ঢাকা, শনিবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৫, ৬ বৈশাখ ১৪৩২

টানা সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত লুকাশেঙ্কো

২০২৫ জানুয়ারি ২৭ ১৮:৩৭:৪৭
টানা সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত লুকাশেঙ্কো

ডুয়া ডেস্ক: আবারও বেলারুশের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয়লাভ করেছেন দেশটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কো। এই নিয়ে তিনি টানা সপ্তমবারের মতো বেলারুশের প্রেসিডেন্ট হতে যাচ্ছেন।

গতকাল রবিবার বেলারুশে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয়েছে। আজ সোমবার (২৭ জানুয়ারি) তার ফলাফল প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন।

দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত টেলিভিশন চ্যানেল বেল্টা-কে বেলারুশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার ইগর কারপেঙ্কো সোমবার সকালের দিকে জানান, মোট ভোটের ৮৬ দশমিক ৮২ শতাংশ নিজের বিজয় নিশ্চিত করেছেন লুকাশেঙ্কো। তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের কেউই ৫ শতাংশের বেশি ভোট পাননি।

প্রসঙ্গত, ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের পর স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বেলারুশ। স্বাধীনতার পর দেশটির অস্থায়ী সরকারপ্রধান ছিলেন সাবেক সোভিয়েত বেলারুশ অঙ্গরাজ্যের চেয়ারম্যান স্তানিস্লাভ শুশকেভিচ। ১৯৯৪ সালে প্রথমবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হয় বেলারুশে। তাতে জয়ী হন লুকাশেঙ্কো। তারপর থেকে এ পর্যন্ত মোট ৭ বার প্রেসিডেন্ট নির্বচন হয়েছে বেলারুশে, প্রতিবারই জয় পেয়েছেন তিনি।

জানা গেছে, বেলারুশের সংবিধান অনুসারে দেশটির প্রেসিডেন্টের মেয়াদ ৫ বছরের। সেই হিসেবে সোভিয়েত ইউনিয়ন থেকে স্বাধীনতা লাভের পর গত ৩৩ বছরের মধ্যে ৩০ বছরই দেশটির সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানের পদে রয়েছেন লুকাশেঙ্কো। সদ্যসমাপ্ত নির্বাচনে জয়ের মাধ্যমে তার রাষ্ট্রের শীর্ষপদে থাকার মেয়াদ আরও ৫ বছর বাড়ল; অর্থাৎ আগামী ২০৩০ সাল পর্যন্ত বেলারুশের প্রেসিডেন্ট পদে থাকছেন তিনি।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ মিত্র আলেক্সান্দার লুকাশেঙ্কোর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের সম্পর্ক খুব একটা ভালো নয়। ২০২০ সালের নির্বাচনে তার বিরুদ্ধে কারচুপির অভিযোগ তোলেন বেলারুশের বিরোধীদলীয় নেত্রী এসভেতলানা তিখানোভস্কায়া, যিনি ইউরোপপন্থী। ইউরোপীয় ইউনিয়নও তার এই অভিযোগ সমর্থন করে, তবে লুকাশেঙ্কো এসব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

পশ্চিমা সংবাদমাধ্যমগুলো প্রায়ই লুকাশেঙ্কোকে বর্ণবাদী আখ্যা দেয়। গত নভেম্বরে এ অভিযোগের বিষয়ে এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “হ্যাঁ, আমি একজন স্বৈরাচার। বেলারুশের স্থিতিশীলতা, নিরাপত্তা, আইন শাসন, সহানুভূতি এবং আতিথেয়তার ঐতিহ্য রক্ষার জন্য আমাকে এই ভূমিকা পালন করতে হয়েছে।”

১৯৯৯ সাল থেকে বেলারুশ রাশিয়ার কৌশলগত অংশীদার। রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের পর তাদের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হয়েছে। ইউরোপজুড়ে মার্কিন বাহিনীর টহল বৃদ্ধি পাওয়ার পর গত বছর মস্কো এবং মিনস্ক একটি চুক্তি সই করে, যার আওতায় বেলারুশের ভূখণ্ডে রাশিয়াকে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার অনুমতি দেওয়া হয়।

রোববার নির্বাচনের ফলাফল প্রকাশের পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে লুকাশেঙ্কো বলেন, "২০২৫ সালের যেকোনো দিন বেলারুশে ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হতে পারে। বেলারুশের সুরক্ষার জন্য এই ক্ষেপণাস্ত্র যথেষ্ট।"

সূত্র : আরটি

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

আন্তর্জাতিক এর সর্বশেষ খবর

আন্তর্জাতিক - এর সব খবর



রে