ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

ঢাবি ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলে হাইকোর্টের রুল

২০২৪ ডিসেম্বর ১০ ১৭:২৯:১৭
ঢাবি ভর্তিতে পোষ্য ও খেলোয়াড় কোটা বাতিলে হাইকোর্টের রুল

ঢাবি প্রতিনিধি : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ভর্তিতে পোষ্য কোটা ও খেলোয়াড় কোটা ‘সংবিধানবিরোধী এবং সুপ্রিম কোর্টের রায়বিরোধী’— উল্লেখ করে তা কেন বাতিল হবে না জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) হাইকোর্টের বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আশরাফের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

আদালতে শুনানি করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব। তাকে সহযোগিতা করেন সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার, অ্যাডভোকেট বায়োজিদ হোসাইন ও অ্যাডভোকেট নাঈম সর্দার। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ শফিকুর রহমান।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মোহাম্মদ হুমায়ন কবির পল্লব বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের ছেলে-মেয়েরা পশ্চাৎপদ জনগোষ্ঠীর মধ্যে পড়েন না। তাদের ছেলে-মেয়েরা ভর্তি পরীক্ষায় ৪০% বা পাশ নম্বর পেলেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেন। এটার নির্দিষ্ট কোন সংখ্যা নেই।‌ এই বিধানের ফলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতি বৈষম্য করা হচ্ছে। এ ধরনের বিধান সংবিধান ও আপিল বিভাগের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।‌ আর খেলোয়াড় কোটার বিধানটিও বৈষম্যমূলক।‌

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তিতে শিক্ষক-কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সন্তানদের জন্য পোষ্য কোটা ও খোলোয়াড় কোটা বাতিলের জন্য সুপ্রিম কোর্টে রিটটি দায়ের করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার সোলায়মান তুষার।

এর আগে ৫ নভেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্টদের ই-মেইলে আইনি নোটিশ প্রদান করেন। নোটিশ পাওয়ার পর যথাযথ ব্যবস্থা না নেয়ায় একটি মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান, একজন অভিভাবক, একজন সাধারণ নাগরিক ও সুপ্রিম কোর্টের ৭জন আইনজীবীর পক্ষে রিট দায়ের করা হয়েছিল। রিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি, প্রো-ভিসি (প্রশাসন), প্রো-ভিসি (শিক্ষা) ও রেজিস্ট্রারকে বিবাদী করা হয়েছে।

নোটিশ পাওয়ার ৫ দিনের মধ্যে (ক) মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা ও বীরাঙ্গনাদের সন্তানদের জন্য ৫ শতাংশ (খ) ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী ১ শতাংশ এবং (গ) শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গের জন্য ১ শতাংশ বহাল রেখে বাকি সব কোটা বাতিল করতে বলা হয়েছিল। নোটিশ গ্রহীতারা ব্যবস্থা না নিলে সুপ্রিম কোর্টে রিটসহ বিষয়টি নিয়ে আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছিল।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে