ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

হোস্টেল ভাড়া করে ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবি

২০২৫ জানুয়ারি ১২ ১৮:৪৯:৩৪
হোস্টেল ভাড়া করে ঢাবির নারী শিক্ষার্থীদের আবাসনের দাবি

ঢাবি প্রতিনিধি: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূরীকরণে প্রয়োজনে হোস্টেল ভাড়া করার দাবি আদায়ে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করেছে একদল নারী শিক্ষার্থী। আগামী মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১০ টায় ছাত্রীদের আবাসন সংকট সমাধানে আন্দোলন ব্যতীত অন্য কোন পথ খোলা নেই উল্লেখ করে দাবি না মানা অবধি উপাচার্যের বাসভবনে ‘ভিসির বাংলায় ঠাঁয় চাই' শীর্ষ কর্মসূচি পালন করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের নারী শিক্ষার্থীরা।

আজ রবিবার (১২ জানুয়ারি) বিকাল ৫ টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংবাদিক সমিতিতে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন তথ্য জানান আন্দোলনকারীরা।

আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের শিক্ষার্থী ইসরাত জাহান ইমু লিখিত বক্তব্যে বলেন পাঠ করেন। তিনি বলেন, নতুন হল তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ছাত্রীদের অস্থায়ী আবাসন হিসেবে ভবন ভাড়া করে হোস্টেল তৈরি করা, গণরুম বিলুপ্তি ও নতুন হল মূল ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে নির্মাণসহ ৭দফা দাবিতে আন্দোলনকারী দাত্রীদের সাথে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গত ২ জানুয়ারি ২৪, বৃহস্পতিবার বিকাল ৪টায় আব্দুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে সর্বশেষ মতবিনিময় সভা হয়।

ইমু ২৯ ডিসেম্বর থেকে চলমান আন্দোলন থেকে নারী শিক্ষার্থীদের বেশ কিছু প্রাপ্তির কথা উল্লেখ করেন। এগুলো হচ্ছে-

১.রোকেয়া হল বাদে অনা চারটি ধাত্রী হলে পরীক্ষামূলকভাবে নিজ হলের অনাবাসিক ঘাত্রী প্রবেশের অনুমতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ধারাবাহিকভাবে নিরাপত্তা নিশ্চিত করে সময়সীমা ও প্রবেশাধিকার আরও সম্প্রসারণের আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

২। আর্থিকভাবে দুর্বল অনাবাসিক শিক্ষার্থীদের একাংশকে মাসিক বৃত্তি দেয়ার কার্যক্রম দ্রুত শুরু হওয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে। আগামী সল্লাহ থেকে ২০১৩-২৪ সেশনের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদানের প্রক্রিয়া শুরুর মৌখিক আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

৩। নতুন হল নির্মাণের স্থান নির্ধারণে 'রিভিউ কমিটি গঠন করা হবে।

৪। ডাকসু নির্বাচিত প্রতিনিধি ব্যতীত হল নির্মাণ রিভিউ কমিটি বা অন্য কোনো কমিটিতে কোনো শিক্ষার্থী-প্রতিনিধি রাখা হবে না।

৫। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সবগুলো হল ইন্জিনিয়ার দ্বারা রিস্ক এসেসমেন্ট করে প্রযোজনীয় সংস্কারের পদক্ষেপ নেয়ার আশ্বাস দেয়া হয়েছে।

৬। শামসুন্নাহার হলে কাঁচাবাজার, ফলমূলের নতুন দোকান তৈরি করা হবে বলা হয়েছে।

এখন পর্যন্ত বেশ কিছু অমীমাংসিত দাবি রয়েছে বলে জানান ইসরাত জাহান ইমু। দাবিগুলো হচ্ছে-

১। ভবন ভাড়া করে ছাত্রীদের জন্য অস্থায়ী আবাদন হিসেবে হোস্টেল চালু করা। বিদ্যমান দাত্রী হসতালার বর্ধিত ভবন নির্মাণনহ নতুন দুইটি হল স্থাপন বাবদ আর্থিক পরিকল্পনা ঘোষণা করা হযোগ। এই নির্মাণকালীণ দীর্ঘ সময়ের জনা ছাত্রীদের অস্থায়ী আবাসন হিসেবে হোস্টেলের ব্যবস্থা করার আবেদন জানানো হালও এ বিষয়ে প্রশাসনিকভাবে অপারগতা প্রকাশ করা হয়। যেখানে হল নির্মাণ ব্যয় বাবদ তিনশত হাজার কোটি টাকা বরাদ করা সম্ভব দেখানে ধাত্রীদের অস্থায়ী আবাসন হিসেবে হোস্টেল ভাড়া করার আর্থিক অসামর্থ্য ও আইনগত জটিলতা প্রকাশ মোটও বোধগম্য নয়। আমাদের সাথে আলোচনায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের দায়িত্বশীল ব্যক্তিগণ জানান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর চাপ্টার ১২ ও ১৩ অনুযায়ী প্রশাসনিকভাবে এইধরণের ব্যবস্থা কারার আইনি বৈধতা নেই। কিন্তু 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় আদেশ, ১৯৭৩ এ এইধ্যয়নের কোনো বিধান প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আমাদের চোখে পড়েনি। উপরক্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধ্যাদেশ ১৯৭৩ এর ২৪ (ডি) এবং ৪৫(১) ধারায় স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের যেকোনো হোস্টেল তৈরি কিংবা বাতিলের এখতিয়ার একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেটের রয়েছে। ফলে, বিশ্ববিদ্যালয় চাইলেই সিন্ডিকেট সভার নিদ্ধারের মাধ্যমে নারী শিক্ষার্থীদের জন্য নতুন করে হোস্টেল তৈরি বা অস্থায়ী আবাসনের বন্দোবস্তু করাত পারে।

২। গণরুম বিলুপ্তির দাবি পুরোপুরি উপেক্ষা করে যাওয়া হয়েছে।

৩। নতুন হল মূল ক্যাম্পাসেই হবে এরুপ কোনো নিশ্চয়তা দেয়া হয় নি।

৪। আর্থিক সাহায্য কয়জনাক, কত টাকা করে এবং কবে থোক সবাইকে দেয়া হবে কোনো সংখ্যা জানানো হয় নি। বৃতি প্রদান সম্পর্কিত আপডেটেড কোনো বিজ্ঞত্তি প্রকাশ করা হয় নি।

৬। শতভাগ আবাসিকীকরাশর ক্যোনা সদিন্দ্য বাড় করা হয় নি।

৭। এক খাটে এক সিট ভিত্তিতে ডাবলিং প্রখা বন্ধ করার কোনো পরিকল্পনা জানানো হয় নি।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

বিশ্ববিদ্যালয় এর সর্বশেষ খবর

বিশ্ববিদ্যালয় - এর সব খবর



রে