ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে বিমানবন্দরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

২০২৫ জানুয়ারি ১৩ ২১:৫৪:২৯
এইচএমপি ভাইরাস নিয়ে বিমানবন্দরকে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নির্দেশনা

ডুয়া নিউজ: চীন, জাপান ও ভারতের পর সম্প্রতি বাংলাদেশেও হিউম্যান মেটানিউমোভাইরাস (এইচএমপিভি) শনাক্ত হয়েছে। এজন্য হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ বিশেষ সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

আজ সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক কামরুল ইসলাম দেশের এয়ারলাইনসগুলো ও সংশ্লিষ্ট সকলকে এই ভাইরাস নিয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য চিঠি পাঠিয়েছেন।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার নির্দেশনা অনুযায়ী বিমানবন্দরের সবাইকে এইচএমপিভি প্রতিরোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। তবে বর্তমানে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই। যাত্রী, স্টাফ এবং দর্শনার্থীদের মুখে মাস্ক পরিধান ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারের জন্য উৎসাহিত করা হয়েছে। যদি কারো মধ্যে জ্বর, কাশি বা শ্বাসকষ্টের মতো উপসর্গ দেখা দেয়, তবে তাৎক্ষণিকভাবে বিমানবন্দরের হেলথ সার্ভিসে জানাতে হবে।

এছাড়া, বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ দেশি ও বিদেশি এয়ারলাইনসগুলোকে সতর্ক থাকতে এবং যদি কোনো যাত্রীর মধ্যে এই ভাইরাসের লক্ষণ প্রকাশ পায়, তবে তা দ্রুত বিমানবন্দরের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষকে জানাতে বলেছে। বিমানের ভেতরেও যদি কোনো যাত্রী আক্রান্ত হন, তাদের সঠিক চিকিৎসা নিশ্চিত করার জন্য এয়ারলাইন্সের ক্রু এবং যাত্রীদের স্বাস্থ্য নির্দেশনা পালনের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।

এ ছাড়াও চিঠিতে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের জারি করা ৭টি নির্দেশনা মানতে বলা হয়েছে। নির্দেশনাগুলো হলো-

১. শীতকালীন শ্বাসতন্ত্রের রোগ থেকে রক্ষা পেতে মাস্ক ব্যবহার করুন।২. হাঁচি বা কাশির সময় নাক-মুখে টিস্যু বা বাহু দিয়ে ঢাকুন।৩. ব্যবহৃত টিস্যু অবিলম্বে ময়লা ফেলার ঝুড়িতে ফেলুন এবং হাত সাবান দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।৪. আক্রান্ত ব্যক্তির কাছ থেকে ৩ ফুট দূরত্ব বজায় রাখুন।৫. ঘন ঘন সাবান দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলুন (কমপক্ষে ২০ সেকেন্ড)।৬. অপরিষ্কার হাতে চোখ, নাক বা মুখ স্পর্শ করবেন না।৭. জ্বর, কাশি, শ্বাসকষ্ট থাকলে বাড়িতে থাকুন এবং প্রয়োজন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

উল্লেখ্য, ১২ জানুয়ারি দেশে প্রথম এইচএমপিভি রোগী শনাক্ত হয়েছে। এই ভাইরাসের সংক্রমণ করোনা ভাইরাসের মতোই ছড়ায়। হাঁচি, কাশি, আক্রান্ত ব্যক্তির কাছাকাছি অবস্থান, করমর্দন বা স্পর্শের মাধ্যমে এটি ছড়িয়ে যায়।

এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে এখনও কার্যকর প্রতিষেধক তৈরি হয়নি, তবে এটি প্রতিরোধের জন্য একই ধরনের সতর্কতা অবলম্বন করা যেতে পারে যা করোনা প্রতিরোধে ব্যবহৃত হয়।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে