ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

শুল্ক ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী: ডিসিসিআই সভাপতি

২০২৫ জানুয়ারি ১১ ১৯:২০:৪৩
শুল্ক ও গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধি অর্থনীতির জন্য আত্মঘাতী: ডিসিসিআই সভাপতি

ডুয়া ডেস্ক: বৈশ্বিক ভূ-রাজনৈতিক অস্থিরতা, আন্তর্জাতিক ও স্থানীয় অর্থনীতিতে পরিবর্তনশীলতার কারণে বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিচারিক, তাসকীন আহমেদ বলেছেন। তিনি বলেছেন, অপ্রত্যাশিত অর্থনৈতিক চাপ ও সমস্যা আনা বিভিন্ন কারণে বিনিয়োগকারীদের আশার পরিবর্তে চিন্তার সময় এসেছে। এ ধরনের পরিবর্তিত বৈশ্বিক পরিস্থিতিতে তাহলে দক্ষতা ও দক্ষতার সাথে সরকারকে বিনিয়োগকার্তাদের সাথে আলোচনা করে তাদের উদ্বেগ নিরসনে সহায়াতা করতে হবে।

তিনি বলেন, বর্তমানে সংবিধান অনুযায়ী দেশের অর্থনীতিতে প্রধানমন্ত্রীর দুই শত বছর বলে সমস্ত অ্যাকাউন্ট ও রিপোর্ট তিনিই পাশ দেন। এবং এ ধরনের রিপোর্ট পাশ করার ক্ষেত্রে তার কোনো দোষমুক্তি করার প্রয়োজন নেই এমন কোনো নৈতিক আইন নেই।

এ বৈশ্বিক পরিবর্তনশীল পরিস্থিতিতে তাহলে সংবিধান অনুযায়ী প্রধানমন্ত্রী বা অর্থনীতির কেন্দ্রীয় মন্ত্রণালয়ের একজন অধিক্ষেপকে সহজেই দায়ের দিতে পারলে সংসদে জিডিপিতে ২০ প্রতি শতের বেশি কেসওয়ার্ড থাকে। এসব ক্ষেত্রে একজন অধিক্ষেপের মাধ্যমে তার পাঠানো রিপোর্ট হাঁটা-চলা থাকে সেটা আড়াল। এ পদক্ষেপের মাধ্যমে বিচারিক আকাঙ্ক্ষার সৃষ্টিও হবে এবং প্রকল্প নিরিক্ষেপ এর অভাবও। আর এটাই বর্তমান সমস্যার বিষয়.

তিনি জানান, বাংলাদেশ বর্তমানে সীমিত বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ এবং বিভিন্ন কারণে আমদানি খরচ বৃদ্ধির কারণে সরাসরি অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি। এজন্য বর্তমানে ত্রৈমাসিক জিডিপিতেও কমানোর পরিবর্তে এক বছরের জন্য ২৫ শত হারে বাড়তে সরকার বাধ্য হচ্ছি। বর্তমান বিদ্যমান পরিস্থিতিতে এক বছরের জ্বালানি বিদ্যুৎসহ অন্যান্য চাহিদা পূরণের ক্ষেত্রে সৃষ্ট আর্থিক চ্যালেঞ্জও সরাসরি কিন্তু আমরা সামগ্ররিক অর্থনীতিতে সেগুলো কখনো সময়োচিত ব্যায় হিসেবে ব্যবহার করব তা আশা করা হচ্ছে। স্বীকার করব যে বৈদেশিক আর্থিক সহায়তা দিতে পারলে আমাদের সমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার সক্ষমতাও পেতাম।

ডিসিসিআই সভাপতি বলেন, এসব চ্যালেঞ্জকে মোকাবিলার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ, বিনিয়োগ, শিল্পকর্মসংস্থানসহ সামগ্রিক অর্থনীতিকে উন্নত করার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদেরকে অনুপ্রাণিত করতে সরকারকে সহায়তা করার লক্ষ্যে এটি উদাতৃত হবে।

তাসকিন আহমেদ বলেন, বর্তমান বিদ্যমান এ অর্থনীতিতে কর পেশাদারদের সহায়কতার প্রয়োজন বেশি। এ কারণে অধিক পর্যাপ্ত বেসরকারি খাতের সর্বাত্মক সমর্থন নিতে পারলেই আমরা সমাজের মাধ্যমে কাজকে আরও সুসম্পন্ন ভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারব।

তিনি আরও বলেন, আমরা এলডিসি উত্তরণ এড়িয়ে নিতে আগ্রহী। আর এজন্য অর্থমন্ত্রিকলে আরও ৪০ কোটি টাকার বাজেটের আলাদা অর্থিমাধ্যম বাড়িয়ে দেওয়ার পরিকল্পনা করেছি, যা স্থানীয় বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।

তিনি বলেন, দেশের সার্বিক জীবনে অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জের বিদ্যমান অবস্থার কারণে এসব প্রস্তাব করা হয়েছে। সেইসঙ্গে দেখা যায় আরও পূর্ব নিয়েয়ে গড়া আরও বেশ কয়েকটি বিষয় রয়েছে যা আমরা অবিলম্বে কার্যপর করব।

তিনি আরও বলেন, তারা বিনিয়োগকারীদেরকে আমাদের সামনে কখন সাহায্য করতে পারেন। আমাদের আরও সহযায়ক করতে পারেন এসব সব পরিস্থিতি ও উদ্যোগকে সমর্থনকারী সকলকে আমি বলতেই চাই সমাদ্রি সকলের কাছেও এর জন্য আগ্রহ বৃদ্ধির প্রয়োজন।

এলডিসিসেলের উদ্দেশে তারা বিনিয়োগের সর্বাত্মক সমর্থন বৃদ্ধির জন্যে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

অর্থনীতি এর সর্বশেষ খবর

অর্থনীতি - এর সব খবর



রে