সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও বাংলাদেশ
.jpg&w=315&h=195)
বাংলাদেশ একটি বহুজাতিক ও বহু-সাংস্কৃতিক দেশ। যেখানে বিভিন্ন ধর্ম, বর্ণ, ও জাতি-গোষ্ঠীর মানুষেরা শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানে বসবাস করে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান সম্পদ, যা দেশের সামাজিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নে ভূমিকা পালন করে আসছে।
বাংলাদেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শুধু সামাজিক স্থিতিশীলতা ও শান্তির জন্যই নয়, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রেও গুরুত্বপূর্ণ। যখন একটি সমাজে সব ধর্ম ও সম্প্রদায়ের মানুষ একত্রে বসবাস করতে পারে, তখন সেখানকার সামগ্রিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হয়। বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ একে অপরের কাছ থেকে শিখতে পারে এবং সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক বিনিময় ঘটে, যা সমাজকে আরও বৈচিত্র্যময় ও সৃজনশীল করে তোলে।
বাংলাদেশের গ্রামীণ এলাকাগুলোতে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির চিত্র বিশেষভাবে লক্ষণীয়। গ্রামের মানুষ সাধারণত একে অপরের সুখ-দুঃখের অংশীদার হয়। তারা বিভিন্ন সামাজিক কাজে একত্রিত হয় এবং পরস্পরের পাশে দাঁড়ায়। এই সহযোগিতামূলক মনোভাব গ্রামের মানুষের জীবনে একটি বিশেষ প্রভাব ফেলে এবং তাদের সামাজিক বন্ধনকে আরও দৃঢ় করে তোলে। শিল্প-সংস্কৃতির ক্ষেত্রেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির প্রভাব সুস্পষ্ট।
বাংলাদেশের সাহিত্য, সংগীত, চিত্রকলা ও অন্যান্য শিল্পমাধ্যমে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতির প্রভাব লক্ষণীয়। রবি ঠাকুরের গান, নজরুলের কবিতা কিংবা লালন ফকিরের দোহা—সব কিছুতেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির ছোঁয়া রয়েছে। এই সাংস্কৃতিক মেলবন্ধন শুধু শিল্পীদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, সাধারণ মানুষের মাঝেও একটি গভীর সংযোগ তৈরি করে। তবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে হলে শুধু সরকার ও নাগরিকদের উদ্যোগই যথেষ্ট নয়, গণমাধ্যমের ভূমিকা এখানেও অপরিহার্য।
গণমাধ্যমের দায়িত্ব হলো প্রকৃত ঘটনা তুলে ধরা এবং সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির বার্তা প্রচার করা। যখনই কোনো সাম্প্রদায়িক সমস্যা দেখা দেয়, তখন গণমাধ্যমের ইতিবাচক ও দায়িত্বশীল ভূমিকা সমাজকে শান্ত ও স্থিতিশীল রাখতে সহায়তা করে। বাংলাদেশের সংবিধান ধর্মীয় স্বাধীনতা ও সাম্যের প্রতিশ্রুতি দেয়। এখানে হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টানসহ নানা ধর্মের মানুষ শান্তিপূর্ণভাবে তাদের ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করে। তবে কখনো কখনো কিছু স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী এই সম্প্রীতি বিনষ্ট করার চেষ্টা করে। তারা বিভিন্ন সময়ে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা বা হানাহানির সৃষ্টি করার চেষ্টা করে। কিন্তু বাংলাদেশের সাধারণ মানুষ সবসময় এই ধরনের অপতৎপরতার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছে এবং সম্প্রীতির বন্ধনকে আরও দৃঢ় করেছে। বাংলাদেশ সরকারও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সরকার বিভিন্ন ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও সমান গুরুত্ব দেয়, যা সকল ধর্মের মানুষের জন্য একটি নিরাপদ ও সম্মানজনক পরিবেশ নিশ্চিত করে। শিক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমেও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি গড়ে তোলার প্রচেষ্টা চলছে। পাঠ্যবইয়ে বিভিন্ন ধর্ম ও সংস্কৃতি সম্পর্কে শিক্ষার্থীদের সচেতন করা হচ্ছে। এর ফলে শিশুরা ছোটবেলা থেকেই সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির গুরুত্ব বুঝতে পারছে এবং ভবিষ্যতে একটি সুন্দর ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি শুধু সরকারের দায়িত্ব নয়, এটি প্রতিটি নাগরিকেরও কর্তব্য। প্রত্যেককে নিজের অবস্থান থেকে সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য কাজ করতে হবে।
সমাজের প্রতিটি স্তরে এই সম্প্রীতির চর্চা ও প্রসার ঘটাতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি একটি চলমান প্রক্রিয়া, যা ক্রমাগত প্রচেষ্টা ও সহযোগিতা দিয়ে বজায় রাখতে হয়। আমাদের প্রতিদিনের আচরণ ও চিন্তাধারায় এই সম্প্রীতির মানসিকতা ধরে রাখতে হবে। তবেই আমরা একটি সত্যিকার অর্থে মানবিক ও উন্নত সমাজ গড়ে তুলতে পারব, যেখানে সব ধর্ম, বর্ণ, ও সংস্কৃতির মানুষ সমানভাবে সম্মানিত ও নিরাপদ থাকবে।
আমাদের বুঝতে হবে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বাংলাদেশের জাতীয় ঐক্যের মেরুদণ্ড। এটি আমাদের সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যকে সমৃদ্ধ করে এবং একটি শক্তিশালী জাতি হিসেবে আমাদেরকে বিশ্বের সামনে তুলে ধরে। তাই আমাদের সকলের উচিত এই সম্প্রীতির মন্ত্রকে হৃদয়ে ধারণ করে একটি উন্নত, শান্তিপূর্ণ ও সম্প্রীতিময় বাংলাদেশ গড়ে তোলার জন্য কাজ করা।
মোহাম্মদ আব্দুর রহমান
শিক্ষার্থী, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
পাঠকের মতামত:
- পহেলা বৈশাখ ঘিরে কোন নিরাপত্তা হুমকি নেই: ডিএমপি কমিশনার
- পিএসএলে মুলতান সুলতানসের ছক্কা-উইকেট ফিলিস্তিনের আশার আলো
- মেঘনা আলমকে আটকের প্রক্রিয়া সঠিক হয়নি: আসিফ নজরুল
- ডিবির শীর্ষ পদে পরিবর্তন
- বৈষম্যহীন কর ব্যবস্থার দিকে এগুচ্ছে এনবিআর
- শোভাযাত্রার আগেই সুখবর দেবে ডিএমপি
- মেঘনা আলমের ৩০ দিনের আটকাদেশের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট
- বৌদ্ধ বিহারে সম্প্রীতি ভবনের ফলক উন্মোচন করলেন প্রধান উপদেষ্টা
- ঢাকার সমাবেশ নিয়ে যা বললেন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রদূত
- ঢাবি’র বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা সকাল ৯টায়, রোডম্যাপ প্রকাশ
- কলকাতায় ওবায়দুল কাদেরের ছবি ভাইরাল, অনুসন্ধানে যা জানা গেল
- ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচি নিয়ে যা লিখেছে ইসরায়েলি গণমাধ্যম
- দেশবাসীকে নববর্ষের শুভেচ্ছা জানালেন ঢাবি অ্যালামনাই’র আহ্বায়ক ও সদস্য সচিব
- ১২ অঞ্চলে ৬০-৮০ কিমি বেগে ঝড়ের শঙ্কা, হুঁশিয়ারি সংকেত
- ই'সরায়েলবিরোধী মিছিল থেকে ৩ কারখানায় হা'মলা
- আনন্দ শোভাযাত্রাকে ঘিরে ডিএমপির নির্দেশনা
- আদানির এক ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু
- চীনে ৮৩৮টি ফ্লাইট বাতিল, ট্রেন চলাচল বন্ধ
- বিশ্ব মিডিয়ায় ঢাকার ‘মার্চ ফর গাজা’
- সিলেটে বাটা শোরুমের লুটপাটের নেতৃত্বে আ. লীগ নেতার ছেলে
- তিন বছরের মধ্যে ডলারের সর্বনিম্ন দর
- যুক্তরাষ্ট্রে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ডিমের দাম
- দ্রুত নির্বাচনের রোডম্যাপ চায় বিএনপি: দুদু
- ক্ষমা চেয়ে একযোগে ৩ নেতার পদত্যাগ
- গা'জায় স্থায়ী যু'দ্ধবিরতিতে সম্মত মু'সলিম দেশগুলো
- পররাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের অ্যারোস্পেস প্রধানের গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক
- ডিসেম্বরে নির্বাচনের লক্ষ্যে সংস্কার এগিয়ে নেওয়ার তাগিদ প্রধান উপদেষ্টার
- রাতের মধ্যে ৬০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ের পূর্বাভাস
- কলকাতায় ওবায়দুল কাদেরকে দেখা নিয়ে নতুন বিতর্ক
- ‘মার্চ ফর গা-জা’য় গিয়ে মোবাইল খোয়ালেন মাহমুদুর রহমান
- দেশে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
- রাফাহ দ’খলে নিল ইস’রায়েল
- ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বনিম্ন দামে ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ৫২ সপ্তাহের মধ্যে সর্বোচ্চ দামে শেয়ারবাজারে দুই প্রতিষ্ঠান
- নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে যাত্রীবাহী বাস দোকনে
- ঢাকায় পাকিস্তানি শিল্পী, লাপাত্তা আয়োজক
- কাশ্মীরে সংঘর্ষে ভারতীয় সেনা নিহ’ত
- বাহরাইনে এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিলেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা
- ফিলিস্তিনিদের জন্য চোখের জলে সিক্ত লাখো মানুষ
- গা’জা যু’দ্ধ বন্ধ চেয়ে চিঠি: যে শা’স্তি পেলেন ১ হাজার ই’সরায়েলি সেনা
- প্রবাসীদের নাগরিকত্ব নিয়ে দুঃসংবাদ দিল জার্মানি
- আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ পুরোপুরি বন্ধ
- পিএসএলে লিটনের পরিবর্তে জায়গা পেলেন যিনি
- ফিলিস্তিনিদের নিয়ে কণা-ইমরানদের গান
- ফিলিস্তিনের পক্ষে বিক্ষোভ করায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার
- ‘ফ্যাসিস্টের প্রতিকৃতিতে’ আগুন লাগানো ব্যক্তি মিললো সিসিটিভি ফুটেজে
- ‘মার্চ ফর গাজা’ কর্মসূচিতে ট্রাম্প-নেতানিয়াহু!
- ফাঁদে ফেলা হচ্ছে ড. ইউনূসকে
- ফ্যাসিস্টের মুখাকৃতি পুনর্নির্মাণের চিন্তা ঢাবির
- শেয়ারবাজারের আলোচিত ১০ খবর
- পুনরায় হবে ঢাবির ব্যবসায় শিক্ষা ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা
- ৮ এপ্রিলের মধ্যে মেয়াদোত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ ঢাবির
- বৃত্তির জন্য আবেদন আহ্বান করলো ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশন, শেষ সময় ২৫ ফেব্রুয়ারি
- ভিসা ছাড়াই ৩৯ দেশে ভ্রমণ করতে পারবেন বাংলাদেশিরা
- তিতুমীর কলেজ শিক্ষার্থীদের সুখবর দিলেন উপদেষ্টা নাহিদ
- বিশ্ব র্যাঙ্কিং-এ প্রথমবারের মতো স্থান পেলো ঢাবির ৯ বিভাগ
- ঢাবি রোকেয়া হল অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের আহ্বায়ক কমিটি গঠন
- ১৭২ কোটি টাকার শেয়ার কিনেছেন তিন কোম্পানির উদ্যোক্তারা
- প্রথম বর্ষের সকল শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
- শেয়ারবাজারের ৮ কোম্পানিতে বিদেশিদের সর্বোচ্চ বিনিয়োগ
- ‘জেড’ ক্যাটাগরি থেকে মুক্তি পেল ৯ কোম্পানির শেয়ার
- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২৮ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
- লন্ডনে আওয়ামী লীগের পালানো মন্ত্রী-এমপি-নেতাদের ইফতার
- বিশ্বব্যাংকে ইন্টার্নশিপের সুযোগ; ঘণ্টাপ্রতি বেতন
- শেয়ারবাজারে ৬ কোম্পানির শেয়ার কিনেছেন বিদেশি বিনিয়োগকারীরা