ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারি ২০২৫, ৯ মাঘ ১৪৩১

আওয়ামী লীগের ৩ সংসদ নির্বাচন তদন্ত করবে ইসি

২০২৫ জানুয়ারি ০৪ ১৭:৩৯:৫০
আওয়ামী লীগের ৩ সংসদ নির্বাচন তদন্ত করবে ইসি

ডুয়া নিউজ: বিগত ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত বিতর্কিত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ অন্যান্য সব নির্বাচনের অনিয়ম ও ত্রুটি চিহ্নিত করে প্রতিবেদন প্রস্তুত করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এছাড়া ইসি থেকে নির্বাচন ব্যবস্থার ক্ষতির কারণ নিরূপণের জন্য দেশের ১০ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তাকে তদন্ত করে রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাসির উদ্দিনসহ অন্যান্য নির্বাচন কমিশনারদের সম্প্রতি অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়েছে। নির্বাচন কমিশন এই সিদ্ধান্তের মাধ্যমে নির্বাচন প্রক্রিয়ার বিভিন্ন দিক নিয়ে আলোচনা করেছে এবং ভবিষ্যৎ পদক্ষেপ নির্ধারণ করেছে।

নির্বাচন কমিশন (ইসি) এর প্রধান আয়োজক সিইসি এএমএম নাসির উদ্দিন মঙ্গলবার বৈঠক করেন, যেখানে আঞ্চলিক কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে নির্দেশনা প্রদান করা হয়। তিনি জানান, পূর্ববর্তী নির্বাচনের অনিয়ম ও ত্রুটিগুলি চিহ্নিত করে সেগুলোর একটি বিস্তারিত প্রতিবেদন নির্বাচন কমিশনের সচিবালয়ে পাঠাতে হবে।

কর্মকর্তারা উল্লেখ করেন, ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন, ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন এবং ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারির দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে দেশের ইতিহাসে অত্যন্ত বিতর্কিত হিসেবে গণ্য করা হয়। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলো অংশগ্রহণ না করার ফলে তা এক তরফা ভোটে পরিণত হয়, যেখানে ১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন, যা নির্বাচনে কারচুপির অভিযোগের সন্দেহকে দৃঢ় করে তোলে।

অন্যদিকে, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও সমমনা দলগুলোকে বাইরে রেখে আওয়ামী লীগের "ডামি" প্রার্থীদের প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে উপস্থাপন করা হয়। ফলে আওয়ামী লীগ টানা চতুর্থবারের জন্য ক্ষমতায় আসে।

নির্বাচন কমিশন সংস্কারের লক্ষ্যে এএমএম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে গঠিত নতুন কমিশনের প্রতি লক্ষ্য রাখা হয়েছে। বিভিন্ন মহল থেকে ওই তিন নির্বাচনের অনিয়মের কারণ জানাতে দাবি উঠেছে। সুশীল সমাজ, গণমাধ্যম এবং বিশিষ্ট ব্যক্তিরা এই বিষয়ে সংলাপে বসে সংশ্লিষ্ট অনিয়মগুলি চিহ্নিত করার আহ্বান জানিয়েছেন।

সিইসি নাসির উদ্দিন কর্মকর্তাদের বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করাই কমিশনের প্রধান লক্ষ্য। এজন্য তাদের পূর্ববর্তী অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। তিনি বলেন, "ভালোর অভিজ্ঞতাকে গ্রহণ করুন এবং খারাপ অভিজ্ঞতাকে পরিহার করুন।" নির্বাচনি অনিয়মের সাথে জড়িত কাউকে বিন্দুমাত্র ছাড় না দেওয়ার কথা জানান ইসি সদস্য আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

নতুন কমিশন গত ২১ নভেম্বর দায়িত্ব গ্রহণ করার পর বিভিন্ন সংস্কার কার্যক্রম হাতে নিয়েছে এবং ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতিও শুরু করেছে। এর আগে দশম, একাদশ এবং দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করেছেন বিভিন্ন কমিশনের নেতারা, যাদের কিছু নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে বিতর্ক রয়েছে।

ডুয়ার ইউটিউব চ্যানেলের সঙ্গে থাকতে SUBSCRIBE করুন

পাঠকের মতামত:

জাতীয় এর সর্বশেষ খবর

জাতীয় - এর সব খবর



রে