ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৮ মাঘ ১৪৩১

ফেসবুকে পোস্ট : বরখাস্ত হলেন ১০ ক্যাডার কর্মকর্তা

২০২৫ জানুয়ারি ১০ ২২:০৬:৫৯
ফেসবুকে পোস্ট : বরখাস্ত হলেন ১০ ক্যাডার কর্মকর্তা

ডুয়া ডেস্ক: সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার প্রেক্ষাপটে প্রশাসন ও ২৫ ক্যাডারের মোট ১০ জন কর্মকর্তা সাময়িক বরখাস্ত হয়েছেন। বরখাস্তের কারণ হিসেবে জানা গেছে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজেদের ক্যাডারের পক্ষে অবস্থান গ্রহণ এবং লেখালেখি করার অপরাধে এই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ অভিযোগ করেছে যে, প্রশাসন ছাড়া অন্যান্য ক্যাডারের কর্মকর্তাদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ না দিয়েই এই বরখাস্ত করা হয়েছে। তারা এই পদক্ষেপগুলিকে প্রচলিত আইন ও বিধির পরিপন্থি হিসেবে অবিহিত করেছেন।

এদিকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন দাবি করেছেন। তাদের বক্তব্য, সিভিল সার্ভিসের সকল কর্মকর্তা নির্দিষ্ট আইন ও বিধিমালার আওতায় কাজ করেন এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে লেখার জন্য নির্দিষ্ট গাইডলাইন রয়েছে। আইন লঙ্ঘন হলে কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আসা উচিৎ বলে তারা উল্লেখ করেছেন।

১৭ ডিসেম্বর জনপ্রশাসন কমিশনের আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের পরিকল্পনা গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর ক্যাডার সংগঠনগুলো একটি বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। প্রশাসন ক্যাডার সচিবালয়ে বৃহৎ শোডাউন করে এবং চলতি বছরের ১০ ডিসেম্বর বিয়াম মিলনায়তনে প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে। সেখানে বক্তারা প্রশাসন সংস্কার কমিশনের সমালোচনা করে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কমিশন প্রধানকে বরখাস্ত এবং নতুন কমিশন গঠনের দাবি জানিয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া কর্মকর্তাদের মধ্যে গাজীপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা, সিনিয়র সহকারী সচিব মোহাম্মদ সাদিকুর রহমান সবুজ উল্লেখযোগ্য যিনি ফেসবুকে বিরূপ মন্তব্য করে বরখাস্ত হন।

এদিকে, প্রশাসন ছাড়া অন্যান্য ২৫ ক্যাডার আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের ব্যানারে কলমবিরতি ও মানববন্ধনের আয়োজন করেছে। ৩ জানুয়ারি খামারবাড়ি কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভার বক্তারা প্রশাসন ক্যাডারের আধিপত্যের বিরুদ্ধে সমালোচনা করেন।

এখন পর্যন্ত বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ৫ জন, মৎস্য ক্যাডারের ১ জন, প্রাণিসম্পদ ক্যাডারের ১ জন, এবং সড়ক ও জনপথ বিভাগের ১ জন নির্বাহী প্রকৌশলীগণসহ মোট ৯ জন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে।

আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ এই ব্যবস্থা সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেছে, সামাজিক মাধ্যমে মতপ্রকাশের জন্য কর্মকর্তাদের সমন্বয়হীনভাবে বরখাস্ত করা হচ্ছে। তারা মনে করেন, এভাবে বরখাস্ত করা মৌলিক অধিকার ও চাকরিবিধির পরিপন্থি।

জনপ্রশাসন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ ফিরোজ মিয়া বলেন, সিভিল সার্ভিসের কর্মকর্তাদের উচিত আইন ও বিধি মেনে চলা। আইন ভঙ্গ করলে কর্মকর্তাদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছেন তিনি।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে