পর্যায়ে বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত সংগ্রহের কাজ চলছে।

প্রতিনিধি দল জুলাই গণহত্যার বিচারের সময়কাল এবং প্রক্রিয়া নিয়ে জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালে জুলাই গণহত্যার বিচার দ্রুততম সময়ে অত্যন্ত স্বচ্ছ ও আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুসরণ করে সম্পন্ন করা হবে। এবিচার কখনোই প্রতিশোধ মূলক হবে না কারণ বিচার মানেই ন্যায়বিচার।

গণহত্যার বিচারের বিষয়ে ফ্যাসিস্ট বিরোধী সকল দল ঐক্যমত বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা। পাশাপাশি এই বিচার প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে দেশ-বিদেশের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেন তিনি।

উপদেষ্টা বলেন, এই বিচার শুধুমাত্র বাংলাদেশের নির্যাতিত এবং গণহত্যার শিকার হওয়া মানুষের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য নয় বরং বিশ্বের মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধের পরিণাম হিসেবে বিচার প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা প্রয়োজন। এই বিচার প্রক্রিয়ার উপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের নজর রয়েছে এবং বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার এ বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছে।

আন্তর্জাতিক জুরিস্ট ইউনিয়নের পরামর্শ, সহযোগিতা এবং অভিজ্ঞতা বর্তমান অন্তর্র্বতী সরকার গ্রহণ করবে বলেও মন্তব্য করেন উপদেষ্টা।

জুলাই গণঅভ্যুত্থানে যে গণহত্যা হয়েছে তা সুস্পষ্ট অপরাধ এবং তার শাস্তি হওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন প্রতিনিধি দলের সদস্যরা। তারা নৈতিকভাবে জুলাই গণহত্যার বিচারকে সমর্থন করে এবং অন্তর্র্বতী সরকারকে গণহত্যাকারীদের বিচারের বিষয়ে সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে প্রস্তুত বলেও মন্তব্য করেন।

উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক জুরিস্ট ইউনিয়ন বিশ্বের ৪০ টি দেশে আইনজীবী, শিক্ষাবিদ এবং প্রসিকিউশন এক্সপার্টদের সাথে কাজ করে। তাদের সাথে বাংলাদেশের কিছু আইনজীবী ও কাজ করে।

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব মাহবুবা ফারজানা, আইসিটি পলিসি এডভাইজার ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব ছাড়াও জুরিস্ট ইউনিয়নের প্রতিনিধিদলে ছিলেন বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিন, তুরস্কের চারটি গণঅভ্যুত্থানে বিচারিক অভিজ্ঞতা সম্পন্ন চিফ প্রসিকিউটর, তুরস্কের একাধিক সাবেক সংসদ সদস্য, তুরস্কের সিভিল সোসাইটির প্রতিনিধিবৃন্দ ও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের বাংলাদেশের প্রসিকিউটরবৃন্দ।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে